আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পলিটিক্যাল না নন পলিটিক্যাল?ইস কেন যে পলিটিক্স করলাম না ............



যেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হলে উঠি সেইদিনেই খুব খারাপ একটা দৃশ্য হজম করতে হয় । তখন বিনপির সময়। আমার সামনেই এক কেন্টিন বয়কে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছিল এক বড় ভাই। ছেলেটার অপরাধ ছিল ভাইকে মুরগির রান না দেয়া। পরে জ়ানলাম বড় ভাই অনেক বড় ছাত্র নেতা।

ঘটনাটা মনে অনেক দাগ কাটল। আর গন রুম এ থাকতে গিয়ে পলিটিক্স এর যে রূপ দেখেছিলাম তখনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিই জীবনেও পলিটিক্স করব না। কিন্তু পলিটিক্স না করার কুফল পেতে আমাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয় নি। যখন দেখলাম আমার নেতা বন্ধুগুলু একে একে সিংগেল সিট পেয়ে গেল খুব তাড়াতাড়ি । আমরা যারা পলিটিক্স করতাম না তাদের সপ্তাহে একদিন লেকচার দেয়া হত পলিটিক্স না করার কুফল সর্ম্পকে।

কিন্তু তত দিনে বুঝে গেছি পলিটিক্স মানেই কেন্টিন এ ফ্রী খাওয়া আর মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার। যার ব্যবহার যত খারাপ তার সম্মান আর মর্যাদা তত বেশি। সুতরাং আগের সিদ্ধান্ত এ অটল থাকলাম। কিন্তু সেইসময় কি ভুল করেছিলাম তা আজকে আবার নতুন করে বুঝলাম । সকালে রুপালি ব্যাংক এর সিনিওর অফিসার পদের জন্য পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বন্ধুর ফোন দোস্ত প্রস্ন ত আউট হয়ে গেছে ।

ওর কথা বিশ্বাস করলামনা । তখন ও বলল দোস্ত গতানুগতিক সন্ধি কি হবে?এক্সাম এ গিয়ে যখন দেখলাম গতানুগতিক সন্ধি বিচ্ছেদ আসছে তখনি বুঝলাম ডাল মে কুচ কালা হে। পরে এক্সাম থেকে বের হয়ে যখন ওকে ফোন দিলাম ও বলল দোস্ত যারা হাইলি পলিটিকেল তারা প্রস্ন পাইসে। পরে আরও অনেকের সাথে কথা বলে বুঝতে দেরি হল না কি হইছে। যাক বিনপি এর সময় দেখেছিলাম কি করে ২৭ তম বিসিএস এর প্রস্ন আউট হইছিল এবং এর পর কি স্টাইলে সেখানে দলীয় লোক নেয়া হয়েছিল।

এরপর বিনপি এর সময় যত গুলি এক্সাম হইছিল সব গুলাতে কি নির্লজ্জ দলীয়করন করা হইছিল। বিসিএস এ ভাইভা আবার ২০০ করা হইছে । এই সরকারও যে আগের দেখান পথে হাটবে এইসব আয়োজন দেখে তাই মনে হচ্ছে। এই দুইটা ত গেল ছাত্রলীগ আর ছাত্রদল করলে কি লাভ তার কথা। আর যারা শিবির করবে তাদের জন্য ত ইসলামি ব্যাংক,ইবনে সিনা এরকম আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছেই।

কিছুদিন আগে আজিজ মার্কেট এ গিয়েছিলাম এক বড় ভাইয়ের কাছে। উনি রুম এ না থাকাতে আজিজ মার্কেট এর ৪ তলায় যে খালি জায়গাটা আছে ওইখানে দাড়িয়ে নিচের বিসিএস প্রশাসন একাডেমির মাঠে যে লন টেনিস খেলা হচ্ছিল তা দেখছিলাম। হটাৎ একটা মুখ খুব পরিচিত লাগল। আর একটু ভাল করে দেখে নিশ্চিত হলাম উনি আমার হলের প্রথম দিনের দেখা সেই বড় ভাই যিনি মুরগির রান না দেয়ার কারনে একটা ছেলের নাক ফাটিয়ে দিয়েছিল। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম সম্মানে থার্ড ক্লাস পাওয়া ওই বড় ভাই ২৭ তম বিসিএস এর এডমিন ক্যাডার।

বড়ই আফসোস হইছিল ওইদিন হাইরে পলিটিক্স কেন যে করলাম না ..................................আজকে আবার আফসোস টা মুখ থেকে বাইর হইছে.................জানি না ভবিষ্যতে আরও কতবার বেরুবে.........................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।