আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেইরকম একটা দিন

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-)

একসাথে পড়া-নোট করার জন্যে আজিম পুরে বিপার বাসায় প্রায়ই যাওয়া হয়। তন্বী, রোমানার বাসাও সেখানে হওয়াতে ভালই সুবিধা হয়।

তবে সব সময় আড্ডা পড়া সব বিপার বাসাতেই হয়। গত কালও গিয়েছিলাম বিপার বাসায়। কাজ শেষে এক পর্যায়ে চলে আসতে চাইলে বিপা বলল ফ্রীজে বড় চিংড়ি আছে, চিংড়ি ভূনা সাথে খিচুড়ী করতে। এবং সেটা করতে আমাকেই বলা হল। যদিও প্রথমে একেবারেই রাজী ছিলাম না।

চাল দেয়ার পরে আরো রাজী হইনি। কারন বুঝতে পারছিলাম এত্ত খিচুড়ী আগে কখনও এভাবে রান্না করিনি। আপত্তি করলেও তা টিকলো না পরে তেতে না পারলে আমার দোষ না। এই শর্তে রাজী হলাম। তো শুরু করলাম রান্না প্রস্তুতি।

প্রস্তুতি পর্বে কাটিকুটি। কে কাটছে তা নাহয় না-ই বলি ভূনা করার জন্যে চিংড়ি রেডী রান্নার জন্যে লাগবে পেঁয়াজ মরিচ। সেটাও রেডী। কেটেছে তন্বী চিংড়ী ভূনা হয়েও গেল এই ফাঁকে তন্বী তরমুজ কাটায় ব্যস্ত খাবার অপেক্ষায় এই ফাঁকে হয়ে গেল ঐতিহাসিক খিচুড়ী। কেমন হয়েছিল খেতে সেটা নাহয় আজ না-ই বলি সাথে ছিল দই।

যাইহোক এতো গেল খাবার দাবার পর্ব। খাওয়া শেষে বাসায় আসার প্রস্তুতি নিলে শুরু হল বিপার রিকোয়েস্ট আজ থেকে যা। পাত্তা দিই নি ওর কথা, প্রায়ই বলে এরকম, তাই। কিন্তু কাল যে এরকম সিরিয়াস ছিল বুঝলাম যখন আম্মাকে ফোন দিলো। ফোন দিয়ে বলে, আন্টি আমার ত কয়দিন পরে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।

চলেই যাবো, আরতো থাকা হবেনা। আজ ও থাকুক আমার বাসায়। (বিয়ের ব্যাপারটা সত্যিই ৮০% কনফার্ম) আমার থাকার কোনই ইচ্ছে ছিলনা। কারন জানি সারা রাত আম্মার ঘুম হবেনা। আমাকে চরম ভাবে আবাক করে দিয়ে আম্মা ওর সাথে কথা বলে রেখে আমাকে ফোন দিয়ে বলে মেয়েটা এত করে বলছে, বিয়ে হয়ে যাবে কয়দিন পরে।

আজকে থাক। আমি কয়েকবার করে জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিলাম ভেবেচিন্তে বলছো ত! অবশেষে গেলাম থেকে। ঠিক হল ওর রুমে দুইজন ছিলনা। তাদের বেডেই রাতে তিন জন থাকবো। তন্বীকে বলা হলো ওর রুম থেকে চলে আসতে।

সব প্ল্যান করা হলে দেখি এক জন এসে হাজির যার ফলে তন্বির আর আসা হল না। সন্ধ্যায় পলাশী গেলাম কয়েকজন মিলে পানি আনতে। সেখান থেকে বাসায় এসে তন্বীকে ফোন দিলো বিপা নিচে নামতে। সিড়িতে পানির ব্যাগ রেখে আবার তিন জন বের হলাম হাটতে। হাটতে হাটতে একেবারে বুয়েট।

ঘুরে-টুরে বেশ মজা করলাম। তন্বী বলছে মুক্তা মাঝে মাঝে আমাদের এখানে এসে থাকবা। তাহলে এরকম মজা করা যাবে। শুরু হলো আবার বিপার আফসোস। লাইফটা শেষ হয়ে যাবে... এই লাইফ আর এনজয় করতে পারবো না ইত্যাদি ইত্যাদি।

বিপা-তন্বী; এইটা আবার কে রাতে বাসায় ফিরে দেখি সবাই চলে এসেছে। সে এক অন্যরকম লাইফ এদের। কেউ গল্প করছে পাশেই শুয়ে কেউ পড়ছে! সকালে ঘুম থেকে উঠে চলে আসলাম বাসায়। জীবনের প্রথম এরকমভাবে থাকা। যাক খারাপ হয়নি খুব একটা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.