আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই"

শুধু না-কেই জানা এবং না-এরই সাধনা। জাকাত জেগে উঠবে না-এর কঠোর সালাতে। কিছু কথা এই সাইটে আমার কাছে যেটা সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তা হলো কমেন্টস। কিছু ব্লগারের কটুক্তি,নিজে না বুঝে হিংসা কিংবা রাগের বশবর্তী হয়ে লেখককে যা ইচ্ছে তাই মন্তব্য করে যাচ্ছে। এতে কষ্ট লেগেছে।

লেখার বিষয়ে না মন্তব্য করে লেখককে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেছে,খুব লজ্জার বিষয়। পাঠক কে অবশ্যই এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মন্তব্যে ভদ্রতা,আচার-ব্যবহার, নম্রতা প্রদর্শন করা উচিত। মানু্ষের শান্তির বড় অভাব। মানুষ সব কিছু করছে শান্তির জন্য।

সৃস্টির আদি থেকেই সবকিছু চলে আসছে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করার জন্য। নিজেকে প্রকাশের একমাত্র পথ “প্রেম”। প্রেম চায় প্রকাশ হতে,নিজেকে বিকশিত করতে। সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” কথাটি চরম সত্য। পৃথিবী,এই বিশ্ব,সব কিছু মানুষের জন্য।

সমস্ত গ্রহ,নক্ষ‌‌‌ত্র সব কিছু । ধর্ম,রাজনীতি,সমাজ,বিজ্ঞান,প্রেম-ভালোবাসা সব কিছু মানুষের জন্য। আর সমস্ত সৃস্টি মানুষের শান্তির জন্য। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় যে মানুষ শান্তি চায় কিন্তু শান্তি রক্ষা করেনা। মানুষের উপলব্ধি ও শ্রদ্ধাবোধ খুব কম।

পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে সব ধর্মই মানুষকে একটাই শিক্ষা দেয় আর সেটা হলো “মানব প্রেম”। যত নবী,রাসুল এবং জ্ঞানীরা এই দুনিয়াতে এসেছে সবাই মানুষকে প্রেম শিক্ষা দিয়ে গেছে। যারা মেনেছে তারা অমর হয়ে আছে,আর যারা মানে নাই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা কিছু সত্য,সুন্দর ও মঙ্গল তার মুলে রয়েছে প্রেম। সর্বত্রই প্রেমের জয়জয়কার।

সবদেশে,সবকালে সঙ্গীতে,কাব্যে,সাহিত্যে,ইতিহাসে,শিল্পকলায় প্রেমের চিরায়িত মহিমা চিত্রিত,অংকিত,বর্নিত ও রুপায়িত হয়েছে। কখনও প্রেমের পরাজয় নাই। প্রেমের খেলায় বিভোর,মগ্ন সমুদয় জগতসমুহ। প্রেমের আবেশে আবিষ্ট ,তন্ময় হয়ে আছেন খোদ সৃষ্টিকর্তা,পালনকর্তা,সংহারকর্তা,তিনিই প্রেমের সফল রুপকার,প্রবক্তা,আদিগুরু। মানুষ কিছু গুনের সমষ্টি।

এই গুন আবার দুই প্রকার। ভাল এবং খারাপ। ধর্ম শিক্ষা দেয় খারাপকে বিসর্জন দিয়ে ভালকে অর্জন করা। কিন্তু আমরা মানুষ খারাপের প্রতি আগ্রহ বেশী। খারাপ গুন নিয়ে মানুষ জন্ম নেয় না।

তার বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে সে ভালো এবং মন্দ গুন গুলি অর্জন করতে থাকে। সমস্ত কিছুই তার পরিবেশের উপর নির্ভর করে। পরিবেশ তাকে শিক্ষা দেয় সত্য-মিথ্যা আশ্রয়ের। বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতি এবং নতুন নতুন আবিস্কারের ফলে আজকের পৃথিবীতে বিস্ময়কর সৃস্টির সংখ্যা অনেক। অনেক কিছুই আবিস্কৃত হয়েছে যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে।

কিন্তু এই সমস্ত বিস্ময়কর সৃস্টির মধ্যে সব চেয়ে বেশী বিষ্ময়কর এবং জটিল সৃষ্টি হলো সেই সমস্ত আশ্চর্যজনক জিনিষের নির্মাতা অর্থ্যাত মানুষ। সমস্ত জটিল,জাগতিক জিনিষের নির্মাতা হিসাবে মানুষই বেশী জটিল,বেশী বিষ্ময়কর এবং শ্রেষ্ঠ। এমন যে বিশেষ বৈশিষ্ঠের কারনে অন্যান্য সমস্ত জিনিষ থেকে মানুষ শ্রেষ্ঠ এবং যে বিশেষ গুনের কারনে সমস্ত জিনিষ থেকে মানুষের স্বাতন্ত্র্য আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি তা হলো মানুষের চেতনা বা বুদ্ধি। এই বুদ্ধি বা জ্ঞান বা চেতনার জন্যই মানুষ শ্রেষ্ঠ। বুদ্ধির অনুশীলনের ফলেই একদিকে যেমন বিশ্ময়কর জাগতিক জিনিষের সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে অন্যদিকে বুদ্ধিরই আত্নমুখী অনুশীলনের ফলে স্বয়ং মানুষ সম্পর্কেই দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন,নানা জিজ্ঞাসা।

মানুষের মধ্যে রয়েছে বহু আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা আর এই প্রত্যাশাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা হলো দুঃখ বেদনাসহ সমস্ত অনাকাংখিত অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে চির শান্তি এবং চির আনন্দের সন্ধান পাওয়া। এটাকেই আমরা “মুক্তিপ্রাপ্তি” বলি। মানুষ মুক্তি পেতে চায়। এই মুক্তির জন্য একদিকে যেমন মানুষ নিজে তার মেধা এবং বুদ্ধি খাটিয়ে বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবনের চেষ্টা করে,অন্যদিকে সমস্ত মানব জাতির জন্য আলোক বাতিকা স্বরুপ অবতীর্ন হওয়া ঐশী ধর্মগুলোতেও মানুষকে মুক্তি পথের সন্ধান বলে দেওয়া হয়েছে। ঐশী ধর্মগুলোর মধ্যে সর্বশেষ অবতীর্ন হওয়া ইসলাম ধর্মেও দেয়া হয়েছে মানব মুক্তির স্বরুপ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা এবং মুক্তির উপায় সম্পর্কে সঠিক পথ নির্দেশনা।

একথা সত্যি যে,মানব মুক্তির আলোচনা কেবল ইসলাম এবং অন্যান্য ঐশী ধর্মগুলোতেই নয় বরং মানব সৃষ্ট বড় বড় ধর্মগুলোতেও কেন্দ্রীয় স্থান দখল করে আছে। তবে মানব মুক্তি সম্পর্কে আলোচনা সকল ধর্মে পরিলক্ষিত হলেও সকল ধর্মেই বিষয়টিকে একই নামে অভিহিত করা হয় নাই। বিভিন্ন ধর্মে এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ,ভিন্ন ভিন্ন নাম। যেমন বৌদ্ধ ধর্মে মুক্তিকে ‘নির্বান’ নামে অভিহিত করা হয়েছে,হিন্দু ধর্মে বলা হয়েছে মোক্ষ,জৈন ধর্মে মুক্তি,ইহুদী ও খৃষ্ট ধর্মে বলা হয়েছে সেলভেশান(salvation).ইসলাম ধর্মে মুক্তি বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ‘নাজাত’,ফালাহ,ফাওজ প্রভৃতি শব্দ। তবে বিভিন্ন ধর্মে মুক্তি বুঝানোর জন্য বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হলেও এগুলোর অর্থ একই ধরনের এবং তা হলো দুঃখ বেদনা,জ্বালা-যন্ত্রনা থেকে নিষ্কৃতি লাভ।

চলবে.......... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.