আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডয়েশে ভেলের ব্লগ যাচাই - এমন ভোটের মানে কি?

প্রথমেই আমি তাকে যাদু করতাম
সেরা ব্লগ যাচাই করতে পরিচিত বন্ধুদের বললাম। ইমন জুবায়েরের লেখার পাঠক বলে ফেসবুকেও ছড়ানোর কথাও মাথায় আসল। প্রথম দিন ভোট দিতে গিয়ে প্রশ্ন জাগলো এটা কেমন সিস্টেম যে ফেসবুক টুইটার লাগে? নিজেদের সার্ভারে একটা রেজিস্ট্রেশন ডেটাবেজ বসানো কি এতই কঠিন? এরকম ভোটিং এ তাও লাগে না। আইপি দিয়ে মানুষ ট্র্যাক করলেই হয়। জানলাম প্রতিদিন ভোট দিতে হবে।

প্রতিদিন ভোট দেয়া তো সবার পক্ষে সম্ভব না। কেন দিতে হবে আমি বুঝি নি? ঘরে খেয়ে বসে থাকা ছাড়া কার এত সময় প্রতিদিন এটা করা। তবুও প্রতিদিন এত ব্লগারের ভোট সত্ত্বেও কেন আগাচ্ছে না। আর আজকে একজন ইমেইল করল ডয়েশে ভেলের সিস্টেম নাকি যা তা। এটা বাগে ভর্তি।

প্রথম কয়েকদিন ভোট দেবার পর জাভাস্ক্রীপ্ট মেরে ভোট বাটন ডিজেবল করা ছিল। অনেকেই ফায়ারবাগ টুল দিয়ে বাটন এনাবল করে দুটো ভোট দিয়েছে। শুনলাম পরশু এরা ফিক্স করেছে ক। অর্থাৎ এখন যদি কেউ চালাকি করে দুবার ভোট দিতে চায় কেউ বলবে ২৪ ঘন্টা এরর। কিন্তু বজ্রআঁটুনি ফস্কা গেরো।

নিশ্চিত হলাম ফায়ারফক্সের টেম্পার ডেটা নামে প্লাগইন লোড করে চাইলে অন্য ক্যাটেগরীর কারো ভোট দেবার নাম করে ভোট দেয়া যায়। ধরেন চাইনিজ ব্লগের একজনকে ভোট দিলেন। ওয়েবে এই ভোটটা যাবে ক্যাটেগরী আর ব্লগার আইডি - এরকম সংখ্যায়। উদাহরণস্বরূপ চাইনিজ ক্যাটেগরী আইডি ১৩। আর যে ব্লগ নির্বাচন করলেন সেটার আইডি ৩৯৯।

এখন টেম্পার ডেটা ভ্যারিয়েবল সার্ভারে পোস্ট করার আগে একটা ফর্ম দিবে। যেখানে ইচ্ছামত জিনিস বদলাতে পারবেন। এখন আপনি যদি ক্যাটেগরী ১৪ করেন(বাংলা) আর ব্লগার আইডি ৫৫৯ করেন(ইমন জুবায়ের) তা হলে ঠিকই ভোটটা ইমনজুবায়ের পাবে। এভাবে যেমন খুশী ভোট দিতে থাকলে এদের মানা নেই। এরর মেসেজও নেই।

বড় করে দেখতে ক্লিক করুন এখন এটা দিয়ে ঘন্টাখানেক আগে দেখলাম ভালই কাজ করে। আর সঙ্গে সঙ্গে মনে হল ইমন জুবায়েরকে কিছু ভোট দেই। কিন্তু পরক্ষণেই খেয়াল হল আমরা লেট লতিফ। এরকম সোজা হ্যাকিং বহু আগেই অন্যরা ঠিকই জানে। আর এরই মধ্যে বহু জাল ভোট ঢুকে গেছে।

নয়তো সামুর মতো ব্লগের সমর্থন পেয়েও মাত্র ২০ ভাগ ভোট পেতে নাভীশ্বাস। কম্পিউটারের দুনিয়ায় টুলের তো অভাব নাই। অন্য আরেক ব্লগারের পক্ষে কেউ হয়তো দিন রাত বট বসিয়ে রেখেছে। আরেকটা কাণ্ড এই গাঁজাখুড়ি ভোটিং এ। যদি কেউ এরকম আটোমেটিক ভোটিং এর জিনিস বসায়ে রাখে তাহলে সার্ভার এমন বিজি হবে যে সুস্থ্য পদ্ধতিতে ভোটও দেয়া যাবে না।

কে জানে এই পোস্ট পাবার পরে ডয়েশ ভেলের প্রোগ্রামারদের মাথা ঠিক হবে কিনা। বাগ আছে বলে অস্বীকারও করতে পারে। কিন্তু যে সিস্টেমে এত গণ্ডগোল তার নিশ্চয়ই এমন প্রতিযোগিতা করার অধিকার নাই। আর তাতে যে অগ্রহনযোগ্য ফলাফল তা কি ইমন জুবায়ের ভাইয়ের মতো ব্লগার আর তার সমর্থকদের অপমান না? আপডেট: স্ক্রিনশটে বাংলা ক্যাটেগরীর মান ১৪ র জায়গায় ১২ লেখা । হয়েছে ভুল করে।

মন্তব্যকারীদের আগাম ধন্যবাদ। আর সামহোয়ারইন কি পারে না ইমন জুবায়েরকে নিজেরাই বিশেষ সম্মাননা জাতীয় কিছু দিতে। টুইটারে যেমন খ্যাতিমানদের খাতির করে। উনার ব্লগে একটা ইউনিক ব্যাজ দেয়া হোক।
 



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।