আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিকশা

অপূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা খুঁজি,এসো নতুন করে জীবনের মানে বুঝি.... বাংলাদেশে রিকশা অতি পরিচিত যানবাহন যার উৎপত্তি সুদূর জাপানে। জাপানী শব্দ “জিন্‌রিকিশা” থেকে রিকশা নামের উৎপত্তি। শব্দটির অর্থ হলো “মনুষ্যবাহিত বাহন”। শুধু ঢাকাতেই রোজ প্রায় চার লক্ষ (৪,০০,০০০) সাইকেল রিকশা চলাচল করে। বাংলাদেশে ১৯৩০ (মতান্তরে ১৯৩১) সালে প্রথম রিকশা আমদানি করা হয় কলকাতা থেকে।

আর আজ ঢাকা বিশ্বের রিকশার রাজধানী নামে বহুল পরিচিত। রিকশা আমাদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কালের পরিক্রমায় জনবহুল বাংলাদেশে জীবন জীবিকার জন্যে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের নিকট রিকশা চালানো একটা স্বাধীন পেশা। যদিও এই পেশাটি অমানবিক পেশা। মানুষ হয়ে মানুষ টেনে নেওয়া, এই একবিংশ শতাব্দীতে সত্যি বড্ড দৃষ্টিকটু ও অমানবিকতার নিদর্শন যা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি।

আমরা আমাদের প্রয়োজনেই রিকশায় উঠি। তার বিনিময়ে রিকশা চালক কে যদিও তার প্রাপ্য ভাড়া পরিশোধ করে থাকি কিন্তু আমরা কি এই পেশাজীবী বিপুল জনগোষ্ঠীর দুঃখ, কষ্ট, লাঞ্ছনা আর গঞ্জনার কথা কখনো কি ভেবে দেখেছি? অনেক সময় বলা হয় ঢাকা নগরীর যানজটের জন্য রিকশা অনেকাংশে দায়ী। এ কথাটি সত্য। আবার এ কথাও সত্য স্বল্প দূরত্বে পাড়া মহল্লায় রিকশা ছাড়া ঢাকা নগরীর মানুষের অন্য কোনো গতি আছে বলে আমার জানা নাই। ঢাকা নগর ছাড়াও পুরো দেশেই এই যানবাহনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

যদি তাই হয় আমরা কেন এই যানবাহনটির সংস্কার করছি না? আমরা যদি বলি পরিবর্তন চাই তাহলে তার জন্যে আমাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং হতে হবে সচেতন। শুধু রিকশা কেন যে কোনো বিষয়ে আমরা যদি আন্তরিক হই এবং যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তার ততটুকু ঢেলে দেই তবেই পরিবর্তন আসবে। কথার ফুলঝুড়িতে পরিবর্তন আসে না। পরিবর্তন আসে সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে। তাই সরকারী বেসরকারী সংস্থার ঐকান্তিক সহযোগিতায় এই যানবাহনে আসতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

যদি রিকশায় রিচার্জেবল ব্যাটারি চালিত ব্যবস্থা করা যায় তাহলেই এই অমানবিক পেশার দৃষ্টিকটু দিকটি কেটে ফেলা সম্ভব হবে। ফলশ্রুতিতে জীবনে আসবে গতি। আর যিনি রিকশা চালাচ্ছেন তার জীবনেও আমরা পরিবর্তন দেখবো তা নিঃসঙ্কোচে নির্দ্বিধায় বলা যায়। কারণ এই কথাটি এই জন্যেই বলছি আমরা একজন সিএনজি অটোরিকশা চালকের সাথে যেরুপ ব্যবহার করি সেরুপ ব্যবহার রিকশা চালকের সাথে সাধারণত করি না। যদিও দুই জন একই ধরনের কাজ করছেন।

রিকশা চালকরা ব্যবহারের এই বৈষম্যের ব্যাপারটা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। আর তাই আজকাল রাস্তায় কিছু রিচার্জেবল ব্যাটারি চালিত রিকশা দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু তারা ঠিক মতে রাস্তায় চলতে পারে না সরকারী অনুমতির অভাবে। উল্টো তাদের জায়গায় জায়গায় পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়। আহা আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ যেন দুর্ভোগের নাই শেষ। ও ভাল কথা আমরা কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত লোকেরা প্রায়ই ভুলে যাই রিকশা চালকের সাথে ভাল ব্যবহার করতে।

অনেক সময় বাবার বয়সী একজন রিকশা চালক কে তুই তোকারি করে সম্বোধন করতে আমরা পিছ পা হই না। উল্টো দুষ্ট মানসিক শান্তি অনুভব করি। মনে রাখবেন তিনি একজন মানুষ এবং স্বাধীন পেশাজীবী। তিনি কিন্তু ভিক্ষা করছেন না। তিনি আপনার দয়ায়ও বাঁচেন না বরং কর্ম করে খান।

তাকে ও তার কর্মকে সম্মান করুন। মানবতা আর সাম্যবাদের কথা মুখে না বলে তা বাস্তব জীবনে কাজে লাগান। তবেই এই দেশ এই জাতি তার সোনালী গৌরব ফিরে পাবে। তাই আসুন আমরা প্রতিটি সৎ কর্মজীবী মানুষের কর্মকে শ্রদ্ধা জানাই। কর্মই হোক প্রতিটি মানুষের জীবনে উন্নয়নের চাবিকাঠি।

# ঢাকার রাস্তায় রিকশা ঘুরছে রিকশার চাকা রিকশার নগর ঢাকা। রিকশার আরো কিছু ছবি শেয়ার করলাম। ## আধুনিক রিকশার ছবি # #যুগে যুগে দেশে দেশে রিকশা #বাংলাদেশের রিকশা #অতীতে জাপানের টানা রিকশা #জাপানের টানা রিকশা #বর্তমানে জাপানের টানা রিকশা #অতীতে চায়না রিকশা #চায়না রিকশা #ভারতে রিকশায় করে মেমসাহেবেরা আসা যাওয়া করতেন #কলকাতায় রিকশা #কলকাতায় হাতে টানা রিকশা #বিয়ের জন্য রিকশা #ভিয়েতনামের রিকশা বহর #দক্ষিণ আফ্রিকার রিকশা #সিংগাপুরে রিকশা ##রিকশার কিছু অমানবিক ছবি তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া আলোকচিত্রঃ প্রিয় গুগলি ভাই  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।