আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জলবায়ু নিয়া রচনা


“জলবায়ু পরিবর্তনে পর্যুদস্ত বাংলাদেশের মানুষের নিজ উদ্যোগেই সাহসিকতার সঙ্গে ঝুঁকি মোকাবিলার প্রয়াস প্রশংসিত হয়েছে। আর জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় কোটি কোটি টাকা আসছে অভিযোজন তহবিলে। কিন্তু ওই টাকা ধনীরা কেড়ে নিলে তা সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে। “ – বলেছেন অ্যাকশন এইডের প্রধান নির্বাহী জোয়ানা কার * বড়ই প্রীত হওয়ার মতন একখান সংবাদ বইলা ধইরা লওন যায় আর কি। স্বীকার তাইলে করলেনই বিশ্বসংস্থার এক অংশ! তয় আমনেরে ধন্যবাদ দিমু না এই কারণে।

আমাগোরে এক্কেবারে গরিব আর দরিদ্র কইছেন বইলা। যদিও সরাসরি বলেন নাই। তয় মনে হইলো বাতাসখানি হেই রহমই আর কি। ভাগ্যিস আগের মতন এত এত চুক্তি আর চুক্তির সাথে লেজওয়ালা একখান শব্দ ‘ঋণ’। সেইরহম যুগান্তকারী বাক্য এহন কম শুনি।

কারে যে সাধুবাদ জানামু। এই আমজনতা এ দেশের আপামর জনগণের দিকেই সে বিনীতভাবে আঙ্গুল তুলবো। আগে যাহা ‘ঋণ চুক্তি’। যাহা আমাগো কল্যাণ এর লাইগা খরচ করা হইবো বইলা দিচ্ছিলেন আর লইছিলাম। হেই দেনা তো শোধই করবার পারুম না।

কোনকালে করমু তাও জানি না অবশ্য আমরা এ দেশের জনগণ। তয় দিয়া একদিন দিমুই দিমু। তা দেহোনের একখান বিরাট স্বপ্ন কেউ না দেখলেও এই আমজনতা ঠিকই দেহে! তয় হেই উন্নতিতে ভাসতে ভাসতে আমরা আইজও যে আছি গরিব আর দরিদ্র! তা দেহাইবেন জানি, তয় আমাগো মনে অয় এই ধরনের সহযোগিতা। বিশেষ কইরা দারিদ্র বিমোচনের লাইগা মনে হয় দরদ না দেখাইলেও চলিবেক। তা এইভাবে আর না দেখাইয়া, অন্যভাবে দেহান।

তাইলেই তো খুশি হই আমরা। কারণ জলবায়ু ঠিক রাহনের লাইগা এহেন উন্নত দেশগুলানের আমাগো দিকেই আইতে অইবো। আমরাও তাইলে আমনেগো দরিদ্র কমু। জলবায়ুর উৎকৃষ্টতার দিক দিয়ে দরিদ্র। ঢাকা সফরের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জোয়ানা কার বলেন, ‘বাংলাদেশে অ্যাকশন এইড কি করছে সেটা নিজের চোখে দেখা আমার এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।

পাশাপাশি আগামী ছয় বছরের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অ্যাকশন এইড। ওই কর্মকৌশলে বাংলাদেশের চাহিদার বিষয়গুলো কীভাবে সমন্বয় করা যায়, তা নিয়ে আলোচনাও অন্যতম লক্ষ্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈষম্য দূর করতে কোন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি, সেটাচিহ্নিত করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। ’ জোয়ানা কার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রসঙ্গটি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বিশ্বের যেসব দেশে আমরা কাজ করছি তারা বাংলাদেশের মতো দুর্ভোগের শিকার হয়নি।

আবার প্রশংসনীয় বিষয়টি হচ্ছে, এ দেশের মানুষ নিজেদের উদ্যোগেই সৃজনশীলতার সঙ্গেই ঝুঁকি মোকাবিলা করছে। সেটা ভয়াবহ বন্যাই হোক কিংবা দুর্বিষহ খরা। ’* এমনিতে খুশি হইছি এই আমজনতা। আর কেউ না হইলেও। সরকার আর জনগণরে যেইভাবে অয়েলিং খাস বাংলায় বলিবার গেলে-তৈলমর্দন করলেন।

নিজ কার্য্য হাসিল করিবার জইন্যে। তার কারুকার্যময় প্রশংসায় সবাই বিগলিত! অ্যাকশন এইড এর কাজের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র খাদ্য নিরাপত্তা। তিনি বলেন, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী যেভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছে, ভূমিতে নিজেদের অধিকারের পাশাপাশি নিজেদের স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে যেভাবে এগিয়েছে সেটিও প্রশংসনীয়। আমি মনে করি, এ দেশের গণমাধ্যম তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছে। ফলে তারা এগোতে পেরেছে।

আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে সমাজে বেশি মাত্রায় ভিন্নমত, অনেক জাতিগোষ্ঠীকে ধারণ করে এগোনোর মাধ্যমে কার্যকর অর্থেই গণতান্ত্রিক করা যায়। কীভাবে সব শ্রেণীর মানুষের জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দেওয়া যায়, আদিবাসী জনগোষ্ঠী কীভাবে তাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার হয়েছে এবং সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমরা সেই শিক্ষাটা পেয়েছি। ’* মিডিয়া সাথে আদিবাসি! হাজার হইলেও আমনে গো এক্তিয়ার এর বাইরেও তো কথা বলবার পারেন। আমাগোরে দরকার আছে তাইলে। শুনিয়া বড়ই প্রীত হইলাম।

তয় কি কারণে এই সব এহন জ্বলজ্বল করে আমনে গো চক্ষে। তা তো কইবার পারুম না। কারণ আগের কথা মনে অইলেই মনে অয়। কি দাপট আছিলো একেক খান সংস্থার! কে নাই সেই তালিকায়- এডিবি, বিশ্বব্যাংক, হিউম্যান রাইটস, এমনেষ্টি সহ আরও আরও কত্ত কত্ত সংস্থা। নাম কইবার গেলেই দাত ভাঙ্গে এই আমজনতার! এমনও বর্নালী দিন আছিল কোন কোণ সংস্থার।

একজন যদি আমাগোরে কইতো ডাইনে মোর নেন। আমাগো সরকারগুলান আগেই ডাইনে গিয়া বইয়া থাকতো। যদি কইতো বামে। কইতে দেরি, যাইতে দেরি নাই। এমনই আছিল অবস্থা-খান।

কেউ কেউ তো সুড়সুড় করিয়া ওআইসি র দিকে দৌড় দিতো। আর কারও ত্রাণ না আইলেও সৌদি বাদশাহ আর মধ্যপ্রাচ্যের আমিরের কাছ থাইক্যা ত্রাণ আইতোই আইতো। এহন কতটুক উন্নতি হইছে তা অবশ্য পরিসঙ্খ্যানগত দিক থাইক্যা তো সঠিক বলবার পারুম না। তয় সিপিডি যে চেষ্টা করবো, তা আমনেরা নিশ্চিত থাইকেন। তয় আমরা যে আর কাঙ্গাল না।

তা একবাক্যে কইবার পারি। এই দিক দিয়া দিন মনে অয় বদলাইছে মহামান্য বিশ্বসংস্থা-গন। আর যাই হোক দারিদ্র বিমোচন এর লাইগ্যা তো বাংলাদেশের কেউ আমনে গো কাছে নিকট অতীতে যায় নাই বলিয়াই জানি। তয় আর আমনেরা আমাগোরে গরীব আর দরিদ্র কইয়েন না। ভবিষ্যতেও যামু না মনে হয়।

খাদ্যে আমরা সেরা। হেই তালিকাই খুজবার আইছেন কি না? অতীত মনে অইলেই খালি তো ডর করে! তয় আমনেগো পরতি আমরা কৃতজ্ঞ। বিদেশি ট্যাহা তো আইছে। সাথে আইছে একঝাক ঋনের বোঝা! আমার কেন জানি মনে হয়। একসময় আমরাই রাজা হমু।

প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতায় হয়ত আমরাও হমু। তয় কেন জানি মনে হয় এবং বিশ্বাস একটু শান্তির লাইগ্যা হইলেও এ দেশে একদিন না একদিন বিদেশি ধনবানরা আসবোই আসবো। হয়ত একটু অবকাশ যাপনের লাইগা। এতে অবশ্য আর কোণ দিক দিয়া না হইলেও। পর্যটন খাতটা যে চাংগা হইবো।

এই ব্যাপারে আমনেরা সবাই এই অধম জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী হুনবেনই হুনবেন। কারন হুনছি পৃথিবী গরম হইয়া ফুটবো। লগে লগে ফুটবো হেইসব চুল্লি। সরকার সরকার মনোমালিন্যর কারণে ভুগবো সাধারণ জনগণ। তা কি আর মানা যায়? আমরা নাইলে এক কোনায় বইয়াই শান্তিতে থাহি।

সবই স্বপ্ন না বাস্তবও বটে। অবশ্য আবার ভাইবেন না যে, জলবায়ু লইয়া আমরা চিন্তিত না। তয় ধনী রাষ্ট্রগুলান যদি আমাগো প্রাপ্যটুকু থাইক্যাও বঞ্চিত করে। তাও মাইনা লমু না। আচ্ছা সব কইলেন এইডা কইলেন না কেন বুঝবার পারলাম না।

আমগো দেশ যে জাহাজের বর্জ্য নিঃসরনের একটি ডাম্পিং ষ্টেশন বানানোর পায়তারা হইতেয়াছে। আর তা করতেয়াছে উন্নত দেশগুলানই। তার তো পরতিবাদ আমনে একবারেও মুখে তুললেন না। ব্যাবসা দেহাইয়া আর উন্নতি দেহাইয়া। আমাগো বঙ্গোপসাগর যে দুষিত করতেয়াছে ধনীরা।

হেই কারনে হেগো নামে বিচার দিমু কোণ জায়গায়? এ জাতিরে জাগাইতে আইছেন। হেই বিচারের জায়গাটা একটুসখানি কইবেন আশা রাহি। তবেই আসিবে শান্তি আমরাও পাবো মুক্তি। বিশ্বসংস্থা এ জাতিকে দাবায়া মনে হয় রাইখবার পারবেন না। ঋন চুক্তি না করিয়া আসেন আমরা সবাই সমঝোতা চুক্তি করি।

এই বাক্যখানই মনে অয় সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জলবায়ুর নিশ্চয়তায় সারা পৃথিবির সব জায়গায়। প্রকৃতি মানুষকে কিভাবে অসহায় করে রেখেছে। জাপানের অবস্থা দেখলে ভয়ই লাগে। কি এক শান্ত এবং টেকনোলজির দিক দিয়ে উন্নত একটি দেশ মুহুর্তেই ধংসস্তুপ। বিশ্বে আসলে কেউই নিরাপদ না।

এই কথাই সবচেয়ে বড় সত্য! দেখছেন দেশের মেহমান জোয়ানার মতন আমিও কই থাইক্যা কই আইসা দাড়াইলাম। আমরা চাইবো স্বনির্ভর অর্থনীতি, পরনির্ভর না। * চিহ্নিত তথ্যসুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো (১৭-০৩-২০১১ইং)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।