আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুবক

সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) নামে কেনা জমি-সম্পদ সব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যুবকের দায়ী কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছুই করছে না। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যুবকে জমাকৃত অর্থ আদায় সংগ্রাম কমিটির নেতারা এসব অভিযোগ করেন। কমিটির সভাপতি আকরাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসেম, ইফরানুল হাসান, শাখাওয়াত হোসেন, আয়েশা সিদ্দিকা ও তাহের।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ইতিমধ্যে কুমিল্লায় ১০ লাখ টাকার বেশি দামের ১০৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে যুবক। কিন্তু নিবন্ধনে মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র দুই লাখ টাকা। নয়াপল্টনের রহমত মঞ্জিল বিক্রির পাঁয়তারা চলছে। ধানমন্ডির ৮ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কুমিল্লায় জমি বিক্রির ঘটনায় তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।

যুবকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আকরাম উদ্দিন বলেন, কোনো কমিশনের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। এর আগে ফরাসউদ্দিনের কমিশন তাদের টাকা ফেরত দিতে বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন আবার নতুন কমিশনের অর্থ সময়ক্ষেপণ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফরাসউদ্দিনের কমিটির কাছে যুবকের দুই লাখ ৯৬ হাজার আবেদন করা হয়। প্রতিটি আবেদনে ৫০ জন গ্রাহক। এঁদের টাকার পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। অবিলম্বে আমানতের টাকা ফিরিয়ে না দিলে সংগ্রাম কমিটি আন্দোলন শুরু করবে বলে জানান নেতারা। ১৯৯৬ সালে যুবক প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৯৮ সালে তারা বেআইনি ব্যাংকিং-কার্যক্রম শুরু করে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে সরকার তাদের ব্যাংকিং-কার্যক্রম বন্ধ করে বেআইনিভাবে সংগৃহীত আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।