আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাইনী ইন্দিরা গান্ধীই জিয়া হত্যার মাষ্টার মাইন্ডঃ আল্লাহই তার মৃত্যুদন্ড ১৯৮৪ সালে কার্যকর করছে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ইতিহাস বড়ই নির্মম। আমরা ৭১এ লড়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে হয় সিকিম নয়ত চিরতরে তাদের পুতুল রাজ্য বানিয়ে রাখতে। সেই লক্ষ্যেই তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালীন তাজউদ্দিনকে দিয়ে ৭দফা অধীনস্থ চুক্তি এবং দেশ স্বাধীন হলে মুজিবকে দিয়ে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করায়। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার ধারাবাহিকতায় ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ জিয়াকে দেশের সিপাহী-জনতা ক্ষমতায় আনলে তিনি ভারতরে ঐ সমস্ত চুক্তির সিংহভাগ অগ্রাহ্য করে চীন, সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে দেশের অর্থনীতি, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেন।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন সহ ভারতের লেলিয়ে দেওয়া উপজাতি সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘে ফারাক্কা বাধের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। ফলে মোররাজী সারদেশাইর ভারত সরকার ৫ বছর মেয়াদী ৩৪ হাজার কিউসেকের গ্যারান্টি ক্লজের বিনিময়ে জিয়ার সাথে পানি চুক্তি করে ঐ ১৯৭৭ সালেই। এ সমস্ত ঘটনা ভারতীয় ডাইনী ইন্দিরা গান্ধীর সহ্য হয় নি। এমনিতেই তথা কথিত গণতান্ত্রিক ভারতে মোররাজীর ক্ষমতায় আসার পূর্ব পর্যন্ত ইন্দিরা জরুরী অবস্থা জারি করে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ডিক্টেটরশীপ চালু করেন এবং সে দেশের সংবাদপত্রের উপর আরোপিত হয় কঠোর সেন্সরশীপ Click This Link এই ডাইনী ইন্দিরার কাছে জিয়া ছিলেন দুই চোখের বিষ।

বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে ভারতের সাথে বার্গেনিং সহ একটি শক্তিশালী, সুখী সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ হবে সেটা যেন ইন্দিরার কাছে নড়ক যন্ত্রণা তুল্য। তাই পুনরায় ক্ষমতায় এসে জিয়াকে হত্যার ফন্দি করেন। এমনিতেই ১৯৭৫ এর পর হতে ভারতীয় "র" কম চেষ্টা করে নি সামরিক ক্যুর মাধ্যমে তাকে হত্যা করার। মোররাজী সারদেশাই পর্যন্ত "র" এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী কখনই এই আশা পরিত্যাগ করেনি।

তাই ১৯৮১ সালের ৩০শে মে জিয়া কে প্রাণ দিতে হয়; Click This Link এরই ফল শ্রুতিতে এরশাদ ১৯৮২ সালে সামরিক ক্যু করেন। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় ডাইনী ইন্দিরা এর ফলও পান ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর। দুই শিখ তাকে গুলিতে ঝাঝরা করে পরপারে পাঠিয়ে দেয়। ইন্দিরা ও অসভ্য-বর্বর ভারত সরকার মনে করেছিল যে জিয়াকে মেরে পার পাওয়া যাবে। আল্লাহর কি ইচ্ছা তার পুত্র রাজীব গান্ধী (যে আধিপত্য মনোভাবের অধিকারী ছিল) একই ফল পায়।

১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী সাইক্লোনে বাংলাদেশ যখন মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউ.এস তারওয়াকে ত্রাণ সহায়তা কাজে ডেকে আনে তখন সে অহংকারী ভাবে বলেছিল যে বঙ্গোপসাগরে কেন মার্কিন সামরিক উপস্থিতি? ঠিক তার দুই দিন পর ২১শে মে ১৯৯১ সালে রাজীব তামিলদের বোমা হামলায় পরপারে চলে যান। আজও ভারত কাশ্মীর, সেভেন সিষ্টার্স এবং মাওবাদীদের ষাড়িষি আক্রমণে অতিষ্ঠ। এর সবই হল প্রতিবেশী দেশের সাথে বৈরী আচরণের ফল। কারণ আল্লাহ একজন ইনসাফকর্তা আছেন। আর আমাদের দেশের আওয়ামী-বাকশালী, ইন্দুস্থানী রামপাঠা গং বলে যে বিএনপি কেন জিয়া হত্যার বিচার চায় না।

আবার উল্টা বলে জিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের ১২ জনের উপরে সামরিক কর্মকর্তাকে ফাসী দিয়ে অন্যায় করেছে এরশাদ। স্ববিরোধীতার উৎকৃষ্ট নমুনা বটে। এরা এদেশের হাসিনা, মসিউর ও এই চটি ইমামদের চামচা। তাদের জানা উচিত ডাইনী ইন্দিরার শিখদের হাতে মৃত্যু নেহাত নিহত হওয়া নয় বরং জিয়া হত্যার হুকুম দেওয়ার জন্য আল্লাহর তরফ থেকে প্রকৃতির প্রাণদন্ড এবং প্রকৃত ইনসাফ। সেই সময় প্রায় ৯০ কোটি ভারতীয়কে শোকের কাতরে ভাসিয়েছে তথা তাদের একটা চরম শিক্ষা হয়েছে।

বাংলাদেশে এই তাবেদার সহ তাদের প্রভু ভারতের জেনে রাখা উচিত আল্লাহর বিচার দেড়ী হলেও অবিচার করেন না।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.