আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফতোয়া নিষিদ্ধ করণের রাজনীতি আর "ছাল উঠা নেড়ী কুকুরের সুজোগ সন্ধান"।

সম্মান জানাই তাকে আমার বিরুধ্যে সত্য বলে যে

ফতোয়া নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না ? কে নিষিদ্ধ করবে ? কেন আদালত ফতোয়া নিষিদ্ধ করবে ? কেনই বা করবে না ? এরকম হাজারো তর্ক বিতর্ক চা র দোকান থেকে রাজপথ গরম করার জন্য উপাদেয় "টপিক" । বরাবরের মতই বাংগালী চিরাচরিত স্বভাব মত চিলের পেছনে কানের জন্য দৌড়ানো তেই ব্যাস্ত। এই আন্ধা ভাগ-দৌড়ে সুজোগ নেবার চেস্টায় আছে "উস্ঠা খাওয়া ড্রেইনের পাশের ছাল উঠা নেড়ী কুকুর" এর দল । উচ্ছিস্টর মত বেচে থাকার জন্য এরা সব সময়ই কোন না কোন ফাক-ফোকর বা সুযোগের অপেক্ষায় ই থাকে । মূল বিতর্ক ছিল "ফতোয়া নিষিদ্ধ করা হবে, কি হবে না ?" ফতোয়া কি ? ফতোয়া এবং এর প্রয়োগের সিমাবদ্ধতা ই বা কি ? সরকার খুব ভাল ভাবেই যানে এটা খোলাসা করলেই বিরোধ মিটে যাবে ।

তবে মনে হয় না এটা করতে কারো কোন আগ্রহ আছে । "ফতোয়া" হলো ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী নির্দেশনা । যে কোন বিষয়ে ধর্মের নির্দেশনা কি ? এই ধর্মীয় নির্দেশনার বর্ণনা ই হলো "ফতোয়া" । যারা ফতোয়া দিয়ে থাকেন স্কলার বা "মুফতি",ফতোয়া প্রয়োগের দায়িত্ব ধর্মীয় ভাবেও কখনো তাদের উপর নয়। ফতোয়া প্রয়োগের অধিকার "শরিয়ত" বা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী "শুধু মাত্র ইসলামী সরকারের প্রসিকিউশন বিভাগ" এর ।

ইসলামী রাস্ট্র ব্যাবস্হা র ভিতরেও "মুফতি" বা ফতোয়া প্রদানকারী ব্যাক্তি/প্রতিস্ঠান এমনকি রাস্ট্র প্রধান (যদি সংশ্লিস্ট বিভাগের সদস্য না হয়ে থাকেন) নিজের হাতে ফতোয়া প্রয়োগ করতে পারেন না । ফতোয়া নিয়ে বাংলাদেশের সংগঠিত প্রত্যেক টি "দুর্ঘটনা" র পেছনে কারণ #১ ভুল/মনগড়া ফতোয়া। অথবা #২ ফতোয়ার অবৈধ সেচ্ছাচারী প্রয়োগ । ভুল এবং মনগড়া ফতোয়া এবং তার অবৈধ সেচ্ছাচারী প্রয়োগ এ সারা বাংলাদেশের ০.০০১% লোকের ও কোন বিরোধ বা দ্বীমত থাকার কোন সম্ভাবনা নাই। বরং হুজুর /মওলানা দের পক্ষ থেকেই সব চেয়ে বেশী সমর্থন আসবে ।

পক্ষান্তরে "ফতোয়া" নিষিদ্ধ করার অর্থ হলো "ধর্মীয় দৃস্টি কোন থেকে কোন বিষয়ে কোন সিদ্বান্ত কেউ বর্ণনা করতে পারবে না" । ধর্মীয় সিন্ধান্ত জানার এবং বলার অধিকার কে নিসিদ্ধ করার পক্ষে কোন সচেতন মানুষ সমর্থন দিতে পারে না । এটা হুজুর দের বোকামী যে তারা ফতোয়া নিসিদ্ধ হবে কি হবে না, এই বিতর্কে জড়িয়ে আন্দোলনে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । হুজুর রা যদি ফতোয়া কি ? কাকে বলে ? ফতোয়া এবং তার প্রয়োগের মাঝে কি পার্থক্য এটা মানুষের মাঝে পরিস্কার করার চেস্টা করতেন তা হলে এমনি তেই সারা দেশ হুজুর দের পক্ষে থাকতো । ফতোয়া নিসিদ্ব করার যেমন কোন সুযোগ বা বৈধতা থাকার সুজোগ নাই, ঠিক তেমনি ভাবে "ছাগল পাগলের মনগড়া ফতোয়া প্রদান, আর সুজোগ সন্ধানী পাবলিকের ফতোয়া প্রয়োগের কোন সুযোগ নাই" ।

এখানে "নিসিদ্ধ" করার বিতর্ক ই বা কিভাবে সৃস্টি হচ্ছে তাই বোধগম্য নয়। যে খানে কেউ,কোথাও, কখনো মনগড়া ফতোয়া প্রদান এবং সেচ্ছাচারী প্রয়োগের "বৈধতা" ই কেউ দাবী করে নাই সেখানে নিসিদ্ধ করার সুজোগ কিভাবে সৃস্টি হচ্ছে ? ঠিক এরকম গোলক ধাঁধাঁ য় পরে চিলের পেছনে যেই মুহুর্তে কানের খোঁজে ব্যাস্ত সবাই তখন এই সুজোগ কে কাজে লাগানোয় ব্যাস্ত "নেড়ী কুকুরের দল" । এরকম ই একটা স্ক্রীন শট দিলাম দেখে নিন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।