আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেন্ট মার্টিন - (অতি প্রাচিন এক প্রাসাদ)

সেন্টমার্টনের ছেঁড়া দ্বীপে। অনেক ছবি তুলছি আর তুলছি। কিন্তু ছবি তুলেও মন ভরছিলোনা আমার। সবাই ছবি তুলছে নিজেদের কিন্তু আমি খুঁজছিলাম আর নতুন কি খুঁজে পাবো। এভাবে খুঁজতে খুঁজতে কোথায় যেন একা হয়ে গেলাম।

অনেকটা হারিয়েই গেলাম। জানিনা টাইম ট্রাভেল করলাম কিনা। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম এক বিশাল প্রাসাদ! পরিত্যাক্ত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাকবো নাকি তাও বুঝতে পারছিলাম না! আমি কখনই খবরে বা টিভি প্রোগ্রামে শুনিনি যে সেন্ট মার্টিনে এমন একটা দেখার মতো প্রাসাদ আছে। আমার হাতে যে ক্যামেরা ছিলো ভুলেই গিয়েছিলাম।

মনে পড়তেই আছাড় মারলাম ক্যামেরাটা। নারে ভাই, দুষ্টমী করছি। আঁছাড় মারবো কোন দু:ক্ষে। ছবি তুললাম এগুলি। প্রাসাদটা বেশ দুরেই।

জুম করে এমনটাই তুলতে পারলাম। আর একটু কাছ থেকে আর সামান্য ভিন্ন এ্যংগেল থেকে এই ছবিটি তোলার পর ঐ প্রাসাদে প্রবেশের দরজা বা গুহা দেখতে পারলাম। (নিচের ছবিতে তীর চিহ্নিত) কাছে যেতে গেলে সময় লেগে যাবে অনেক আর ওদিকে আমি আমার দল থেকে কখন যে আলাদা হয়ে গেছি। ভাবলাম বরং দলকে ডাক দেই। পেছনে যাবার সময় দুর থেকে এটি নিলাম।

দলবলকে নিয়ে ঐ প্রাসাদের গুহায় যাবার জন্য রওনা দিলাম। যাবার পথ ছিলো এমন ভয়ংকর যে আর যেতেই পারলাম না! উফ্‌ আপনারা যারা এতোক্ষন আমার বকবক অনেক ধৈর্য্য ধরে পড়লেন আর ছবি দেখলেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আসলে উপরের পুরো গল্পটাই মিথ্যা সেটাতো বুঝেই গেছেন কিন্তু ছবিগুলি সত্য অবশ্যই। আমার নিজ হাতে, নিজ ক্যামেরায়, সেন্টমার্টিনেই তোলা। আসলে উপরের ছবিগুলি আমাদের পায়ের নিচেই থাকে।

আপনারা যারা সেন্টমার্টিনে (বা ঐ জাতিয় জায়গায়) গিয়েছেন আপনাদের পায়ের নিচেও ছিলো ওগুলি। হয়তো আপনারা আমার মতো করে দেখেনি আর আমি দেখেছি, এটুকুই পার্থক্য। সত্য কথা বলার পরও যারা বিশ্বাস করলেন না। তাদের জন্য এই ছবিটি। মেয়েটি ঐ বিশাল প্রাচিন প্রাসাদের উপরেই বসে আছে।

যারা প্রথমেই আমার মিথ্যা গল্প বুঝতে পেরেছেন তাদেরকে বলছি, স্যরি ছবিগুলি ২০০৭ সনের। আসলে তখন নতুন নতুন ছবি তুলতাম তো, তাই নানাভাবে নানা দিক থেকে তুলতাম। এই পোষ্টটি একটু কিডিস্‌ টাইপের হয়ে গেছে জানি, তাও শেয়ার করলাম। আমার আরো ফটোব্লগ পড়ার জন্য এখানে ক্লীক্‌ করুন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।