আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিমা প্রকল্প বন্ধ

গ্রাহকরা জানান, এক সপ্তাহ আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয়টি। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কর্মকর্তাদের।
এতে সঞ্চয়ী আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজশাহী বিভাগের লক্ষাধিক গ্রাহক। তারা কোম্পানির মাঠকর্মী ও কর্মকর্তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন।
এদিকে গ্রাহকদের চাপের মুখে বিমা কোম্পানির হাজার হাজার মাঠকর্মী ও শাখা কর্মকর্তা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।


রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানা শাখার গ্রাহক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে জমা দিয়েছেন। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে টাকা জমা দেয়ার ১০ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তার পাশ বই নম্বর ০৭৩২-০০০০১১-২।
কিন্তু তার সঞ্চয়ী টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়টি বন্ধ করে দিয়ে কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছে, বলেন তিনি।


শাহ মখদুম থানা শাখার ব্যবস্থাপক আজিবার রহমান বলেন, ১৯৯৯ সালে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বন্ধু বিমা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। নগরীর চার থানার চারটি শাখায় গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ছয়শ’।
গ্রাহকরা ১০ বছর মেয়াদের জন্য ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকা করে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে টাকা জমা দিয়েছেন বলে আজিবার জানান।
এরমধ্যে প্রায় তিনশ’ গ্রাহকের টাকা জমা দেয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অন্যদের টাকা নেয়া বন্ধ করা দেয়া হয়েছে গত জানুয়ারি থেকে।

কিন্তু এখনো কারো টাকা ফেরত দেয়া হয়নি, বলেন তিনি।
এতে গ্রাহকদের ভয়ে মাঠকর্মী ও শাখা ব্যবস্থাপকরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য গত ১২ মার্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুল বারী চৌধুরী, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম ও রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের ইনচার্জ আসাদ হোসেনকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় ইনচার্জ আসাদ হোসেন জানান, রাজশাহী বিভাগে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বন্ধু বিমা প্রকল্পের প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।

এরমধ্যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গ্রাহকের টাকা জমা দেয়ার মেয়াদকাল পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, কোম্পানির নির্দেশে গত জানুয়ারি থেকে সঞ্চয় গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হয়। কোম্পানির কর্মকর্তা পরিবর্তন হওয়ার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোম্পানি থেকে ভাড়া না দেয়ায় অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।


কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুল বারী চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, “কিছু গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের টাকা ও কাগজপত্র প্রধান কার্যালয়ে জমা হয়নি। সেগুলো নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ”
এসব ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকদের কাগজপত্র নিয়ে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.