আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকশ বছরের পুরাতন মিয়ার দালান-যা হয়ে উঠতে পারে একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র।

মানুষ আসে মানুষ যায় কিন্তু সময় যায় চিরতরে

বৃহত্তর যশোর জেলার অন্তর্ভুক্ত বর্তমান ঝিনাইদহ জেলা শহরের অতি নিকটে মুরারীদহ গ্রামে রয়েছে কয়েকশ বছরের পুরাতন এক দৃষ্টিনন্দন বাড়ী-যা স্থানীয়দের কাছে মিয়ার দালান নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে সেলিম চৌধুরী নামক এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি এই বাড়ীর মালিক ছিলেন। তবে ঠিক কতদিন আগে এই বাড়ী নির্মান করা হয়েছিলো এবং উক্ত সেলিম চৌধুরী কে ছিলেন-তাঁর বিস্তারিত কিছু কেও সঠিকভাবে বলতে পারেন নি। প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত বলেই হয়ত জেলা শহরের মানুষদের মাঝেও এ বাড়ী সম্পর্কে রয়েছে এক ধরনের উদাসীনতা। অথচ-নির্মান শৈলীতে এ বাড়ীতে পাওয়া যায় সুলতানী আমলের ছোঁওয়া।

অযত্ন অবহেলায় ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে বসেছে মিয়ার দালান। ঝরে পড়ছে ইট-বালু,চুরি হয়ে গেছে বাড়ির সমস্ত কিছু। এখনো যা কিছু আছে,তার সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষন করলে এই মিয়ার দালান হয়ে উঠতে পারে একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সেই মিয়ার দালানের কিছু ছবি ব্লগার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে- বাইরে থেকে মিয়ার দালানের একাংশ বাড়ীর পিছনের অংশ-নদীর ভিতর থেকে নিপুন হাতে গাঁথুনী দিয়ে তোলা ইটের পিলার। মুল ভবন।

প্রতিটি ঘরের ছাদ পোড়ামাটির টাইল্‌স দিয়ে তৈরি করা-দেয়ালে রয়েছে অতি মনোরম কারুকাজ। প্রতিটি ঘরের দেয়ালে রয়েছে এ রকম অসংখ্য দেয়াল আলমারি ও কলুঙ্গিনী। ঘোরানো প্যাঁচানো আকর্ষনীয় সিঁড়ি। অপরুপ কারুকাজ! ভাঙ্গা চোরা বাড়ির ভিতরের অংশ। বাড়ীর দরজা-জানালা অনেক আগেই চুরি করে খুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতিকারিরা।

নয়নাভিরাম চিলেকোঁঠা!! মিয়ার দালানের কোল ঘেঁসে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গার শাখা নদী। যেখানে এখন ধান সহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। মিয়ার দালানের অদুরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রকৃতির খেয়ালে বেড়ে ওঠা ৯মাথাওয়ালা খেজুর গাছ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.