আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বিশ্ববিদ্যালয় (NSU) সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আমার কাছে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ টাইপ! যারা এই ভার্সিটিতে পড়ে, তাদের কপাল খারাপ। যারা পড়ে না, তাদেরও কপাল খারাপ! বহুদিন আগে থেকেই দেখছি, বাইরের মানুষজন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটা খেলা খেলে। ‘যেমন খুশি তেমন ভাবো’ খেলা। হাজারটা গুঞ্জন, গুজব, রটনা...। এনএসইউ তে ভর্তি হওয়ার আগে আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে শুনতাম।

এখন যে শুনি না, তা না। মাঝে মাঝেই আজব আজব প্রশ্ন শুনতে হয়, আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে উত্তর দেই। যেমন: প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, নর্থ সাউথের পোলাপান বেশিরভাগই নাকি ড্রাগ নেয়? ভার্সিটির ভিতরেও নাকি চলে? আমি: অবশ্যই চলে! এইটা কোন ব্যাপার? শোনেন, আমাদের ভার্সিটিতে ছোটখাটো একটা মাঠ আছে। সেখানে গাজা চাষ হয়। যার যখন ইচ্ছা, তুলে তুলে খায়।

এছাড়া আমাদের ভার্সিটির ক্যান্টিনে সিঙ্গারা-সমুচার পাশাপাশি ইয়াবা, ফেনসিডিল এগুলাও পাওয়া যায়। সুলভমূল্যে। ছেলে, মেয়ে, ফ্যাকাল্টি - সবাই একসাথে খায়। প্রশ্নকর্তা: তোমাদের ভার্সিটির ছেলে মেয়েরা নাকি জামা কাপড় একটু কম পরে? আমি: এইসব ভুয়া খবর কোথ্থেকে পান, বলেন তো? আমাদের ভার্সিটিতে তো জামা-কাপড় পরাই নিষেধ। ভার্সিটিতে ঢোকার সময় আমরা জামা-কাপড় খুলে বাইরে রেখে তারপর ঢুকি।

সবাই জন্মদিনের পোষাকে ঘোরাফেরা করে, শুধু গলায় আইডি কার্ডটা ঝুলানো থাকে। প্রশ্নকর্তা: আচ্ছা, নর্থ সাউথে বিবিএ করতে নাকি ৫০ লাখ টাকা লাগে? আমি: কি যে বলেন! ভর্তি ফী-ই তো ১ কোটি টাকা! আর আমরা সেমিস্টার ফী দেই কেজি হিসাবে। সেমিস্টারের শুরুতে এ্যডমিনের লোকজন দাড়িপাল্লা নিয়ে বসে থাকে। আমরা বস্তা ভরে টাকা নিয়ে যাই। প্রতি কোর্সের বিনিময়ে এক কেজি ৫০০ টাকার নোট।

..... ইত্যাদি ইত্যাদি। ইদানিং বোধহয় নতুন কিছু প্রশ্নও শুনতে হবে। উত্তরও রেডি আছে। প্রশ্নকর্তা: তোমাদের ভার্সিটিতে নাকি প্রচুর জঙ্গি? শিবির, হিজবুত তাহরীর ভরা? আমি: অবশ্যই। ভার্সিটির ভিতরে ঢুকলে দেখবেন।

পোলাপান সব কাবলি পরে থাকে। গলায় ঝুলে উজি মেশিনগান! গেরিলা ট্রেনিং হয় নিয়মিত। ইরাক, আফগানিস্তানের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ। ভার্সিটির বেজমেন্টে একটা গোপন সুড়ঙ্গ আছে, সেদিক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার জঙ্গি আসে। বোমা, ককটেল - এইসব তো আমাদের কাছে কুটির শিল্প.... মানুষজনকে এতো কথা বোঝানোর কি দরকার, আমি বুঝলাম না।

যারা বোঝার এমনিতেই বুঝবে। যে না বোঝার, চাঁদে গিয়ে মুড়ি খা...... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.