আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসলামের আলোকে অত্যাচারী শাসকের ব্যাপারে জনগনের করনীয় (লিবিয়ার প্রেক্ষাপটে)

আল্লাহ আকবার

শরীয়া ইসলামের একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। ইসলামে শরীয়ার লক্ষ্য হচ্ছে পাচটি: এক। জীবন রক্ষা করা । দুই । ধর্ম রক্ষা করা।

তিন। সম্মান রক্ষা করা। চার। পরিবার রক্ষা করা পাচ। সম্পত্তি রক্ষা করা।

উপরের লক্ষ্যগুলি পূরন করা প্রতিটা মুসলিমের দায়িত্ব। এই লক্ষ্যপূরনের অংশ হিসাবে একজন অত্যাচারী মুসলিম শাসকের ব্যাপারে মুসলিমদের করনীয় ব্যাপারটা নির্ধারিত আছে শরীয়তে। নীচের পয়েন্টগুলিতে সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। এক শাসক যদি কোনো অন্যায় করে থাকে তাহলে তাকেএই অন্যায়ের ব্যাপারটা জানাতে হবে গোপনে কোনো প্রভাবশালী স্কলারের মাধ্যমে। আর এই কাজটা করতে হবে গোপনে।

গোপনে যাতে মুসলিমদের মধ্যে যাতে ভায়োলেন্স ছড়িয়ে না পড়ে দুই শাসক যদি তাতে কর্ণপাত না করে এবং যদি সম্ভব হয় তাহলে হিজরত করতে হবে। হিজরতের লক্ষ্য হল শান্তি রক্ষা করা। কারন এই দুনিয়াতে অনেক জায়গা আছে সৎভাবে থাকার জন্য। তিন উপরের উপায়গুলিতে কাজ না হলে ধৈর্য ধরতে হবে আর দোয়া করতে হবে। শাসক যদি অত্যাচারীও হয় তবু তার বিরুদ্বে বিদ্রোহ করা যাবেনা।

এই প্রসংগে ইমাম মালিক( মেমফিস মসজিদের ইমাম) একটি হাদীসের উল্লেখ করেছেন। হুযায়ফা বর্ননা করেছেন রাসুল(সঃ) থেকে," আমার পরে কিছু শাসক আসবে যারা আমার হেদায়েত অনুসরণ করবেনা এবং আমার সুন্নাহ মানবেনা। তাদের মধ্যে কারো কারো শরীর হবে মানুষের,কিন্তু মন হবে শয়তানের। " হুযায়ফা প্রশ্ন করলেন" সেই সময় আমি থাকলে আমার কি করা উচিত?"। তিনি জবাব দিলেন," তোমার উচিত তার কথা শুনা এবং মান্য করা,যদিও সে তোমাকে কষ্ট দেয় এবং তোমার ধনসম্পদ কেড়ে নেয়।

" মুসলিম(ভলিউম ৩/১০২৯/৩৪৫৫৪) মুসলিম হাদীস থেকে বর্নিত," শাসক যদি আবিসিনীয় দাসও হয় তবু তাকে মানতে হবে"। এখানে আবিসিনীয় দাসের কথা এজন্য বলা হয়েছে কারন একজন আরবের পক্ষে একজন অনারব, তারপর দাসকে মেনে নেয়া খুব কষ্টকর। এরকম কষ্ট লাগলেও তার আদেশ মানতে হবে কারন সে মুসলিম শাসক। চার শাসক নিজে অন্যায় করলে বিদ্রোহ করা না গেলেও যদি শাসক কোনো অন্যায় কাজের নির্দেশ দেন তাহলে অন্যায় টা করা যাবেনা যদি জীবনের হুমকি না থাকে। এপ্রসংগে একটি হাদীস নীচে দেয়া হল: ইবনে উমর থেকে বর্নিত,রাসুল(সঃ) বলেছেন," একজন মুসলিমকে যা আদেশ করা হবে তা পালন করতে হবে কাজটি পছন্দনীয় হোক বা না হোক, যতক্ষন না তাকে খারাপ কাজের আদেশ দেয়া হয়।

যদি তাকে খারাপ কাজের আদেশ দেয়া হয় তাহলে তার সেটা করা উচিত হবেনা। " (বুখারী,মুসলিম। ) আর যদি জীবনের হুমকি থাকে তাহলে তা করাও জায়েয হবে কিন্তু মনটাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। এখানে প্রশ্ন আসতে পারে এই নিয়মগুলি কিভাবে শরীয়ার লক্ষ্যপূরনের স হায়ক। একজন মুসলিম শাসকের বিরুদ্বে বিদ্রোহ হলে মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল তৈরী হবে যার ফায়দা নিবে পাশ্চাত্য।

আজকের দিনে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা যায়। কৃতজ্ঞতায়: ইমাম মালিক( মেমফিস মসজিদের ইমাম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.