আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে পদত্যাগের হিড়িক: এবার নির্বাচকরা



শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডে একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিচ্ছেন নিজেদের পদ। বিশ্বকাপ ফাইনালে হারার পর কুমার সাঙ্গাকারা অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন মঙ্গলবার। আর একদিনের মাথায় শ্রীলঙ্কার জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকম-লী মেয়াদপূর্তির আগেই পদত্যাগ করেছেন আজ বুধবার। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অরবিন্দ ডি সিলভা'র নেতৃত্বাধীন নির্বাচকরা একসাথে পদত্যাগ করেন।

এছাড়া দায়িত্ব ছেড়েছেন সহ-অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনেও। বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে যাওয়ার হতাশায় মঙ্গলবার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন কুমার সাঙ্গাকারা। এবার দ্বিতীয় ধাক্কা খেলো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। অরবিন্দ ডি সিলভাকে চেয়ারম্যান করে ২০১০ সালের জুনে ওই নির্বাচকম-লীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

এ নির্বাচকম-লীতে আরও ছিলেন রনজিত ফার্নান্দো, অমল সিলভা ও আজবীর আলী। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিদানন্দ আলুথগ্যামেজের কাছে দেয়া পদত্যাগপত্রে নির্বাচকম-লীর চেয়ারম্যান অরবিন্দ ডি সিলভা জানান, বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হতে ব্যর্থ হওয়ায় আমরা প্রচ- হতাশ। এ কারণে আমরা এ দায়িত্বে থাকতে চাই না। তবে, আমরা অনেক খুশি যে খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্বে থেকেও নিজেদের অধিকাংশ লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছি। তাই আমরা মনে করছি নতুন কোন নির্বাচকম-লী দায়িত্ব নিলে তা লঙ্কান ক্রিকেটের জন্য উপকার হবে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটের জন্য উপকারী কিছু করতে হলে কঠিন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সামনের মাসগুলোতে আমরা নতুন একটি নির্বাচকম-লীকে সুযোগ করে দিতে চাই। এতে তারা এ সময় তাদের সময়োপযোগী চিন্তাধারার প্রয়োগ ঘটিয়ে বড় কোন আসরের আগেই দলকে ভালোভাবে গুছানোর একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা স্থির করতে পারবে। পদত্যাগপত্রে অরবিন্দ ডি সিলভা আরও বলেন, নির্বাচকের দায়িত্ব পালন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সে ব্যপারে সচেতন ছিলাম। এ দেশে ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল লোক এবং গণমাধ্যমসমূহ ক্রিকেট সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে।

আমরা যখনই কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছি তারা তাতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সেক্রেটারি নিশান্ত রানাতুঙ্গা নির্বাচকম-লীর পদত্যাগের ব্যপারটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এ মুহুর্তে পূর্বের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক বিহীন অবস্থায় দল গঠনে তারা কোন ভূমিকা রাখতে চান না। তারা মনে করছেন এ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে একমাত্র ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ অপরিহার্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বহাল করা হলে তারা আবারও দায়িত্ব পালনে আগ্রহী।

তবে, যদি ক্রীড়ামন্ত্রী তাদেরকে দায়িত্ব গ্রহণের ব্যপারে বলেন তবেই তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। তাই রানাতুঙ্গা বলেন, আমরা এখনই কোন পরিবর্তিত কমিটি গঠন করব না। এ ব্যপারে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছি। অন্যদিকে, এতসব পদত্যাগের ভিড়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের চেয়ারম্যান ডিএস ডি সিলভা জানিয়েছেন, ২/৩ দিনের মধ্যেই বোর্ডের কর্মকর্তারা অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক পদে কাউকে স্থলাভিষিক্ত করার ব্যপারে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে। যেহেতু অচিরেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মত দু'টি দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে তাই বোর্ড চাচ্ছে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কাউকে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক করতে।

তবে বোর্ডের এক সূত্রে জানা গেছে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ আর তিলকারত্নে দিলশান অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। এদের মধ্যে যে কোন একজন অধিনায়ক অপরজন সহ-অধিনায়ক হবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।