আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরানে বিজ্ঞান খোঁজাঃ এই মানসিক বৈকল্যের হেতু কি?

প্রশ্ন করেই যাব অবিরত

বিজ্ঞানীরা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোনো একটা তথ্য দিলেন যা আমরা জানতাম না। এখন কিছু সংখ্যক মুমিন-মুসলমানরা কি করবেন জানেন, তাহারা সাথে সাথেই তাহদের মহা মহা পবিত্র কিতাবখানি বের করে ফেলেই বলবেন আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সবার চেয়ে বড় বিজ্ঞ আল্লা আমাদের তাহা জানিয়ে দিয়েছিলেন, আসলে ইহুদি-নাসারারা উহা থেকেই চুরি করে তা আবিষ্কার করেছে। এখন এই মুমিন-মুসলমানদের যদি আপনি অনুরোধ করেন, এখনো অজানা বিষয়গুলো সম্পর্কে কোরান থেকে স্পষ্ট কোনো ধারণা দিতে, তাহলে তাহারা বাকিয়া সর্পের আকার ধারণ করিয়া ফণা তুলিয়া বলিবেন, বাছা, তোমার ঈমানে ঘাটতি রহিয়াছে। কোরানের আয়াতের বিষয়ে কিছু কথা। কোরানের আয়াতে আসলে কি বলা হয়েছে তা জানতে হলে আমাদেরকে কয়টি অনুবাদ পড়তে হবে? পৃথিবীর তাবত জ্ঞান মানুষ অর্জন করেছে, পরস্পর করেছে অনুবাদের মাধ্যমে কোথাও কোনো সমস্যা হতে শুনি নাই, কিন্তু কোরানের বেলায়ই যত আপত্তি।

আপনি কোরানের স্বপক্ষে যা মনে লয় সাফাই গাইয়া ফিরিলেও কেউ কোনো আপত্তি তুলিবেন না, কিন্তু যখনই কোরান সম্পর্কে কোনো বিরুপ প্রশ্ন করে ফেলবেন তখনই তাহারা আপত্তি তুলিবেন, কোরানের অনুবাদ পড়িয়া ঠিকমত বুঝা হয় নাই। আল্লাহ যদি কোরানকে সকল মানুষের জন্য পাঠাবেন ও এর উদ্দেশ্য হবে মানুষকে হেদায়াত করানো তবে সাধারণ মানুষ সহজে এটাকে বুঝবে না কেন? ৩/৪ টা অনুবাদ পড়ে, একাধিক ভাষায় অনুবাদ পড়ে, তফসির পড়েও যা বুঝা যায় না তা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা বিশেষজ্ঞদের জন্যও উপযোগী হওয়ার কথা না। এখন কোরান আল্লার কিতাব কিনা তা যাচাই করার জন্য যদি আরবি শিখি, তবে আমি কি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থগুলো যাচাইয়ের জন্য সংস্কৃত শিখব, ইহুদিদেরটা যাচাইয়ের জন্য হিব্রু শিখব, খ্রিস্টানদেরটা যাচাইয়ের জন্য গ্রিক শিখব? আসলে কোরান না বুঝার কিছু নাই, অন্তত তা ব্যাখ্যার পর। কিন্তু ইমানদারগণ কোরানের অনুবাদের কি হাল করেছেন তা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। কোরানের যেসব আয়াতকে নিয়েই আপত্তি উঠে এগুলোর অনুবাদ তারা পরিবর্তন করে দেন, এমনকি অনুবাদ ও অভিধানেও পরিবর্তন আনেন।

এর পরেও এখানে বেশ কিছু অনুবাদকের অনুবাদ পাবেন, যাদেরটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মনে হয় ও অপেক্ষাকৃত পুরনো তাদেরটা গ্রহণ করতে পারেন। লিংকটা দিচ্ছি- .islamawakened.com/Quran/সূরা নম্বর/আয়াত নম্বর /default.htm এর আগে WWW লাগিয়ে সূরা নম্বরের জায়গায় সূরা নম্বর ও আয়াত নম্বরের জায়গায় আয়াত নম্বর বসিয়ে দিলে আপনি ঐ আয়াতের অনেকগুলো অনুবাদ পেয়ে যাবেন। আর বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ -তফসির খুঁজলেই পাবেন। যাই হোক, এবার মূল বিষয়ে আসি- ফজলুল কােদর সাহেব চরম একটা পোস্ট দিয়েছেন, এক্কেরে আয়াতে আয়াতে বিজ্ঞান বের করে তবেই ছাড়ছেন। দেখেন- আমি কিভাবে বিশ্বাস করব যে কোরআন স্রষ্টার পাঠানো একটি বই ! ? আমরা দেখি তিনি কি বিজ্ঞান বের করেছেন।

উনার সকল কথাকে বোল্ড করে দিলাম- যারা সত্যকে অসুসন্ধান করে বেড়াচ্ছে তাদের মধ্যে একজন ভদ্রলোকের প্রশ্ন? আমার প্রশ্ন একটা এবং একটাই। তা হচ্ছে আমি কিভাবে বিশ্বাস করব যে কোরআন স্রষ্টার পাঠানো একটি বই ! ? ....................................................................................................... উত্তরঃ- ১. (বিগ ব্যাং থিউরি)- প্রথমে বিশ্বজগত ছিল একটা বিন্দু। পরবর্তীতে সব উপাদানগুলো আলাদা হয়ে যায়। এটাই বিগ ব্যাং এখান থেকে সৃষ্টি হয়েছে গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, সূর্য বিভিন্ন গ্রহ। আর সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী।

এইতো আমরা তা জেনেছি ৪০, ৫০ বছর আগে। *আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এক সাথে মিশেছিল তারপর আমি তা পৃথক করে দিলাম। (আল-কুরআন, সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩০) >> একটু খেয়াল করেন। যারা বিগ ব্যাং সম্পর্কে জানেন তারা কি একটু ভাববেন যে আকাশ মণ্ডলী আর পৃথিবীর পৃথক হওয়ার সাথে বিগ ব্যাং এর সম্পর্ক কি ছিল? পৃথিবী সৌরজগতের এক সাধারণ গ্রহ। এখন আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এক সাথে মিশেছিল ও পরে পৃথক হয়েছিল এ ধরণের চিন্তা বর্তমান যুগে একজন উন্মাদ ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।

আয়াতটির বিভিন্ন অনুবাদ দেখুন- Click This Link আর এই আয়াতের শেষভাগে সব কিছু পানি থেকে এসেছে বলা হয়েছে তা বিনোদনের খোরাক হতে পারে। আর আল্লার আক্কেল থাকলে অবিশ্বাসীদের এভাবে বলতেন না। ২. sir francis drake ১৫৫৭ সালে জাহাজে করে পুরো পৃথিবীটা ঘুরে এসে প্রমান করলেন যে পৃথিবীটা বর্তুলাকার। *আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- এবং পৃথিবীকে আমি বানিয়েছি ডিমের আকৃতির মত। (আল-কুরআন, সূরা-নাজিয়াত, আয়াত-৩০) কী সুন্দর, হাঃ হা ।

দাহাহা শব্দের অর্থ ডিম আকৃতির করেছে রাশেদ খলিফা নামক এক প্রতারক। তার উদ্ভট ১৯ মিরাকলের দাবি সহ বেশ কিছু তথ্য পাবেন এই লেখায়- কোরানের ‘মিরাকল ১৯’-এর উনিশ-বিশ! আর এই আয়াতের বিভিন্ন অনুবাদ দেখেন, Click This Link হ্যা, শুধু রাশেদ খলিফা করেছে egg-shaped। আসলে পৃথিবী ডিমের মত না, ডিমের দুভাগ সুচালো। পৃথিবীর দুভাগ চাপা, কমলালেবুর মত। এই ডিমের সন্ধান করেছেন নাস্তিকের ধর্মকথা।

তার এই লেখাটা পড়েন, ডিম্বের সন্ধানে অথবা ডিম্বের সন্ধান এবং রাশেদ খালীফা ও তার ম্যাথমিটিকল মিরাকল ৩. আমরা যে চাঁদের আলো দেখি তা কি তার নিজস্ব আলো। কয়েকশত বছর আগে আমরা জানতে পারি চাদের যে আলো তা তার নিজস্ব আলো না, প্রতিফলিত আলো। *আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- তিনি কত মহান যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন রাশিচক্র সেখানে স্থাপন করেছেন সূর্যকে যার আলো তার নিজস্ব এবং চাঁদকে যার রয়েছে প্রতিফলিত আলো, ধার করা আলো। (আল-কুরআন, সূরা-ফুরকান, আয়াত-৬১) >> কী সুন্দর অনুবাদ!! অথচ এই আয়াতে সরাসরি সূর্যের কথা না বলে সিরাজ এর কথা বলা হয়েছে, সিরাজ মানে বাতি বা চেরাগ আর চাঁদের ব্যাপারে বলা হয়েছে মুনিরা যার অর্থ আলোকপ্রদানকারী । এই আয়াত নিয়ে অনেক সংশয়বাদি বিভিন্ন প্রশ্ন তোলতেন।

কিন্তু উনি এ আয়াতেই খুঁজে পেলেন বিজ্ঞান। হাঃ হা। আয়াতটির বিভিন্ন আনুবাদের মধ্যে বেছে নিন উপযুক্ত যেটাকে মনে হয়। অনুবাদ দেখেন- Click This Link এখন দেড় হাজার বছর আগে কেউ যদি সূর্যকে সিরাজ বা বাতি আর চাঁদকে আলোকপ্রদানকারী বলেন তবে কি আহম্মকের মত এর মধ্যেও বিজ্ঞান খুঁজতে হবে? ৪. আজ থেকে ২৫ বছর আগে স্কুলের বইতে লেখা ছিল যে সূর্য প্রদক্ষিণ করে কিন্তু নিজের কক্ষের চারপাশে ঘুরে না। আর বিজ্ঞানীরা এখন বলে সূর্য তার কক্ষের চারপাশে ঘুরতে সময় লাগে আনুমানিক পচিশ দিন।

*আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত এবং দিন। সূর্য এবং চাঁদ আর তারা প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব কক্ষপথে বিচরণ করে। (আল-কুরআন, সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৩) >> কী আশ্চর্য! সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে বলে ধারণা ছিল তো মুহাম্মদের সময়। আরেকটি প্রাসঙ্গিক কথা। এ আয়াতে সূর্য ও চন্দ্রের কথা বলে বলা হয়েছে – সবাই সাতার কাঠে।

এর মানে হল সূর্য ও চাঁদের প্রত্যেকেই, সব গ্রহ-উপগ্রহ, নক্ষত্র না, যেমনটি অনেক আধুনিক ইমানদার দাবি করে বসেন। দেখেন- Click This Link সূরা ইয়াছিনেও একই কথা বলা হয়েছে- Click This Link আল্লা একই কথা বার বার কেন বলেন তাও এক প্রশ্ন বঠে। নামাজের আদেশই দিয়েছেন আশি বারেরও উপরে। হাঃ হা। এমন তো নয় যে বার বার বললে গুরুত্ব বেড়ে যাবে।

আল্লার যে কি হল!! আর উপরের লিংকে দেখবেন এই আয়াতের মধ্যে বিজ্ঞান জোরে হলেও ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টায় মুমিন মুসলমানরা কিভাবে গলদঘর্ম হচ্ছে। আল্লা যদি জানতেন তার বান্দাদের এ হাল হবে তবে তিনি কিছুটা হলেও বিজ্ঞান দিতেন এভাবে বঞ্চিত করতেন না। আর হ্যা। ইয়াসিনের এই আয়াতে যেভাবে বলা হয়েছে “সূর্য ধরতে পারে না চন্দ্রকে” তা দেখে হাসতে হাসতে শেষ। ৫. স্যার বার্নাড পেলেছি ১৫৮০ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মত পানিচক্রের বর্ণনা দেন।

সমূদ্র হতে পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। তারপর সেটা মেঘ হয়। সেই মেঘ আকাশে ঘুরে বেরায়, তারপর বৃষ্টিপাত এভাবেই পানিচক্র চলতে থাকে। *আর পবিত্র কুরআনে ১৪০০ বছর আগে বলেছেন সর্বশক্তিমান স্রষ্টাঃ- আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে তিনি তোমাদেরকে ভয় ও ভরসাস্বরূপ বিদ্যুৎ দেখান, আর আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন।

নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য যারা অনুধাবন করে। (আল-কুরআন, সূরা-রুম, আয়াত-২৪) **আল্লাহ, যিনি বাতাস প্রেরণ করেন ফলে তা মেঘমালাকে ধাওয়া করে; অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে খণ্ড- বিখণ্ড করে দেন, ফলে তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বারিধারা। অতঃপর যখন তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের উপর ইচ্ছা বারি বর্ষণ করেন, তখন তারা হয় আনন্দিত। (আল-কুরআন, সূরা-রুম, আয়াত-৪৮) ***আর তিনিই আল্লাহ যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালা সঞ্চালিত করে, তারপর তাকে আমি মৃত ভূমির দিকে পরিচালিত করি, অতঃপর তা দিয়ে আমি যমীনকে তার মৃত্যুর পর জীবিত করি; এভাবেই পুনরুত্থান হবে। (আল-কুরআন, সূরা-ফাতির, আয়াত-৯) ****তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়।

ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য। (আল-কুরআন, সূরা-যুম্মা, আয়াত-২১) >> এর মধ্যে পানিচক্রের কি? যা বলা হয়েছে তা কি নতুন কিছু? এগুলো কি দেড় হাজার বছর আগে মানুষ জানতো না? মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় তাও জানতো না? বরং ইসলামের বিভিন্ন হাস্যকর ধারণা যেমন মিকাইল আল্লার হুকুমে বৃষ্টি বণ্টন করেন এসব নিয়ে অনেকেই হাসা হাসি করে। এছাড়াও রয়েছে আরো অনেক নিদর্শন যা বিজ্ঞানীকরা আজকের দিনে প্রমান বেড় করতেছেন। সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেনঃ- *আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী এবং দু'ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত।

আমি কিতাবে (আল-কুরআন) কোন ত্রুটি করিনি। অতঃপর তাদেরকে তাদের রবের কাছে সমবেত করা হবে। (আল-কুরআন, সূরা-আনাম, আয়াত-৩৮) >> মানুষসহ যেসব প্রাণী জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম লাভ করে তাদের ব্যাপারে কি বলেন? যে জন্মের সময় এক পা নিয়ে বা এক হাত নিয়ে বা বিকল হাত-পা নিয়ে জন্মেছে সেও কি বলবে উহা মহান আল্লার এক অপূর্ব কেরামতি? কিতাবে তিনি ত্রুটি করেন নি, হাঃ হা। আল্লারো বুঝি সন্দেহ ছিল তিনি বোধ হয় কোথাও ভুল করে ফেলছেন, নাহলে এটা বলার প্রয়োজন কি? যখন একটা বাঘ একটা হরিণকে ধরে তখন সে কি বলে এটা আল্লার কুদরত? আল্লার কি উচিত ছিল না মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণিদের একটা সভ্য খাদ্যচক্রের বিধান করে দেয়ার যাতে প্রাণি হত্যা করতে না হয়? এছাড়া বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে না খেয়ে মানুষ ও প্রাণিদের মৃত্যু দেখে আল্লার কুদরত বার বার মনে পড়ে। **আর তোমার রব মৌমাছিকে ইংগিতে জানিয়েছে যে, 'তুমি পাহাড়ে ও গাছে এবং তারা যে গৃহ নির্মাণ করে তাতে নিবাস বানাও।

' অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চল। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে। (আল-কুরআন, সূরা-নাহল, আয়াত-৬৮,৬৯) >> আল্লায় সব কিছুতে নজর দিয়েছে। মৌমাছিরও সাধ্য নেই আল্লাকে ফাকি দেয়ার!! আর পারলাম না, বাকিটা আপ্নেরা দেখে নিয়েন।

সব চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার হলো কোরান যদি বিজ্ঞানে টাই-টুম্বুরও হয়ে যায় তবে তাও একে অলৌকিক প্রমাণ করে না, বরং এটা প্রমাণ করে তখনকার যুগেও মানুষ যেভাবেই হোক এ তথ্য জানত। সেটা ঠিক কিভাবে জানত সেটাই হতে পারে গবেষণার বিষয়। আর হ্যা, আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে মানুষ নিতান্ত অজ্ঞ ছিল না। মুহাম্মদেরও অনেক আগে এমনকি যিশুরও আগে আয়নীয় বিজ্ঞানীগণ, সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটলের মত দার্শনিকেরা জন্মেছিলেন। আর গ্রীক দর্শন যে আরবে ছড়িয়ে পড়েছিল তা আমাদের অজানা নয়।

অনেক গ্রীক ভুল ধারণারও চিত্র কোরানে পাওয়া যায়(এটা নিয়ে পরে আলাপ হবে)। আর যদি কোরানে বিজ্ঞান সম্পর্কিত মহান কোনো তথ্য থাকেও আর এর রহস্য অজানাই থেকে যায় তবে এ সম্পর্কে বলা যাবে "এটা অজানা যে ঠিক কিভাবে কোরানে এটি এসেছে"। এ থেকে কোনোভাবেই এ সিদ্ধান্তে যাওয়া যায় না যে কোরান অলৌকিক বা কোরান আল্লা নামক কোনো এক সত্তার বাণী। নাস্তিকের ধর্মকথার আরেকটি লেখা পড়ে দেখতে পারেন- ধর্মে বিজ্ঞানঃ নিম গাছে আমের সন্ধান অথবা এটা । আর কোরানের অলৌকিকতা নিয়ে একটা সিরিজ লেখছি।

একটু ঢুঁ মারলে খুশি হতাম- কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ১ কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(ক) কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(খ) কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(গ) বড়ই তাড়াহুড়ো করে লেখেছি। কোনো সমস্যা পেলে বলে দিবেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.