আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাউস হাতে ব্যথা বাড়ায়

ঘাস ফুল

কম্পিউটারে যারা কাজ করেন তারা প্রায়ই হাতে ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। কাজ করার সময় ভুলভাবে মাউস ব্যবহারের ফলে হতে পারে এ ব্যথা। চিকিত্সাশাস্ত্রে এর নাম রিপেটিটিভ স্ট্রেইন ইন্জুরি তথা আরএসআই। এটি মাউস আর্ম নামেও পরিচিত। এ থেকে মুক্তি চাইলে মাউস ব্যবহার কমিয়ে কি-বোর্ডের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

আর এ ধরনের কোনো ব্যথার লক্ষণ দেখা দিলে বা কোনো কিছু তুলতে গিয়ে হাতে ব্যথা অনুভূত হলে, দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্নায়ুবিদের কাছে যাওয়া উচিত। ডাক্তারের কাছে যেতে যত দেরি করবেন ততই এ ব্যথা চিরস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকবে। জার্মান অ্যাসোসিয়েশন অব নার্ভ ডক্টরসের প্রধান ফ্র্যাঙ্ক বার্জম্যান বলেন, হাত বা বাহুর নিচে টনটন করা, অসাড়তা বা দুর্বল বোধ করা হচ্ছে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। বেকায়দায় মাউস ধরে অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে হাতের কোষগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হতে থাকে, যা থেকে স্নায়ুতন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়। এই ব্যথা প্রাথমিকভাবে মস্তিস্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।

এ ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় জানাতে এই স্নায়ুবিজ্ঞানী বলেন, মাউসের ব্যবহার কমিয়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মাউসের অনেক কাজই কিবোর্ড দিয়ে করা যায়। কিবোর্ডের সেসব কমান্ড জেনে নিয়ে কম্পিউটার ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। মাউসের আকৃতিও হতে হবে হাতের সঙ্গে মানানসই। এছাড়া মাউস প্যাডও হাতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।

তাই প্যাডবিহীন মাউস ব্যবহার করা উচিত নয়। মাউস বাদে অন্যান্য অপশন যেমন ভয়েস রিকগনিশন পদ্ধতি ব্যবহার করেও মাউসের ওপর চাপ কমানো যায়। এতে হাতের ওপর থেকেও চাপ কমবে। বার্জম্যান পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ টান টান করা ধরনের ব্যয়াম, স্বাভাবিকভাবে হাত নাড়াচাড়া করা সেই সঙ্গে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিলে হাতের পেশির ওপর থেকে চাপ কমে।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.