আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবীন গবেষকদের জন্য কিছু কথা



পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে গবেষণায়। নবীন গবেষকদের গুরুত্ব দিতে হবে- তার কর্ম নৈপুণ্যের উন্নয়ন সাধনকে। সকল সৃষ্টিশীল কর্মের পেছনে অবশ্যই মহৎ উদ্দেশ্য রাখা জরুরী । গভীর চিন্তা করার ক্ষমতায় দক্ষ হওয়ায় জন্য চিন্তাশক্তিকে ব্যবহার করা, বেশী বেশী পড়াশুনার কোন বিকল্প নেই। পর্যবেক্ষণ ক্ষমতাকে সুদক্ষ করতে হলে সদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

বিশ্ল্লেষণী ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে হলে আলোচনা , পর্যালোচনা ও জ্ঞানার্জন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। বলায়, চিন্তায়, লেখনিতে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হতে হবে। পরিশ্রমপ্রিয়তা ছাড়া এক্ষেত্রে কাংখিত মানে পেঁৗছানো একেবারেই অসম্ভব। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা যত্নের সাথে পুরো সৃজনশীলতাটাকে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। বিজ্ঞানীরাও পরীক্ষা করে দেখেছেন, মনে রাখার প্রতিযোগিতায় শিম্পাঞ্জিরা মানুষকে হারিয়ে দিয়েছে।

মুখস্থ করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়া শিম্পাঞ্জির সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ারই শামিল। তাইতো ভাল রেজাল্টধারী তোতাপাখি পাওয়া যতটা সহজলভ্য গবেষক পাওয়া ততটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেহেতু - অন্যবিধ জ্ঞানের সাহায্য ছাড়াই বিষয়বস্তুর স্বরুপের উপলব্ধি করতে শিখতে হবে। র্অন্তজ্ঞানকে বাড়াতে হবে। বাহ্যরুপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্তর্নিহিত রুপ আবিষ্কারের প্রয়োজনীয় র্অন্তদৃষ্টি জাগাতে হবে।

চিত্তে সৃষ্টি করতে অন্তর্নিহিত গভীর শক্তি, সত্যিকার উপলব্ধি করার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। লক্ষ্য সুস্পষ্টভাবে নিণর্ীত না হলে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়না । সঠিক কর্ম পরিকল্পনা ব্যাতিত লক্ষ্যও অর্জিত হয়না। তাই পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রশিক্ষণ নেয়াকে গুরুত্বপূণ বিবেচনা করতে হবে।

পরিকল্পনার বাস্তবায়নে উপযুক্ত কর্মকৌশল, পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দিতে হবে। জ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তিগত লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, লেখালেখি, প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেবা প্রদানের ইচ্ছায় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ ও তৎপরতা যৌক্তিক। সমাজ সংস্কার ও সংশোধনের ইচ্ছায় চিন্তা-গবেষণায় প্রায়োগিক দিককে গুরুত্ব দিতে হবে। সমসাময়িক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে মানবতার জন্যে কল্যাণধমর্ী লেখা প্রকাশ ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণকেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।

নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ও সক্ষম ভাবতে হবে । মনে রাখতে হবে, ইতিবাচক ইমেজ তৈরির প্রয়াসে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী উভয়ধরনের আউটপুটই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একাডেমিক রেজাল্ট ভাল করার প্রচেষ্টার পাশাপাশি জ্ঞানার্জনের জন্যে প্রয়োজনীয় আবেগ ও নতুনত্বকে জানার ঝোঁক প্রবণতা থাকতে হবে। বইপড়াকে আগ্রহ ও লেখালেখিকে শখে পরিণত করতে হবে। সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতা থাকতে হবে।

মাঝে মাঝে নতুন নতুন আইডিয়া মাথায় আসতে হবে। নিজের স্বতন্ত্রতা ও স্বকীয়তা তৈরি করতে হবে। নানান বিষয়ে গভীরভাবে ভাবতে ,চিন্তা করতে ভাল লাগতে হবে। ভাষাগত দক্ষতা ও আইটি স্কীলের বিকল্প নেই। আমাদেরকে শুধু স্বল্পমেয়াদে কিছু অর্জন করার ইচ্ছা সাময়িক প্রাপ্তির মাধ্যমে আনন্দ লাভের নিশ্চয়তা দিতে পারে ।

তাই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য রাখাতেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া হবে। কেননা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য থাকলে স্বল্পমেয়াদী সাফল্য স্বাভাবিকতই অর্জিত হবে । বুদ্ধিবৃত্তিক কর্ম কর্মতৎপরতাকে বড় পরিসরে বিসতৃত করতে হলে সময়ের দাবী অনুযায়ী আত্বগঠন, যুগোপযুগী পদ্ধতিতে উপযুক্ত মাধ্যমে কাংখিত বিষয়ে চিন্তা গবেষণা করা ও তা পরিবেশনের পর্যাপ্ত কৌশল আয়ত্বের জন্যে সামর্থ্য বৃদ্ধির বিকল্প নেই । গবেষণার জন্যে মেধাবী,মননশীল, সৃজনশীল ও সৃষ্টিশীল মগজধারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকেই অনেক মূল্যবান।

কারণ কারো একটি নতুন ধারণা কোন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যেতে পারে অনেকদূর। চিন্তা-স্বপ্ন-পরিকল্পনার বৃহৎ পরিসরকে বাস্তবে রুপদান প্রক্রিয়ায় ছোট পরিসরের কর্মতৎপরতাকে গুরুত্বহীনভাবা যাবেনা। মনে রাখতে হবে- আবেগ+বুদ্ধি/অভিজ্ঞতা+পরিশ্রম =শক্তি। জ্ঞান+সম্মান+সৃষ্টির সেবা+স্রষ্টার সন্তুষ্টি+ক্ষমতা+অর্থ+মানসিক প্রশান্তি+সুস্থতা=সফলতা। এজন্য ব্যক্তিগতভাবে করণীয় হচ্ছে, সার্বক্ষণিক চিন্তা, পর্যাপ্ত সময়দান, অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া।

থাকতে হবে আত্ববিশ্বাস, উচ্চাশা ,সুন্দর স্বপ্ন, সংকর্ীণতামুক্ত উদার মন ,পরিশ্রমপ্রিয়তা ও আন্তরিকতা, মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে অংশগ্রহণের সুতীব্র আগ্রহ। সবাই যখন সুস্বাস্থের অধিকারী হবে,ভাল রেজাল্টধারী হবে, আত্দরক্ষার কৌশল জানবে ,ইংলিশ স্কিল ভাল থাকবে , কম্পিউটারের মৌলিক জ্ঞান থাকবে , ড্রাইভিং পারবে (বাই-সাইকেল, মটর সাইকেল, গাড়ী), নানান বিষয়ে পড়াশুনা ও লেখালেখিতে আগ্রহী হবে তখন অনেক বড় কাজও সহেজই করা সম্ভব হবে। ব্যক্তিগতভাবে সবার - মোবাইল থাকবে, ই-মেইল আইডি থাকবে , ক্যামেরা থাকবে , রেকর্ডার থাকবে , কম্পিউটার থাকবে , ইন্টারনেট ব্যাবহারের সুযোগ থাকবে, সাতাঁর পারবে , বক্তৃতা ও সুন্দর করে কথা বলায় দক্ষ হবে , ব্যক্তিগত লাইব্রেরী থাকবে, নিজ জীবন,পরিবার,সমাজ, সংগঠন নিয়ে লিখিত পরিকল্পনা থাকবে । ভাল নপ্রস্তুতি ছাড়া ভাল কিছু করা অসম্ভব। সাহায্য নিতে হবে-বিভিন্ন ওয়েব এনসাইক্লোপিডিয়ার।

যেমন http://www.wikipedia.com, http://www.encyclopedia.com, http://www.webopedia.com, http://www.britanica.com, http://www.tripod.com (physics), http://www.ammas.com Free e-journal গুলোর সাহায্য নিতে হবে। যেমন: http://202.64.132.69/journal.asp?id=A&F=T, http://www.e-journals.org, http://www.springerlink.com/home/main.mpx, http://www.freemedicaljournals.com/, http://www.acadjournal.com/ , http://www.doaj.org/, Click This Link Click This Link free e-book গুলোর সাহায্য নিতে হবে। যেমন: http://www.freeebooks.net/, http://www.ebookdirectory.com/, http://ebookmail.com/free-downloads/, http://books e-library গুলোর সাহায্য নিতে হবে। যেমন: http://blogkindle.com http://www..themorningsun.com http://www.universityworldnews.com http://ohilibrary.blogspot.com/ ( Islamic) search engine & site গুলোর সাহায্য নিতে হবে। যেমন: http://www.google.com, http://scholar.google.com, http://www.scirus.com, http://www.jstor.org, http://www.lse.ac.uk/collections/IBSS বিভিন্ন লাইব্রেরী গুলোতে যেতে হবে।

যেমন, বইবাজার প্রতিদিন ৯টা থেকে ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে স্টলে বই পড়া ও ফটোকপি করা যাবে । হাউজ #১/এ, রোড #১(পুরাতন), ৩ (নতুন) মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ ফোন-৯১২৪১৫১ ফরাসি সাহিত্য ও দর্শনের বইয়ে সমৃদ্ধ অলিয়স ফ্রঁসেজ লইব্রেরী ২৬ মিরপুর রোড, ঢাকা -১২০৫ ফোন -৮৬১১৫৫৭,৯৬৭৫২৪৯ নজরুল ইন্সটিটিউট লাইব্রেির বাড়ি-৩৩০/বি রোড-২৮ পুরাতন, ধানমন্ডি আ/এ ঢাকা -১২০৯ ফোন-৯১১৪৬০২, ৯১১৪৫০০ জাতিসংঘ রেফারেন্স লাইব্রেরী জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র রেফারেন্স গন্থাগার আইডিবি ভবন (৮ম তলা ) বেগম রোকেয়া স্মরণী শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ টেলি-৮১১৮৬০০,৮১১৭৮৬৮ ফ্যাঙ্-৮৮-২-৮১১২৩৪৩ শেরেবাংলা নগরের জাতীয় গ্রন্থাগার ও আকর্াইভস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর লাইব্রেরী, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও গবেষণা পরিষদের লাইব্রেরী, প্রত্নতাতি্নক অধিদপ্তরের লাইব্রেরী, Asian Development Bank library, World bank libraryতে যাওয়া যেতে পারে। বাংলা একাডেমীর লাইব্রেরী , শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরী নাকি পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিপার্টমেন্টভিত্তিক লাইব্রেরী কিংবা সেন্ট্রাল লাইব্রেরীতে যাবেন সেটি আপনার ব্যাপার। তবে জাতীয় যাদুঘরের লাইব্রেরী, প্রেসক্লাবের লাইব্রেরী তথা যেগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত নয় সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশিস্নষ্ট পরিচিত কারো সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। কিছু কিছু লাইব্রেরীর সদস্য হতে হয় ।

সদস্যদের জন্য বই বাসায় নিয়ে পড়ারও সুযোগ থাকে । প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়ের দিকে এগুলে আলআরাফাহ ইসলামিক ব্যাংক লাইব্রেরী , বায়তুল মোকাররমের সাথে ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরী, বাংলামটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রসহ ঢাকায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইব্রেরী ছাড়াও জেলাগুলোতে সেন্ট্রাল লাইব্রেরীসহ নানা লাইব্রেরী রয়েছে। কিছু লাইব্রেরীতে বিনামূল্যে ফটোকপি ও কম্পিউটার ইন্টারনেট ব্যাবহারেরও সুযোগ থাকে। কোন লাইব্রেরীতে যাবেন সেটি আপনার কোন বিষয়ে পড়ার আগ্রহ কিংবা সুযোগ সুবিধানুযায়ী ঠিক করবেন। তবে লাইব্রেরীতে গেলে শুধু বই পাবেন এমনটিই নয়, অনেক নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হবেন , সেখানকার পরিবেশও জ্ঞানার্জনের স্পৃহাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বিনামূল্যে অনলাইনে আইকিউ টেষ্ট করে এরুপ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাইট রয়েছে। প্রয়োজনে কিছু শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটেরও সাহায্য নেয়া যেতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।