আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকতা ও নাস্তিক সংরক্ষন প্রকল্প (আস্তিকদের জন্য পোষ্ট, নাস্তিকেরা দুরে থাকুন)

রাজদরবারে "মুরগাভদক্রাম" পেশ করে থাকি নিয়মিত...

প্রথমে মনোযোগ দিন নবাব সিরাজুদ্দৌলার বদনার দিকে। ধরুন প্রত্মত্তবিভাগ নবাব সিরাজের ব্যাবহার্য্য একটি বদনা খুঁজিয়া পাইলো। এ্যান্টিক হিসাবে সেইটা অমূল্য, কারন তার আর কোনো কপি বর্তমান নাই। তাই সেই বদনাটারে দেখবেন সাড়ম্বরে মিউজিয়ামে রাইখা এ ক্লাস সিকিউরিটি দিয়া প্রদর্শন করা হইতাছে। দেখার জন্য, টাইমপাস করা জন্য আইটেম হিসাবে সিরাজের বদনা ব্যাপক একটা জিনিষ তাতে সন্দেহ নাই।

এমনকি কিছু পাবলিক জুটে যাবে যারা সিরাজের বদনার আকার, সাইজ, পানি ভরা আর বাইর করার পদ্ধতি, এমনকি সিরাজ বদনাটা ডাইন হাতে নিত নাকি বামহাতে নিত, এমনকি দেলোয়ারের সালোয়ার বান্ধার মতন সিরোজেরও কোনো বদনা বাহক/ধৌতকারী ছিলো কি না সেইটা নিয়া গবেষনা করবে। তবে মোটাদাগে এবং মোটের উপর কথা হৈল, সিরাজের ঐ বদনা বাস্তব দুনিয়াতে একটা অচল, বেকার এবং বাতিল জিনিষ যার যায়গা খালি মিউজিয়ামেই, বাস্তব ব্যাবহারে না। এইবার আসেন সিরাজের বদনা, স্যরি, নাস্তিকদের বিষয়ে। সারা দুনিয়াতে নাস্তিকদের পরিমান মোট জনসংখার ২.৪% অর্থাৎ, পুরা দুনিয়াতে বিশ্বাসী (সকল ধর্ম মিলে) ৯৭.৬ % আর নাস্তিক ২.৪% উপরের হিসাবেই পাওয়া যায়, নাস্তিকরা পৃথিবীর একটি বিপন্ন এবং বিলুপ্তপ্রায় জনগোষ্ঠী এইবার দুনিয়ের দিকে তাকান, শিম্পাঞ্জি থেকে শুরু করে টেকো ঈগল নিয়ে দুনিয়ার হাউকাউ দেখেন, বিলুপ্ত পাখি ডোডো নিয়ে মানুষের কান্না দেখেন। দিল ফাইট্যা যায়।

তার যাইতে যেমন বিলুপ্তপ্রায় প্রানীদের জন্য ছোটোখাটো অভয়ারণ্য করে দেওয়া হয়, তেমনই নাস্তিকদের জন্যও সামুতে একটা গ্রুপ অথবা ট্যাব করে দেওয়া হোক। একজন মডারেরট থাকবে যে নাস্তিক ভাবধারার নিকগুলোকে স্পেশাল সেই ট্যাব বা গ্রুপে আবদ্ধ রাখবেন এবং নতুন নিকগুলো নাস্তিকতা প্রচার শুরু করলেই তাকে সেই স্পেশাল গ্রুপে বা ট্যাবে সঞ্চালন সীমাবদ্ধ করে দেবেন। লাভ: ওদের কৌতুক দেখে আমরা নির্মল বিনোদন পাবো, আবার ওরা সংরক্ষিত এলাকার বলে এখনকার মতন ব্লগের সবখানে লাফঝাপও করতে পারবে না। (পোষ্ট না পড়িয়া খোঁচানিমূলক মন্তব্যকারী খানদানী বাপ-দাদা চৌদ্দগোষ্ঠি আবাল হিসাবে বিবেচ্য হইবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।