আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদ্রোহ দমনে আরও কঠোর অবস্থানে গাদ্দাফী: ওভারডিউটির কারনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নারী দেহরক্ষীরা---উরাধুরা নিউজ

যা চেয়েছি আমি তা পাই না...যা পেয়েছি কেন তা চাই না..।

উরাধুরা নিউজ--পাবনা হতে প্রকাশিত দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খবরের সাইট জাতিসংঘ কতৃক বেনগাজির আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষনা আর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের ঘোষনা মিলিয়ে লিবিয়ায় চলমান বিদ্রোহ জটিল আকার ধারন করেছে। তাই স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফীকেও কাটাতে হচ্ছে অত্যন্ত ব্যস্ত সময়। বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাওয়া শহরগুলো পুনর্দখল করতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে নিত্য নতুন সব কৌশলের। এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন আগে যুদ্ধরত সামরিক অফিসারদের জন্য নারী দেহরক্ষী মোতায়েনের ঘোষনা দিয়েছিলেন ৪০ বছর লিবিয়া শাসন করা পরম প্রতাপশালী এই শাসক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই ঘোষনাটিই তাকে সবচেয়ে জনপ্রিয় করে তুলেছে সেনাবাহিনীর ভেতরে। অফিসারদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবার পর, গদি রক্ষার জন্য তাই একরকম বাধ্য হয়েই এত দিনের বিশ্বস্ত দেহরক্ষীদেরকে অন্যান্য সামরিক অফিসারদের সাথে ভাগাভাগি করতে হচ্ছে গাদ্দাফীকে। জানা গেছে সামরিক অফিসাররাও ভীষন খুশী রাষ্ট্রপ্রধানের এই উদ্যোগে, তাদের মধ্যে রীতিমত কৃতিত্ব প্রদর্শনের হিড়িক পড়ে গেছে লিবিয়া প্রশাসনের প্রচন্ড ক্ষমতাধর এইসব নারীদেরকে দেহরক্ষী হিসেবে পাবার আশায়। এদের একজন উরাধুরা প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন তারা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিস্থিতির উত্তোরনের জন্য। “এখন যেভাবে চলছে তাতে আমরা খুব দ্রুতই শহরগুলো আবার দখল করতে পারবো, প্রতিটি অফিসারই এখন সন্তুষ্ট এবং বিদ্রোহ দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ…” আর এই প্রতিশ্রুতির মাঝে পড়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে সেই সব নারী দেহরক্ষীরদেরকে।

তবে একে নিজেদের দ্বায়িত্ব হিসেবে মনে করেই পালন করছেন তারা, জানা গেছে একেক জনকে দৈনিক চার পাঁচ জন অফিসারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হতে হচ্ছে। তারা মনে করছেন সকল অফিসারের জন্য সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও দেহরক্ষী নিয়োগ প্রয়োজন। “আমরা যখন স্যারের অধীনে ছিলাম তখন ওভারডিউটির কোনো বিষয় ছিলো না, অস্ত্র হাতে নিয়ে হেঁটে বেড়ানোকে যদি আপনি ডিউটি করা বলেন। কিন্তু নতুন দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর আমাদেরকে খুবই টাইট শিডিউলে কাজ করতে হচ্ছে…” জানা গেছে খোদ গাদ্দাফীও অনুভব করছেন দেহরক্ষী স্বল্পতার কথা, এই পদক্ষেপ আগে নিলে দেশের অবস্থা এত খারাপের দিকে যেত না বলে ঘনিষ্টজনের কাছে আক্ষেপও করেছেন তিনি। যাই হোক এর মাধ্যমে বিদ্রোহ কতটা নাগালে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

---উরাধুরা সংবাদদাতা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।