আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসরায়েল ইন বাংলাদেশ !!!


ইসরায়েল-বাংলাদেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবে ফেসবুকে একটি পেজ খোলা হয়েছে; Israel in Bangladesh এই পেজটি সম্পর্কে বলা হয়েছে; Since Israel and Bangladesh do not enjoy formal diplomatic relations, this online embassy serves to foster friendship between the nationals of Israel and Bangladesh on FB. Hopefully we can soon build real embassies in Bangladesh and Israel, Shalom! অর্থাৎ এই অনলাইন এ্যম্বাসি'র কল্যাণে এই দুই জাতির মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে এবং যা দেশ দুটিতে প্রকৃতই এ্যম্বাসি'র প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করবে। ১৯৪৮ সালে ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের ভূমি জোর করে দখল করে বসতি স্থাপন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড- ফ্রান্সের ম্যান্ডেটে। ১৯১৭ সালের দোসরা নভেম্বর বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। বেলফোর ঘোষণার মাধমে প্যালেস্টাইন এলাকায় ইহুদিদের আলাদা রাস্ট্রের সম্ভবনা উজ্জল হয় এবং বিপুলসংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে প্যালেস্টাইনে এসে বসতি স্থাপন করতে থাকে।

১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক হাজার। কিন্তু ১৯১৪ (প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর) সাল থেকে শুরু করে ১৯৪৮ সাল নাগাদ ৩৪ বছরা বৃটিশদের সহযোগিতায় ইউরোপসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের নিয়ে এসে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত করা হয়। ১৯১৮ সালে বৃটেনের সহযোগিতায় গুপ্ত ইহুদী বাহিনী "হাগানাহ" গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়।

ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদের বিতাড়নের কাজ ত্বরান্বিত করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর কাজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দ্বিখন্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে নিজেদের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েল স্বাধীনতা ঘোষণা করে। অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদি বসতি ইসঅরায়েল আজ অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপিয়দের মদদ নিয়ে পৃথিবীর পারমাণবিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে।

পরাশক্তি হোক আর যাই হোক তা আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে গড়ে উঠা একটা বসতিমাত্র। এই ইসরায়েল বসতি'ই আমাদের স্বাধীণতালাভের পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছে আর আমরা তা প্রত্তাখ্যান করে আসছি কেননা এটি কোন রাষ্ট্র নয়। শুনেছি জাতিসংঘের কাধে চেপে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের আজন্ম বাদরামি শুরু করে দিয়েছে ইসরায়েলি ইহুদিরা। সেখানে জাতিসংঘ CHTDF নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে শত শত কোটি ডলার ব্যায় করছে। আর সেই প্রকল্পের কর্মকর্তা হিসেবে এক বা একাধিক ইহুদি এবং ইসরায়েলি চর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সেই ১৯৯৮ সাল থেকেই।

জানিনা এটি কিসের আলামত আর আমাদের এই মুহূর্তে আমাদের কী করা উচিত। একটিমাত্র গাড়ির জন্যে যে দেশের জনপ্রতিনিধি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজ দেশের খনিজ সম্পদ বিকিয়ে দেওয়ার চুক্তি করতে পারে সেখানে আমরা কিভাবে নিশ্চিৎ হব যে এ গুজবের কোন বাস্তবরূপ অসম্ভব। মোসাবের দোসররা এ দেশেও আছে যারা ইসরায়েলি এই অনলাইন এ্যাম্বাসিকে তাদের ফেসবুক একাউন্টের পছন্দ তালিকায় রেখেছে। আমরা এদেশে ইসরায়েলের এ্যাম্বাসি চাইনা,এ্যাম্বাসি জোনেও না অনলাইনেও না। অন্যের ভূমি জোর করে দখল করে গড়া বসতিকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবেনা।

এ অন্যায় হতে দেওয়া যায়না। এ অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা বিকৃত মস্তিষ্কগুলোকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিতে হবে এখনই।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.