আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথের কান্না শুনতে পান কি?



বিশববিদ্যালয়ে ১টা চান্সের জন্য কত কষ্টনা করেছি। রাত দিন খেয়ে না খয়ে পড়া। তবু টনক নড়লনা ঢাবির । আশংকায় কেপে উঠে বুক তবে কি ঢাকা ছাড়তে হবে? চোখের সামনে ভাসে জগন্নাথের ছোট ক্যাম্পাস। না বিমুখ করেনি জগননাথ , নিজের বুকে চির আপন করে নেয় আমাদের ।

বিশববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আনন্দে কিযে উন্মাদনা তা ‌এক সাগর কলমের কালিতে লেখে বুঝানোর মত নয় । ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম জগন্নাথ এখনও ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অবকাঠামোগতভাবে গড়ে উঠেনি । চারদিকে না‌ইয়ের ফিরিস্তি । শুধু নাই আর নাই। তবু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ।

যার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের ভাঙ্গা গড়ার স্মৃতি । ২৫ হাজার শিক্ষাথীর্র মা জবি। সন্তানদের কষ্ট দেখা ক্লান্ত আসহায় রমনী । কর্তারা খেয়ে দেয়ে নিজেদের পেট বড় করছে , জবির ভাগ্যে কিছু জুটেনি । আমাদের ক্লাস করার জন্য নির্দিষ্ট কোন শ্রেনী কক্ষ নেই, শ্রেনীকক্ষ সংকট এখন চরম আকার ধারন করেছে ।

কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার । গত দুয়েক বছর ধরে তারা বলে আসছে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে ক্লাস সমস্যার সমাধান হবে। যেসব রুম তালা বদ্দ আছে সে সব খুলে দেয়া হবে । কাজের কাজ শুভংকরের ফাকি । মিথ্যা স্বান্তনা ।

এখনও তারা একই কথা বলছে । ঠিক কবে খুলে দেয়া হবে কিংবা আদৌ খুলে দেয়া হবে কি না কেউ জানেনা । জগন্নাথ কলেজ ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় হ্ওয়ার পর প্রধান গেটকে ঘিরে একটি নতুন একাডেমিক ভবন গড়ে উঠে । এটি ২০ তলা হওয়ার কথা থাকলেও ৭ তলা পর্যন্ত হয়ে তার কাজ বন্দ আছে । ভবনটির জন্য ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও অদৃশ্য কারনে নির্মান কাজ শুরু হচেছনা ।

নতুন ভবনের ৬ তলায় ১ রুমের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী । যেন দু:সহ বেদনা নিয়ে দাড়িয়ে । শিক্ষার্থীদের , সমব্যাথি অসহায় গ্রন্থাগার । তেমন কিছু নেই তার মধ্যে । রেক গুলো প্রায় ফাকা ।

যেসব রেকে বই আছে সে গুলোও তেমন গুরুত্বপূর্ন নয় । বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে বসে থাকতে হয় । নেই জেনারেটর এর ব্যবস্হা । ল্রাইব্রেরী রুমটিতে বড়জোর ৩০/৩৫ জন একসাথে বসে পড়তে পারে । তাই প্রতিদিন দুপুরে পড়তে এসে ফিরে যায় অনেক শিক্ষার্থী ।

লাইব্রেরীতে কোন ফিল্টার নেই । নেই কপিয়ার মেশিন । এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল পুরো জগন্নাথ জুরে চলছে বিশুদ্ধ পানির হাহাকার । ছেলেরা মেস থেকে পানি খেয়ে আসে আবার মেসে গিয়ে খায় । বার বার কতৃপক্ষকে পানির সমস্যার কথা জানালেও কোন লাভ হয় না ।

জবির রেফারেন্স রুমের অবস্হা সব থেকে করুন । ভিসি এসব সমস্যার সমাধানে পূর্বাপর এত বেশি আশ্বাস শুনিয়েছেন যে এসব আশ্বাস এখন হাসি নয় , প্রহসনে পরিনত হয়েছে । সাধারন অসহায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলছেন তিনি । লাইব্রেরী সমস্যার কোন সমাধান হবে কি না জানতে চাইলে প্রশাসনের আর একটি তোতা পাখি মার্কা উত্তর হচেছ প্রত্যেক বিভাগের নিজস্ব সেমিনারের জন্য টাকা বরাদ্ধ দেয়া হচেছ । অথচ অনেক ডিপার্টমেন্টের সেমিনার ই নই ।

অধিকাংশ ডিপার্টমেন্ট তাদের জন্য বরাদ্ধ অফিস রুমের এক কোনা সেমিনার হিসেবে ব্যবহার করছে । কয়েকজন মিক্ষার্থীর বসতে কষ্ট হয় এসব রুমে। বড় জোর ৮কি ১০ জন বসা যায় । অথচ একটি ব্যাচেই শিক্ষার্থী সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ জন । কোন বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে শিক্ষার্থীদের উল্টা রুষানলে পরতে হয় ।

আমরা কোথায় পড়ব কিভাবে পড়ব জিঙ্গসা করলে শিক্ষদের সোজা উত্তর ভর্তি হয়েছ কেন নতুন ডিপার্টমেন্টে , তোমাদেরতো আমরা ডেকে আনিনি । ভাল না লাগলে চলে যাও । দরজা খোলা । আর থাকতে চাইলে এভাবেই মুখ বন্ধ করে থাকতে হবে । পড়াশুনার পরিবেশ নিয়ে কিছু বলতে পারবেনা ।

কিন্তু আর কতদিন ? জগন্নাথের প্রতিটি বিভাগে চলছে শিক্ষক সংকট । যো্গ্য শিক্ষকের কথা বলা হলে তার পরিমান হবে শূন্যের কোঠায় । এখন ও বিশ্ববিদ্যালয় চলছে কলেজ থাকাকালীন শিক্ষকদের দ্বারা । প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছে এসব শিক্ষকদের অপসারনের জন্য । গত ছয় বছরে জবিতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছে অতি নগন্যহারে ।

যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে । জগন্নাথের ধূসর ক্যাম্পাসে বাতাসের সাথে কম্পমান শব্দ কানে ভাসে বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে সেকেন্ড ক্লাস পাওয়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে । দেশের ইতিহাসে পলিটিকাল ফরমালিটির রক্ষার সর্বোত্তম উদাহরন হচ্ছে জগন্নাথ । পলটিকাল নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ক্লাস লেকচার দিতে এসে নিজেরাই নোঙরা রাজনীতি শুরু করে দেন । তারা রাজনৈতিক মতাদর্শ শিখান শিক্ষার্থীদের ।

জগন্নাথে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতি বছরই দুর্নীতির শোরগোল উঠে । এবারও (২০১০-২০১১) তার ব্যতিক্রম হয়নি । এবার নতুন শিক্ষার্থীদের ভতির ক্ষেত্রে বেছে নেয়া হয়েছে এক অভিনব পন্থা । ভাইবাতে তাদের বলা হয়েছে কোন সাবজেক্ট পাবে পরে তাদের জানিয়ে দেয় হবে । পরে অনেক শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় প্রথম দিকে থেকে ও তাদের পছন্তসই সাবজেক্ট পাননি ।

মাঝে পূর্ন হয়েছে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির কাজ । এসব আদু ভাইরা ক্যাম্পাসে এসেই রাজনীতি শুরু করেন । গত বছর (২০০৯-২০১০) শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলেনর মুখে প্রশাসন ডি ইউনিটের প্রথমবার দেয়া রেজাল্ট বাতিল করতে বাধ্য হয় । পরে ২য় বার রেজাল্ট প্রকাশের পর দেখা যায় ১ম বার চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের কেউই মেধা তালিকায় স্হান পায়নি । বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র ক্যান্টিন ।

বর্তমানে তাও বন্ধ । ক্যান্টিনের খাবার মান যারপরনাই খারাপ । তবু একটা খ্যান্টিনতো ছিল এখন তাও আবার নেই । বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিকক নেতারা তিনবেলার ভোজন এখানে ফ্রি সারেন । তাই খাবারে দাম কমানো কখনো সম্ভব নয় ।

নেতাদের ফ্রি খাওয়ার খরচ ক্যান্টিন মালিক সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর দিয়ে পোষান । এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা চুপ । ক্যান্টিন মালিকের কাছে তাদের কথার কোন মূল্য নেই । কে চায় মার খেতে ?! তাই সবাই চুপ । বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট এ ক্যাম্পাসটির একটা বিশাল অংশ জুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা ।

শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে এটি অপসারনের দাবি জানালেও অদৃশ্য কারনে অপসারন হচ্ছেনা ব্যাংকের এ শাখাটি । প্রশাসন নির্বিকার । তাদের যেন এক্ষেত্রে কিছুই করার নেই । বিএনপির প্রথম আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন এ শাখাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার । ২০০৫ সালে বেশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জবির যাত্রার পর তিনি আবার আশ্বাস দিয়েছিলেন ।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরও একাধিক বার আশ্বাস দেয় হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই কিছুই হয়নি । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট একটি । কথাটি শুনতে কেমন যেন করুনা উপচে পরে । জগন্নথের বেলায় সত্য এটিই । আর সিকিউরিটি গার্ডের কথা নাই বা বললাম ।

জবির দক্ষিন গেটটিকে ঘিরে চলে বিশাল চঁাদা বানিজ্য তাই গেটটি কখনো খোলা হয়না । গেটটির সামনে বানানো হয়েছে গাড়ির গেরেজ । জবি ক্যাম্পাসে বিকাল পাচটার পর ঢুকতে পারেন না শিক্ষার্থীরা । প্রশাসন এ ক্ষেত্রে সরব হলেও বিকেলে ক্যাম্পাসে মাদকের আড্ডা নিয়ে ভীষন নিরব তারা । এক্ষেত্রে বলা চলে সাধারন শিক্ষার্থীদের নিয়ে তামাশা করছে প্রশাসন ।

সাধারনর শিক্ষর্থিীদের উপর কোন কিছু চাপিয়ে দিতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোদ করেন না তারা । অথচ ক্ষমতাসীন ছত্রিসংগঠনের বেলায় তকাদের ভূমিকা জ্বি হুজুর টাইপ । জবির মদিক সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন জাতিয় দৈনিকে বার বার খবর প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্হা নেয়নি । আমাদের প্রক্টর নেতাদের হাতের ননি । তাকে যেভাবে ঘুরানো হয় তিনি সেভাবে ঘুরেন ।

তারপরও বর্তামানে বাধ্যতামূলক ছুটিতে তিনি । বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ নিয়ে বর্তমান প্রশাসন এতটাই সচেতন যে গত কয়বছরে তারা বেবদখল হওয়া জবির ১২টি হল উদ্ধারতো দূরের কথা এগুলো উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য কোন কাজই করেনি তারা । ১টা হলের অবস্হানও তাদের কাছে স্পস্ট নয় । আমাদের প্রশাসনের বদান্যতায় সম্প্রতি এক কথিত শহীদ পরিবারের নামে শহীদ আজমল হোসেন হল পুনরায দখল করা হয়েছে । এক্ষত্রে ভিসি নির্বিকার ।

হলউদ্ধারে একটি কমিটি আছে কিন্তু তাদের কোন কাজ নেই । সাধারন শিক্ষার্থীরা হল উদ্ধারের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনে নামলে তাদের দমনে প্রশাসন বেশ পারঙ্গম । লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া পুলিশ বাহিনী । এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয় প্রত্যেক বিভাগেরর রাজনৈতিক শিক্ষকদের । ডিপার্টমেন্ট থেকে ছেলেদের হুমকি দেয়া হয় আন্দোলনে না যাবার জন্য ।

আন্দোলনে নামা সাধারন শিক্ষার্থীদের রক্তে লাল হয় জবি ক্যাম্পাস । গত তিন বছর ধরে প্রশাসন বলে আসছে কেরানি গন্জে ১০৩ একর জায়গা রাখার কাজ প্রক্রিয়াধীন । তা এখনও প্রক্রিয়াধীনই রয়েছে । কোন দিন তার বাস্তব রুপ দেখা যাবে কিনা কে জানে ?। জবির জন্য ১০৩ একর ভূমি অধিগ্রহন আশ্বাসেই মৃত্যু বরন করবে এমন আত্নবিশ্বাস জবির প্রতিটি শিক্ষীর্থীর ।

এত দিনে শিক্ষার্থীরা বুঝে গেছে এটা স্রেফ প্রশাসনের চালবাজি । শহীদ আজমল হোসেন হল নতুন করে বেদখল হওয়ার খবরে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে । একটা আন্দোলন দানা বাধতে পারে এমন আশংকায় পশাসন তরি ঘরি করে ছাত্র – শিক্ষক – কর্মককর্তা – কর্মচারি ব্যনারে মানববন্ধনের আযোজন করে । প্রগতিশীল ছাত্র জোট দীর্ঘদিন ধরে হল উদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও তাদেরকে এ ব্যাপারে কিছুই জানানে হয়নি । আন্দোলনের ব্যাপারে কিছুই জানেনা হল উদ্ধার আন্দোলনের নেতারা ।

ক্যাম্পাসে সাধারন শিক্ষর্থীদের অধিকার নিয়ে বাম দল গুলো সচেতন হলেও তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছেন না । ক্যাম্পাসে খাবার পানি নেই , বাথ রুমগুলোর আবস্হা যাচ্ছেতাই , পরীক্ষা দেবার জন্য আলাদা কোন রুম নেই , জবির ক্যান্টিনে খাওয়া আর শেরাটন হোটেল খাওয়া একই কথা , সেই আর্থে সেমিনার রুম নেই বলা ভাল , লাইব্রেরীর বেহাল দশা , তার দিকে তাকালে যেন মায়া হয় । আর গত পাচ বছরে হল উদ্ধারতো হয়-ই নি। প্রশাসন এ ক্ষেত্রে চুরান্ত ভাবে ব্যর্থ , উল্টো হলগুলো নতুন করে দখলে নিল ভূমি দস্যুরা । মেস জীবনের গানি টানতে টানতে জীবন শেষ মেধা চর্চার সময কোথায় জবি শিক্ষার্থীদের ।

তবু পড়তে চাই আমরা সাধারন শিক্ষার্থীরা । আমাদের বাবার টাকা নেই । চাইলেই আমরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যডমিশান নিতে পারিনা । পারলে হয়তো এত কষ্ট করে পাবলিকে ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হতাম না । কিন্তু এসব কি হচ্ছে আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ?।

দুই দলের সংঘর্ষ যেন প্রতিদিনকার ব্যাপার । তারা রামদা – চপাতি হাতে মারামরি করে । কখনো গুলি ছুরে । প্রশাসন-পুলিশ তখন শান্ত দর্শক । সবশেষে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর শুরু হয় পুলিশের অ্যাকশন ।

পলিশের নির্যাতনের শিকার হই আমরা । সব কছু মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় । তবু শন্তি নেই । আদুভাইদের মারামারির ফলে বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্পাস । ক্লাস বন্ধ থাকে ।

তারপর শেসন জটের ফিরিস্তি না বললেও চলে । একবার ভাবি শিক্ষকদের কথা শুনে শুধু ডিপার্টমেন্ট নয় বিশ্ববিদ্যালয় ছেরে চলে যাই । কিন্তু তাদের কথা ভেবে থমকে দাড়াতে হয় যে মুখগোলো আমাদের পনে তাকিয়ে আছে । তারা আমাদের সাফল্য দেখার জন্য ব্যাকুল অপেক্ষায় আছে । আমাদের মা – বাবা – শুভাকাঙ্খি ।

আমাদের কাছে তাদের চাওয়াতো আমরা শিক্ষা আর সাফল্য নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেরুই । কিন্তু জগন্নাথে সে সুযোগ কই । আমাদের প্রশাসন পাথরসম কঠিন । তারা আমাদের দু:খ বুঝেনা। আমাদের আহাজারি তাদের কানে পৌছায়না ।

তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পানে তাকিয়ে আমরা জবির ২৫ হাজার মিক্ষার্থী । আমাদের হল দেন , পড়ার পরিবেশ দেন । একবার জবিতে এসে দেখে যান জবির গরীব মিক্ষার্থীদের দু:খ । কি পরিমান কষ্ট আমরা করছি ? নিজের চোখে দেখে যান । আপনাকে সমব্যাথি হিসেবে পাশে চাই আমরা ।

আপনিতো মা বুঝবেন না সন্তানের কষ্ট ? হলের জন্য কঁান্না জবির অসহায় শিক্ষার্থীদের , কাঁন্না তার বোবা দালান আর উড়ন্ত ধোলা-বালির , বেদনা সিক্ত চোখের পানির স্রোত পুরো জবি জুড়ে । চির বৈষম্যের শিকার জবি কঁাদছে । প্রধানমন্ত্রী এ কাঁন্না আপনি শুনতে পানকি ? প্রধানমন্ত্রী এ কাঁন্না আপনার কানে পৌছেকি ? লেখক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী । জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইত্তেফাক প্রতিনিধি সরোজ মেহেদী

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.