আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম্ভাবনার অঙ্কুর



কী ভাবনাহীন চঞ্চল আর প্রাণোচ্ছলই না এক একটা শিশু! ইচ্ছের রঙিন পাখায় ভর করে উড়ে বেড়ায় সম্ভাবনার অসীম দিগন্তে। উৎফুল্ল মুখের হাসিতে জয় করতে চায় সব। কখনও আবার স্বপ্নময় উদ্দেশ্যহীন মনটাকে ফড়িংয়ের সমান্তরালে রেখে পিছু পিছু ছুটে চলে। ঢু মারে শালিক আর দোয়েলের বাসায়। একেক দিন বর্ণিল আর বিস্তৃত দিগন্তের দিকে তাকিয়ে স্বাধ জাগে ছুঁয়ে দেখার।

তাইতো নাটাই হাতে নিজের মনটাকে ঘুড়ির আদলে উড়িয়ে দেয় আকাশে। ডাঙ্গুলি আর গুলতি হাতে পাড়া মাতায় যোদ্ধার বেশে। খেলাচ্ছলে রাজ্য হয়, মন্ত্রী হয়, সৈন্য হয় ,হয় রানীও। সেই সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল অব্দি চলে সব খেলা। বিলম্বিত সন্ধায় ঠিকই আবার খোঁজে নেয় মায়ের কোল আর শাড়ির আঁচল।

আবার সকাল। আবার সেই গুলতি,ডাঙ্গুলি , ঘুড়ি আর চাকা। দুরন্ত চাকাটাকে ছুটিয়ে অথবা চাকার পিছু পিছু ছুটতে ছুটতেই যেতে চায় অজানা কোন স্বপ্নের দেশে। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে জীবনের বেলা। জীবন সূর্যের সোনালী কিরণের আহব্বানে অঙ্কুরিত হতে থাকে আগামীর সম্ভাবনা।

এবার বই-খাতা হাতে পাঠশালায় যাবার পালা। কেননা বিদ্যার জল সেচে সম্ভাবনার অঙ্কুরটাকে যে পরিপুষ্ট করতে হবে। কারও আবার মাড়ানো হয়ে উঠেনা পাঠশালার পথ। কেউ কেউ হয়তো মাঝ পথেই ঝরে যায়। থমকে যায় সম্ভাবনার অঙ্কুর।

এই বয়সেই কাঁধে উঠে জীবনের জোয়াল। জীবন কলিটা প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে যায়। কারও কারও নিজের নামটা পর্যন্ত আড়াল হয়ে যায়। হয়ে যায় পথশিশু। ভর করে বাস্তবতার করাত কল।

পাহাড় সমান স্বপ্নগুলোকে কেটে কুটে বানিয়ে দেয় বনসাই। তবুও আবার গজায় স্বপ্নের কুশি। টুপটাপ ঝরে পড়া ঘেমো জলের সাথে অপ্রাপ্তি গুলো ঝেড়ে ফেলে খুঁজতে থাকে স্বপ্নলোকের সিঁড়ি। কিন্তু সে সিঁড়ি যে তাকে ফাঁকি দেয়। প্রতিনিয়তই একটু একটু করে দূরে সরে যেতে থাকে।

সাথে সাথে স্বপ্নভেলাও ভাটার টানে ভেসে যায়। আবার সেই ভেসে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে জড় করে নতুন স্বপ্ন দেখতে থাকে। এ ভাবেই ভাঙ্গা-গড়া আবার জোড়া দেয়া স্বপ্নের পাটাতনে দাঁড়িয়ে হয়তো একদিন জীবনের উঠুনে ঠিকরে পড়বে সম্ভাবনার নতুন আলো। যে আলোয় আলোকিত হবে জীবনের মেঠো পথ। সে পথ ধরেই এগিয়ে যাবে সম্ভাবনা আর সমৃদ্ধির শকটগুলো।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।