আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিকশা বন্ধ হলে প্রাইভেট কার, ছোট গাড়ী বৃদ্ধি পাবে


রিকশা বন্ধ হলে প্রাইভেট কার, ছোট গাড়ী বৃদ্ধি পাবে রিকশা বন্ধ হলে স্কুলগামী শিশু, বয়স্ক লোকজন, মালামাল পরিবহন, রোগী এবং এমনকি অফিসের যাতায়াতকারী দূর্ভোগের শিকার হয়ে সামর্থ্য না থাকলেও অনেকেই প্রাইভেট গাড়ী ক্রয় করতে বাধ্য হবে। পাশাপাশি ট্যাক্সী ক্যাব, ছোট ছোট ব্যাটারী চালিত যান বৃদ্ধি পাবে। ফলে যানজট আরো বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতায়াতে জনগনের দূর্ভোগ সৃষ্টি, ভাড়া ও পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি পাবে। জনগনের যাতায়াতের কথা বিবেচনা না করে রিকশা বন্ধের এ পদেেপর আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে শহরের রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে আয়োজিত আন্দোলনের নৈরাজ্য সৃষ্টির নিন্দা জানাই।

আজ সকালের পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) কর্তৃক পবা সম্মেলন কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবু নাসের খান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, নীতিবিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, তুষার রেহমান, মহাসচিব, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্ট,জসীম কাতাবী, মহাসচিব, গ্রীণবেল্ট, মোঃ শহিদুল্লাহ, শিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মারুফ রহমান, নগর পরিবহন বিশেষ্ণগ। বক্তারা বলেন নগরের বিভিন্ন শহর হতে রিকশা বন্ধ করা হলেও, যানজট কমেনি বরং বেড়েছে। যানজটের অজুহাতে বিভিন্ন সড়কে রিকশা বন্ধ করা হলেও, শহরের অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রাইভেট গাড়ী। প্রাইভেট গাড়ী নিয়ন্ত্রণ না করে আবারো রিকশা বন্ধ করা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

গাড়ীর অত্যাধিক বৃদ্ধির কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিবেশ দূষণ, বায়ু ও শব্দদূষণ, যাতায়াত ব্যয়, দূঘর্টনা। যানজট সমস্যা সমাধানের নামে আন্তর্জাতিক ঋণলগ্নিকারী সংস্থাগুলোর প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফাইওভার, ওভারপাস এবং প্রাইভেট গাড়ীর বাজারসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। অথচ নগরে সাধারণ মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের জন্য হাঁটার অবস্থার উন্নয়ন, সাইকেল ও রিকশার জন্য পৃথক লেন এবং পাবলিক পরিবহন বাস ও রেলের উন্নয়নে কোন ধরনের পদপে গ্রহণ করা হচ্ছে না। বক্তারা বলেন যানবাহন সমন্বয় বোর্ডের ২০১০ সালের তথ্যনুসারে এখনো নগরে প্রায় ৩৮.৭% যাতায়াত হয় রিকশায়। নারীদের ৪৭.৪% এবং স্কুলে ৪১% যাতায়াত হয় রিকশায়।

রিকশা বন্ধের প্রেেিত সাধারণ মানুষ, রোগী, ছাত্র-ছাত্রী সর্বোপরি গাড়ী ছাড়া মানুষ প্রচন্ড নানা সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে। রিকশা চালকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী যারা গ্রামে অর্থ প্রেরণ করে এবং বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় এ ধরনের বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত সরকারের জনপ্রিয়তাকে হ্রাস করবে এবং জনস্বার্থে সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বক্তারা বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় নামছে ১৯০ টি বেশি প্রাইভেট গাড়ী। সরকারী ও বেসরকারী একটি চক্র আন্তর্জাতিক ঋনপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় প্রাইভেট গাড়ী, সিএন্ডজি এবং ইলেকট্রনিক বাইক এর বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে চলমাল ফাইওভার ও ওভারপাসের মতো প্রকল্পগুলোর ব্যবহারে মাধ্যমে টোলের বাজার নিশ্চিতে পরিবেশবান্ধব রিকশা বন্ধ করেছে।

এই চক্রের স্বরূপ উম্মোচনে অনতিবিলম্বে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির নিকট আহবান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জনগনের চলাচলের কথা বিবেচনা করে সরকারকে অনতিবিলম্বের ঢাকার সকল রাস্তায় রিকশা ও সাইকেলের জন্য পৃথক লেন চালু, রিকশার ভাড়া নির্ধারণ, রিকশা চালকদের মাঝে ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাইভেট গাড়ী নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদপে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।