আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃতপ্রায় কানাইঘাটের সুরমা নদী


বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশে রয়েছে অসংখ্য ছোট,বড় নদী-নালা,খাল-বিল। নদীর সাথে দেশের মানুষের গভীর মিতালী। কিন্তু কথাটির সাথে আজ আর পুরোপুরি মিল নেই, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় নদ-নদীগুলো। তেমনি এক খরস্রোতা নদীর নাম হচ্ছে সুরমা নদী।

বাংলাদেশের প্রধান নদী সমূহের মধ্যে অন্যতম এবং দীর্ঘতম। এক সময় খরস্রোতা স্রোত ছিল এ ছিল নদীতে। নাব্যতা হারিয়ে ভরাট হয়ে সে নদী এখন মরা খালের ন্যায় পরিণত হয়ে,মরূভূমির ন্যায় চারিদিকে জেগে উঠেছে ধু ধু বালুচর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার একটি কবিতায় বলেছেন... আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাটু জ্বল থাকে কবির এ পংক্তিটির সাথে অবিকল মিলে গেছে কানাইঘাটের সুরমা নদী যে নদী পার হতে এখন আর নৌকার প্রয়োজন হয়না। হেঁটেই পার হওয়া যায়।

নদীর কোন কোন অংশে হাটু পানি বা তার চেয়ে ও কম। বর্ষা মৌসুমে যে নদী দিয়ে চলে বড় বড় লঞ্চ,পাথরবাহী নৌকা,পালতোলা নৌকা। সে নদী দিয়ে এখন ডিঙ্গি নৌকা ও চলে খুব সীমিত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে শুষ্ক মৌসুম শুরু হলেই কমে যায় সুরমার পানি ভরাট হয়ে যায় নদীর তলদেশ আটকা পড়ে শত শত নৌকা বেকার হয়ে পড়ে এসব নৌকার শ্রমিকরা। উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন জায়গার নৌ পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন হাট বাজারের মালামাল সরবরাহ করতে মারান্তক ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়।

ফলে ব্যবসায়ীরা অসুবিধার সুখিন হন। সুরমা নদীর বিভিন্ন অংশে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে নদীর দুপাশে জেগে উঠেছে বিশাল বিশাল চর। এসব চরে কেউবা শাক-সবজি চাষ করছে আবার কেউবা খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে। সুরমা তীরবর্তী উপজেলার গোসাইনপুর গ্রামের আফতাব আলী জানান,নদীর নিচের অংশ (তলদেশ) ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যায়। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি সামান্য বাড়লেই আমাদের ঘর বাড়ী ডুবে যায় এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় বন্যা দেখা দেয়।

নদী তীরবর্তী এলাকার আরেক বাসিন্দা জানান,শুষ্ক মৌসুমে,সুরমা নদীর গভীরতা খালের চেয়ে ও আরো কমে যায় যেন মরা খলা পরিণত হয়ে যায় সুরমা নদী। মরুভূমি হয়ে যাওয়া সুরমা ড্রেজিং করে খনন করলে তার সেই পুরনো নাব্যতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে বিশেজ্ঞদের ধারণা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।