আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কপিরাইট আইন মান্য করে পাইরেসিকে না বলি



এবারের বইমেলায় কপিরাইট অফিস মোঃ মনজুরুর রহমান লিখিত একটা লিফলেট বিতরণ করেছে । খুব সুন্দরভাবে কপিরাইট সম্পর্কে বলা হয়েছে এখানে। “সৃষ্টিশীল মানুষ দু’ধরনের সম্পদ নিয়ে শিক্ষিত জীবন যাপন করে; প্রথমত বস্তুগত সম্পদ- জায়গা-জমি, গাড়ি-বাড়ি, টাকা-পয়সা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ইত্যাদি ও নানারকম প্রাত্যহিক ব্যবহার্য দ্রব্যাদি এবং দ্বিতীয়ত মেধাসম্পদ বা Intellectual Property এর আওতায় আছে- সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, শিল্পকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, অডিও-ভিডিওকর্ম, চলচ্চিত্রকর্ম, ফটোগ্রাফি, ভ্স্কার্যকর্ম, সম্প্রচারকর্ম ইত্যাদি। মানুষের বস্তুগত সম্পদ যেমন মালিক বৈ অন্য কেউ প্রকৃত মালিকের অনুমতি বা মূল্য পরিশোধ ছাড়া ভোগ বা ব্যবাহার করতে পারে না, মেধা সম্পদের ক্ষেত্রেও সে বিধান সমানভাবে প্রযোজ্য। অথচ বস্তুগত সম্পদের রক্ষায় সারা পৃথিবীর মানুষ ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যতটা সচেতন ও কর্তব্য পরায়ন, মেধাসম্পদ রার ক্ষেত্রে ঠিক যেন তার বিপরীত, বিশেষ করে এশীয প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে।

” তৃতীয় অংশটি খুবই চমৎকার। “এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কেন এই মহুর্তে কপিরাইটকে এতাটা গুরুত্ব দিচ্ছি? কপিরাইটের সঙ্গে সভ্য মানুষের সর্ম্পকই বা কী? কেন মানবো কপিরাইট আইন? এ প্রশ্নের উত্তরে সংক্ষেপে যে কথাটি বলবো তা হচ্ছে-কপিরাইট আমাদের জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিকাশে অন্যতম Tool বা কৌশল। অন্য কথায় একবিংশ শতাব্দীর সকল সৃষ্টিশীল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডই বার বার হোঁচট খেতে বাধ্য। অন্যের সম্পদ ধার করে বা চুরি করে বেশিদুর এগুনো যায় না। কপিরাইটের সঙ্গে সৃষ্টিশীলতার নিবিড় সখ্য বিদ্যমান।

ফলে, সৃষ্টিশীল মেধাসম্পদ যদি কেবইলই চুরি হতে থাকে বা সৃষ্টিশীল কর্মের পাইরেসি হতে থাকে তবে একদিন সেই সৃষ্টিশীল মানুষগুলো হয়তো মুখ ফিরিয়ে নেবেন তাঁর আরাধ্য শিল্পসৃষ্টি থেকে। জীবনানন্দের ভাষায়, ‘সৃষ্টির সিন্ধুর বুকে’ আর কেউ জাগাবে না ঢেউ! অথবা পাড়ি জমাবেন অন্য কোথাও অন্য কোন দেশে: আমরা কেবলই শিকার হব মেধাশূন্যতার। স্থুলবুদ্ধির ভারে আক্রান্ত হবে দেশ এবং কেবলই পরনির্ভরশীল হয়ে থাকবো আমরা, দেশে-বিদেশে পরিচিত হবো আইন অমান্যকারী হিসেবে! তাই আসুন: কপিরাইট আইন মান্য করে পাইরেসিকে না বলি। ”

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।