আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
১। একদিন নিজেকেই ভুলে যাবো
দেখিস একদিন ঠিকঠাক সব ভুলে যাবো
আদাজল খেয়ে গভীরে নামবো না
অথই তল হাতরে নিশানা খুঁজবো না
ঠিক কোন বদ্ধ খুপচিতে আমার অবস্থান ছিল
ঠিক কোন কোন অলিন্দে আমার ঠিকানা ছিল
সব ভুলে যাবো।
ভুলে যাবো বৃষ্টিতে ভেজা সোহাগ রাত
ভুলে যাবো কাগজের নৌকা
ভিজে ভিজে চুপসে যাবো জলে
আমার নোঙর হারাবে
আমার বন্দর
দূর থেকে দূরে সরে যাবে।
আমি ভুলে যাবো গোলাপ বাগান
আমি ভুলে যাবো মায়াবতী উঠান
দু'পায়ে দাপাদাপি দু'দিকে দু'জন
দু'টি দেহ একটি মন।
ভুলে যাবো স্নেহ মমতা
রোদের সন্তাপ জারুল ছায়া
সব কিছু ভুলতে ভুলতে
একদিন আমি
নিজেকেই ভুলে যাবো।
২। অনেক তো হলো
অনেক তো হলো স্রোতে গা ভাসানো
এখন আর ভাসতে ইচ্ছে করে না
ইচ্ছে করে উল্টোপথে চলি
চৌ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে হল্লা করি
ধর। ধর। ধর।
অমনি চর্তুদিক থেকে জনস্রোত এসে
উপচে পড়বে আমার উপর
পাগল ভেবে
এপাশের চোয়াল ওপাশে পাঠিয়ে দিবে
বাস্তুহারা করবে হাঁটুর সন্ধি।
তবু একটা কিছু তো হবে
গা গতরে বেদম ব্যথা নিয়ে কাতরাচ্ছি
তবু একটা কিছুতো হবে
হল্লার দেশে আরও পাগল বাড়বে
বেনামী উদ্ভট মস্তক বাড়বে।
মাঝেমাঝে নামজাদা শাহজাদার চেয়ে
বেনামী মস্তক হলেও মন্দ কি!
নাম ঠিকানাহীন উদ্বাস্তু হয়ে
গন্তব্যহীন হাওয়ায় উড়ছি
জটাধারী সন্যাসের মত
নির্জনতার ছায়াতলে
উদ্দেশ্যহীন ঘুরছি ফিরছি।
কোন নাওয়া নেই খাওয়া নেই
উটকো টানে ঘরে ফেরার তারা নেই।
৩। আমার শব্দহীন জগত
মায়া মমতা সব সুনীল দূরত্বে চলে গেছে।
দূরবিনে চোখ রেখে স্নেহ খুঁজি। সুখ খুঁজি। হরিৎ মাঠে ভালবাসারা ঘুমায়। কেতাদূরস্তরা তাদের মোটা দামে রেসের ঘোড়ার মত লাগাম টেনে নিয়ে গেছে। আমি এখন সব ছেড়ে নীল দূরত্বে।
সাত সাগরের পাড়ে। অবকাশ যাপন করছি। এই পরবাসে প্রতিদিন ধূলো বালির বাসরে আমার নৈমিত্তিক কার্য শুরু হয়। শেষ হয়। উপযাচে দুটো কথা বলার মতো এখানে কেউ নেই।
ভাবতেই ভাল লাগে। আমার শব্দহীন জগত। একান্ত আমার!
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।