আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি কি জানেন আপনি কি পরিমান বিষ খাচ্ছেন।( ১ম পর্ব)

হ্যানিম্যান খাদ্যে রং এবং অপমিশ্র বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করছে। এ সব খাদ্যে মিশানো রাসায়নিক পদার্থের অধিকাংশ ভয়ানক বিপদজনক। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য বা জীবন এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশের কথা চিন্তা না করেই এক শ্রণির অসাধু লোভী ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা উপার্জনের লোভে খাদ্যে রাসায়নিক টক্সিক পদার্থের ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করেই চলছেন। মানুষ নামের কিছু পশুর কর্মকান্ড নিচে উল্লেখ করা হলঃ মেটানিল ইয়োলোঃ মেটানিল ইয়োলো হচ্ছে কমলা বা কিশোরী বর্ণের অ-অনুমোদিত কোল্টার রং। অতি উচ্চ ক্যান্সারকারক ক্রিয়ার জন্যই খাদ্যের রং হিসাবে মেটালিন ইয়োলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে।

কিন্তু আইনকে তোয়াক্কা না করে এখনো বিভিন্ন খাদ্য যেমন- গুড়, জিলাপি ,কমলা ও হলুদ রং এর মিষ্টি, আইসক্রিম, বেভারেজ ও ডাল প্রভৃতি খাদ্যে মেটানিল ইয়োলো নিয়মিতভাবে ব্যবহার করছে। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রোডামিন-বিঃ রোডামিন –বি এক ধরণের নিষিদ্ধ গোলাপী বর্ণের কোলটার রং। বিভিন্ন মিষ্টি , আইসক্রিম এবং বেভারেজ এ এই ক্ষতিকারক রং বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে। যা মানুষের চর্ম রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করে।

অ্যারাকোলিনঃ পানের মশলা এবং সুপারিতে যে রং দেওয়া হয় তাতে অ্যারাকোলিন নামক অতি বিপদজনক রাসায়নিক বস্তু থাকে যা কারসিনোজেন হিসাবে কাজ করে। অ্যালুমিনিয়াম পাতঃ অ্যালুমিনিয়াম একটি টক্সিক ধাতু। কিন্তু বর্তমানে কিছু অসৎ ব্যবসায়ি সন্দেশ ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় বস্তুর ঔজ্জ্বল্যকরণে অ্যালোমিনিয়ামের অতি পাতলা শ্বেত ধুসর ফয়েল ব্যবহার করা হয়। স্যাকারিনঃ স্যাকারিন একটি পেট্রোলিয়ামজাত অতি মিষ্টি রাসায়নিক পদার্থ, যার অতি ব্যবহারে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে চিনির বিকল্প হিসেবে দই, মিষ্টি, আইসক্রিম, বেভারেজ, তৈ্রি করতে এবং পান মশলায় মাত্রাধিক হিসাবে স্যাকারিন ব্যবহার হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.