আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

’’সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন এবং অন্যদের বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করুন’’

এলোমেলো ভাবনা সারাক্ষণ মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে হিন্দুরা এই দেশে সংখ্যালুঘু নয়, অন্তত আমি বিশ্বাস করি না। তারা বাঙ্গালী, পূর্বপুরুষ সূত্রে এই মাটিতেই তাদের বসবাস। এই দেশের মাটিতেই তাদের জন্ম, তারা আমাদের আপনজন। এই দেশের মাটির গন্ধ তাদের শরীরে লেগে আছে, রক্তে মিশে আছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি। এটা তাদের দেশ, তাদের মাটি, তাদের জন্মভূমি, আমাদের যেমনটি জন্মভূমির প্রতি টান আছে,,,তাদেরও টান আছে এই প্রিয় জন্মভূমির প্রতি।

আমাদের যতটুকু অধিকার আছে, আমরা যেমনটি মাথা উঁচু করে পথ চলি এই দেশে ,,,,ঠিক ততটুকু মাথা উঁচু করে পথ চলার অধিকার রাখে তারাও। দয়া করে হিন্দু মুসলমান --- কেউ কাউকেই উস্কানী দিবেন না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন। এই সময় আমার বাবাকে খুব মনে পড়ছে, তিনি ১৯৭১ সালে আমাদের আশেপাশের গ্রামের হিন্দু পুরুষদের পরম যত্নে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন, তিনি গ্রামের সবাইকে তাদের জানমাল রক্ষার জন্য মোটিভেট করতেন। আমার কিশোর বড়ভাইটি হিন্দু কিশোরদের রক্ষার জন্য আমাদের বাড়ির বাঁশতলায় মাটি কেটে গর্ত করে বলতেন,’ আয় আমরা সবাই মিলে এর ভিতর লুকিয়ে থাকি, তাহলে কেউ আমাদের দেখতে পাবে না।

’ ওরা মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকতো, উপরে দিয়ে দিত নারিকেল আর অন্যান্য ঝোপ লতা পাতা যাতে এই গর্ত কেউ দেখতে না পায়। আমার কাকা আমার ভাইকে বলতো,,,ভাস্তা তোর বুদ্ধি খুব ভাল। নিজেরাই লাঠি দিয়ে লড়াই - লড়াই খেলতো,,,,ভাই বলতো আমাদেরকে ট্রেনিং নিতে হবে,,,তাহলে কেউ আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না। ভাইয়ের ঘরে তাদের ছিল অবাধ পদচারনা। আর আমার মা তাকে আমি স্যালুট দেই।

আমার মা হিন্দু নারী, যুবতী, শিশুদেরকে পরম মমতায় আমাদের বাড়ির কাঠের দোতলা ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন। মা আমার নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াত তাদের। যুবতী মেয়েদের দিকে কেউ যাতে খারাপ দৃষ্টি না দিতে পারে তার জন্য মা সারাক্ষণ নজর রাখতেন। আমার বড় আপা তার বান্ধবীসহ অন্যান্য মেয়েদেরকে সারাক্ষণ সঙ্গ দিতেন যাতে তারা নিজেদেরকে নিসঙ্গ মনে না করেন। ভারতে যখন বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয় তখন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমার বাবা, কাকা, ভাই গ্রামের সবাইকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বলেছিলেন এবং তা কার্যকরীও হয়েছিল।

আজ আমার বাবা নেই। তিনি তো না ফেরা দেশে চলে গিয়েছেন। তার অভাব খুব অনুভব করছি । আমরা যারা তথাকথিত শিক্ষিত বলে নিজেদেরকে দাবী করি,,,তাদের ভূমিকা অনেক বেশি,,,,,তাই এমন কথা, কাজ আমরা করবো না বা করা উচিত হবে না যা পরোক্ষ বা প্রত্যোক্ষভাবে উস্কানীমূলক। আসুন আমরা সবাই মিলে হিংসা, বিদ্বেষ, ধর্ম, বর্ণ ভুলে গিয়ে মানুষ হিসেব মানুষের পাশে দাঁড়াই, উস্কানীমূলক কথা, দ্বদ্ব¦ আরো দ্বদ্বের জন্ম দেয়, মানুষের মনে আরো ক্ষোভের সৃষ্টি করে ,,,,,,,,,, তাই এখনই সময় সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার ,,,,,,,,,,,, (এই পোস্টে দয়া করে কেউ উষ্কানীমূলক মন্তব্য করবেন না,,,আর যদি উষ্কানীমূলক মন্তব্য করেন তবে তা ডিলিট করে দেয়া হবে।

সুন্দর গঠণমূলক মন্তব্য আশা করছি ) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.