আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হয়তো বা (তৃতীয় খন্ড)



আজ অয়নকে দেখার পর থেকে বারবার তার কথাই মনে পড়ছিল দয়ীতার। আজ কত বছর পর দেখল অয়নকে। যেই অয়নকে সে একদিন না দেখলে সে থাকতে পারতনা তাকে আজ তাকে একটা যুগ পর দেখল সে। এই এক যুগে কি একটা বারের জন্য ভুলতে পেরেছিল অয়নকে। একটা দিনের জন্য ও অয়নকে ভুলতে পারেনি দয়ীতা।

তুহীনের সাথে বিয়ের পর অয়নকে ভুলে যেতে অনেক চেষ্টা করেছে সে, কতবার ভেবেছে সে তুহীনকে সে আর কষ্ট দিবেনা তাকে সত্যি ভালবাসবে। কিন্তু পারেনি। বিয়ের পর পর তুহীন যখন তাকে বৃষ্টি দেখাত, চাদ দেখাত,তার হাতে হাত রেখে স্বপ্ন বুনত, তাকে পরম ভালোবাসায় কাছে টেনে নিত,দয়ীতা পারতনা তখন তুহীনের ভালোবাসায় নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। তুহীনের সাথে স্বপ্ন দেখতে পারতনা সে। কারন এই স্বপ্ন গুলোতো শুধু তার আর অয়নের ছিল সে কিভাবে এই স্বপ্নগুলো তুহীনের সাথে ভাগ করে নেবে।

পারতনা দয়ীতা তার বারবার মনে হত হয়ত অয়ন এখনো তাকেই ভালোবাসে সে কিভাবে অন্য কাউকে ভালোবাসে। তুহীনকে কখোনোই ভালোবাসতে পারেনি দয়ীতা,শুধুমাত্র একটা মেকী অভিনয় করে যেত,তুহীনকে কষ্ট না দেয়ার জন্য। কিন্তু তার অভিনয় ধরা পরে যায় তুহীনের কাছে । তুহীন যেদিন প্রথম যেদিন অয়নের কথা জানতে পারে কি অসম্ভব ঘৃনা নিয়ে তাকিয়েছিল সে দয়ীতার দিকে। সেদিন থেকেই সব শেষ তাদের মাঝে।

যতটা ভালোবাসা নিয়ে তুহীন তাকে কাছে টেনেছিল,ততটা ঘৃনা নিয়েই সে তাকে দূরে ঠেলে দেয়। তারপর থেকে তাদের মাঝে যে দেয়াল তৈরী হয় তা আজও কেউ ভাঙতে পারেনি। আজ অয়নকে দেখার পর থেকে দয়ীতার জীবনের সব ঘটনা তার চোখের সামনে ভাসতে থাকে। জীবনে সব পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা মনে পড়ে যায় বারবার। কাল কতবছর পর অয়নের সাথে আবার কথা হবে দয়ীতার।

যেই অয়নকে না ভুলতে পেরে আজও কারও হতে পারেনি দয়ীতে। জীবনের এতটা বছর যার জন্য নিজেকে একা করে রেখেছে, কাল তাকে আবার দেখবে দয়ীতা। দয়ীতার চোখে ঘুম আসেনা, রাতটা অনেক বড় মনে হয় দয়ীতার কাছে। দয়ীতা বোঝেন এই দীর্ঘ রাতের পর কি আসবে তার জীবনে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।