আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাফনের ৫০ দিন পর মাকে ছেলের ফোন

দাফনের ৫০ দিন পর লিবিয়া প্রবাসী বাবুল মোবাইল ফোনে কথা বলেছে তার বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে। আর এ ফোনে ছেলে জীবিত রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তার বৃদ্ধা মা। সেই সঙ্গে আনন্দের বন্যায় ভেসে গেছে লিবিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানদের শোক। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মাশাখোলা গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী মো. বাবুল মারা গেছে ভেবে ৫০ দিন আগে লিবিয়া থেকে আসা মৃত এক ব্যক্তিকে দাফন করে তার পরিবার। প্রবাসী বাবুলের বাবা রফিক হালদার শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান, লিবিয়ায় বাবুলের মত্যুর খবরে পুরো পরিবারের মাঝে নেমে আসে শোকের মাতম।

তারপর দেশে লাশ আসার পর শনাক্ত ও দাফন সবই করা হয়। এরপর থেকে পুরো পরিবারে এক বেদনাবিদুর পরিবেশ বিরাজ করছিল। দু'সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বাবুলের স্ত্রী রহিমা বেগম। শনিবার বাবুলের মা ছেলের ফোন পাওয়ার পর থেকে নফল নামাজ আদায় করছেন। জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলার মাশাখোলা গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী বাবুল এক বছর আগে লিবিয়া পাড়ি জমায়।

কাজ জোটে একটি চায়না কোম্পানিতে। সমপ্রতি ন্যাটো বাহিনীর হামলায় নিহত ১০ বাংলাদেশির লাশ আসে দেশে। তার মধ্যে বাবুলের লাশ রয়েছে জানতে পেরে স্ত্রী রহিমা বেগম ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। পরে লাশ গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মাশাখোলা গ্রামে নিয়ে স্থানীয় রিয়াজুল জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাবুলের স্ত্রী রহিমা বেগম ও বাবা রফিক হালদার সোমবার জানান, হাসপাতাল মর্গ থেকে পেটের কাটা দাগ দেখে বাবুলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।

তবে কিছুটা সন্দেহ ছিল পরিবারের সবার মধ্যে। অতপর লাশ দাফন, কুলখানি ও চেহলাম করা হয়। এরপর থেকে শোকের সাগরে ভাসছিল পরিবারটি। তারা জানান, এর মধ্যে গত শনিবার হঠাৎই মায়ের কাছে ফোন করে মৃত বাবুল। এতে হতবাক হয়ে পড়েন মা।

ছেলের জীবিত থাকার খবরে লিবিয়া প্রবাসীর পরিবারে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায়ও বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।