আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নববর্ষে বিএসএফের উপহার এক বাংলাদেশীর লাশ



নববর্ষে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে যশোর জেলার বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ওই যুবকের নাম মুন্না (১৮) ও আহতের নাম মামুন (২৩)। নিহত মুন্না বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের খোকনের ছেলে ও মামুন নামাজ গ্রামের দীন মোহাম্মদ দীনুর ছেলে। এদিকে বিজিবি বলছে বিএসএফের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হলেও কেউ মারা যায়নি। গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তির নাম মনা।

বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি ও বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, বিএসএফ গুলি করে মুন্নার লাশ টেনেহিঁচড়ে ভারতের ভিতরে নিয়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএসএফ মুন্নার লাশ হস্তান্তর করেনি। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি ৬টি গরু উদ্ধার করেছে। বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তের লেবুতলা পোস্ট দিয়ে ১০/১২ জন ব্যবসায়ী গরু নিয়ে ভারতের জয়ন্তীপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন।

এ সময় প্যাট্রাপুল জয়ন্তীপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৮/১০ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। মামুনের বুক ও পায়ে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুন বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে চলে আসতে সক্ষম হয়। তাকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।

অপরজনের অবস্থা জানাতে পারেননি তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিদ্ধ মুন্না ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল তিনি আহত হয়েছেন। পরে জানা গেছে তিনি মারা গেছেন। সাদীপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ মেম্বার জানান, গরু ব্যবসায়ীরা সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফ ছয় রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।

এতে দু’জন আহত হয়। এদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। অন্যজনের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বিজিবির ২২ ব্যাটালিয়ন প্রধান লে. কর্নেল হাসিব আলম গতরাতে আমার দেশকে জানান, তার জানামতে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছে। তার নাম মনা মিয়া।

তার পা ও বুকে গুলি লেগেছে। তাকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনায় চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গতকাল দুপুরেও বিএসএফের ৩৬ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট অনিল কুমার সিনহার সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তিনি কোনো বাংলাদেশী নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশীদের হত্যা বন্ধে বহুবার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে রাবার বুলেট ব্যবহারসহ বিকল্প ব্যবস্থার কথা। কিন্তু ওইসব প্রতিশ্রুতি বরাবরই ভঙ্গ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের গুলি ও হত্যা করে চলেছে বিএসএফ। নববর্ষের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের নাগরিকের ওপর গুলিবর্ষণ করায় বেনাপোল সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।