আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

-ধ্রুবক-

আমি এবং আরণ্যক ছাইরংয়া বধ্যভূমিতে দাড়িয়ে দেখছি শেষ সূর্যাস্ত

অনেক বেনামী দলিল দস্তাবেজ, কাগজপত্র জমে আছে টেবিলে, স্নায়ুতে উষ্ণতা বাড়লে দুপুরের মুক্ত রোদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিন্তে টেনে নিই কয়েক ইঞ্চি নিকোটিন শ্বাস; মুহুর্তের ইপ্সিত গ্লানি, বেশ সাশ্রয়ে মুক্ত দানার মতো স্বল্প সময়ের জন্য ঝরে পড়ে তামাটে ছাইদানিতে । ওরা সবাই ছুটছে কিন্তু আমি মোটেও ছুটতে পারিনা, মেনে নেবার অভ্যস্ততা অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান শেকলে আঁকড়ে ধরে দু’পায়ের গতি, দিনের পর দিন শ্লথ হয়ে আসে বহুকষ্টে পুষে রাখা আঁধার বিরোধী বেমানান স্পৃহাগুলো, আমি ছুটতে পারিনা, আমি রাখতে পারিনা কথা; দুরাশার তিমিরে জ্বলজ্বলে লুব্ধক দেখে দ্বিধাগুলো চমকে ওঠে, এই বুঝি প্রযুক্তির খাতায় জন্ম হলো আরও একটি কৃষ্ণগহ্বর বুকের ভেতর থেকে কাঁপুনিটা ঠোঁটের কোনায় এসে ভাষা হয় “এখানেই ইতি টেনোনা, সমাপ্তির এখনো অনেক বাকি অন্তত আরও কিছুদিন বেঁচে থাকো, অপেক্ষা করো বিকৃতির শৈল্পিক অভিযোজনের” আমার জন্য এটুকুই যা অবশিষ্ট, বেশি কিছু নয় । বাইরের তীব্র বৃষ্টি, উন্মাতাল বাতাসে চেনাগন্ধ টের পেলে বেশ স্বাভাবিকতায় শিয়রের জানালাটা বন্ধ করে দিই, আমি বুঝে গেছি দুরত্বের পরিমাপ সবসময়ই নিয়মনিষ্ঠ নয়, উত্তেজনার বোকামীতে হেরে, শুধুই ভ্রান্তির ঘোরে পালাতে চেয়েছি দুরপাল্লার ট্রেনে চড়ে দৃষ্টিসিমানা থেকে বহুদুর, অথচ কি আশ্চর্য ! আমার বুকপকেটেই ছিল দুরত্বের প্রভাবক; আমার চৌদিকের ক্যানভাসে প্রতিদিন দৃশ্যগুলো বদলায়, আমি পরিপাটি পোশাকে দু’ঠোঁটে ধ্রুবক হাসি ধরে রেখে প্রতিদিন একই চেয়ারে বসে ক্রমাগত হিসাবের খাতা উল্টে যাই। ১২.০৫.২০১১ শ্রীমঙ্গল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।