আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কপিরাইট ও অন্যান্য:

আমার আগের হেডিং টা সরাই দিছি

কপিরাইট নিয়ে অনেকধরনের আলাপ আছে। সবচে বড় আলাপটা কিন্তু আমাদের কটা বাংগালিকে নিয়ে! আচার্য জগদিশ চন্দ্র বসু -- ১৮৯৬ সালে মাইক্রোওয়েভ কমুনিকেশন আবিষ্কার করেন যেটা সত্যিকার অর্থে মানবদের কাজে আসে ১৯৬০ সালের পরে। কোনো কপিরাইট করেন নি সেই টেকনোলজির। তিনি আরো আবিষ্কার করেন যেটার নাম এখন দেওয়া হয়েছে "বোস কোহেয়ারার"। সেটাকে নিয়ে তিনি আমেরিকায় একটা কনফারেন্সে যান ১৮৯৮ সালে এবং সেখানে তার সাথে আলাপ হয় টেসলা ও মার্কনির সাথে -- তাদেরকে তিনি তার কোহেয়ারার কেমনে কাম করে ঐটা ভালো কইরা বুঝায়া দেন।

মার্কনি ১৯০২ সালে "বোস কোহেয়ারার" ব্যাবহার করে, প্রথম রেডিও আবিষ্কারের কৃতিত্ব নেন। সেই "বোস কোহেয়ারার" এর ও কোনো কপিরাইট বা পেটেন্ট করেন নি। আরো একজনের কথা বলি। এনার নামও বোস। ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের হেড ছিলেন একসময়।

কদিন আগে যে পার্টিকেল এক্সেলেরেটর মেশিন নিয়া একটা এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছিলো -- যেটা নিয়ে কিনা লোকজন বলবলি করছিলো যে এই এক্সিপেরিমেন্টের ফলে পৃথিবি একটা সুন্দর ছোটোখাটো ব্লাক হোলে পরিনত হবে -- সেই এক্সপেরিমেন্টের মুল লক্ষ্য ছিলো হিগস বোসোন কনা নিয়া। Boson শব্দটা এসেছে বোস থেকে। পেপারটা জয়েন্টলি আইনস্টাইনের সাথে পাবলিশ করেছিলেন কিন্তু কোনো পেটেন্ট করেন নি। অনেকে হয়তো বলবেন যে তাদের এই উন্মুক্ত চিন্তার কারনে আজকে রূপ পেয়েছে বিশাল হাড্রন কোলাইডারে। Click This Link ( সাইডনোট: চিন্তা করেন আমাদের এই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেই বোসোন কনার জন্ম আর সেইটা নিয়া আইজকে কত মাতামাতি।

) তার কারন হলো জগদিশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, মেরি ও পিয়েরে কুরি ও অন্যান্যরা ছিলেন আবিষ্কার গুলোকে পেটেন্ট করার বিপক্ষে। তারা বলতেন যেই-ই আবিষ্কার করুক না সেগুলো সব মানবের সমান অধিকার। তিনি আবিষ্কারের মাধ্যম মাত্র। আবিষ্কর্তা নন। তো আবিষ্কারের মাধ্যম বলে তিনি ওটার "বিকাশ" ও "বিস্তার" কে কোনো ভাবে কন্ট্রোল করতে পারবেননা।

খুব বড়জোর "বিকাশ" ও "বিস্তার" এ অবদান রাখতে পারবেন। যদি তারা "বিকাশ" ও "বিস্তার" কে কোনো ভাবে কন্ট্রোল করেন তাহলে সেটা ঐ আবিষ্কারকেই ধ্বংস করা হবে। আশা করবো এই পোস্ট টা আপনাদের চিন্তার খোরাক যোগাবে। ধন্যবাদ


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।