আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলিটিক্যাল বিনোদন হাসু বু কথন

আগামী প্রজন্মের জন্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই।

আমরা বাংলাদেশীদের বিনোদনের বড় অভাব। না আছে সিনেমা নাই ফুটবল। ক্রিকেটে যাও ক্রিকেটে বিনোদিত হবার চেয়ে সংকিত থাকি বেশি। তাইলে কি আমরা বিনোদন বন্ঞিত জাতী।

না তা হবার সু্যোগ নেই কারন পরিস্থিতি অট্ট হাসির না হলেও মুচকি হাসি ঠিকই। এই মুচকি হাসির কারন আর কিছুই না জাতীর চরম সংকট কালে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সীমাবদ্ধ জ্ঞান সর্বস্ব বক্তৃতা। ১. আশির দশকে জাতীর ঘাড়ে যখন সৈরাচার এরসাদের ভুত সয়ার তখন লাল দীঘি ময়দানে ঘোষনা দেন যে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে সে জাতীয় বেঈমান। ঢাকা ফিরেই নিজেকে জাতীয় বেঈমান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২. ৯৬এ ক্ষমতায় আসার পর ঘোষনা দেন বাংলাদেশ আম্বা লীগ কোন দিন বিরোধীদলে গেলেও হরতাল করবে না।

৩. ২০০১ নির্বাচনের দিন সন্ধায় নি্রবাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হয়েছে। পরদিন সকালে নির্বাচনে সুক্ষ কারচুপি হয়েছে। ৪. দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ দিতে গিয়ে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। আমি দুর্নীতি করলে আমার মেয়ের জামাই আমেরিকা থেকে ট্রাক চালিয়ে কানাডা যেতো না। নাইকোর কোনো কিছু আমি অনুমোদন করিনি।

নাইকোর খসড়া চুক্তি অনুমোদনের কথা লেখা হচ্ছে, কিন্তু তা ঠিক নয়। আমার সময়ে শুধু একটি খসড়া নীতিমালা হয়েছে। - শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ৫. গণরোষ পরিণত হতে চলছে গণবিদ্রোহে ধপাস করে পড়ে যাবে সরকার। - শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ৬. প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদান করে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে এই পুরস্কার পেতাম না।

- শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী (বার্জমাউন্টেড পাওয়ার পস্নান্ট স্থাপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার চার্জ গঠনের ওপর আদেশ প্রদানের পূর্বে তিনি আদালতে এ কথা বলেন। ) ৭. আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বার্জ মাউন্টেড প্রকল্পে ৫ সেন্টে বিদ্যুত কেনা হয়েছে। কিন্তু আজ ১৯ সেন্টে বিদ্যুত ক্রয় করা হচ্ছে। তাহলে কি তাদের বিরম্নদ্ধে মামলা হবে না? - শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ৮. শেখ সেলিমের চেকে ঘুষ প্রদানের মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আমি নিজে কোন টাকা গ্রহণ করিনি বা কারো কাছ থেকে টাকা নেইনি। কেউ যদি কারো কাছ থেকে টাকা নেয় তার দায়িত্বতো আমি নিতে পারি না।

- শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। ৯. চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাওয়ার পথে বিমান বন্দরে আমরা ক্ষমতায় আসলে বর্তমান (তত্তাবদায়ক) সরকারের সকল কর্মকান্ডের বৈধতা দেয়া হবে। (সরকারটা তাহলে অবৈধ ছিল) ১০. ২৬ ডিসেম্বরের হরতালের বিরোদ্ধে বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হানাদারদের দোসর (ওলামা পরিষদ)ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ডাকা হরতালে বিরোধীদলীয় নেতা সমর্থন দিয়েছেন। অথচ তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দাবি করেন। ’ ১১. বেয়াই পিতা রাজাকার নুরু মিয়ার পক্ষে বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা- পুতুলের দাদা শ্বসুর রাজাকার হলেও মানবতা বিরোধী ছিলেন না।

১২. পিল খানা হত্যাকান্ডে যখন সারা দেশ স্তব্দ সংকিত তখনো তিনি ভুলে যান নি তিনি একজন পলিটিশিয়ান চেষ্টা চালান পতিপক্ষকে ফাসাতে- তিনি (খালেদা জিয়া) সে দিন সকালে কোথায় ছিলেন (বিডিআর বিদ্রোহীদের তালিকায় কি খালেদা জিয়াও ছিলেন তবে লিস্টটা কে টৈরি করেছিলেন ) ? ১৩. ২০০৮এর নির্বাচনি প্রচারনায় বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় ভাসনে পুরো দেশ বাসীকে সরিষা ফুল দেখালেন এই বলে যে ১০টাকায় ভাত খাব নৌকা মার্কায় ভোট দেব। । নিন্দুকেরা বলে এটা ছিল নির্বাচনী ইস্তিহার, আমি বলি এটা শুধু নির্বাচনী বিনোদনে ছিলো। ১৪. ড. ইউনুসকে নিয়ে নরউয়ের টিভি নোরাড অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করলে শেখ হাসু বলেন- এইবার সুদ ক্ষোরের মহাজনের (ইউনুস) রক্ষা নাই। পাশাপাশি তার নোবেল কেরে নেয়ার আহবান জানান।

উল্লেখ্য ইউনুস সে যাত্রায় রক্ষা পেলেন গ্রামিন ফোনের শেয়ার ছেড়ে (সম্ভবত)। ১৫. কৃষকদের এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে হাসু বলেছিলেন শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাবো। আলু নিয়ে বিপাকে পরা কৃষকরা এখন প্রান খুলে হাসতে পারেন। আপডেট করা হবে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।