আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের আগেই দাঁত মুখ পরীক্ষা করা উচিত ।


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন যে বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেমন জরুরী তেমনি সেই সাথে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করাটাও জরুরী। কারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যই হচ্ছে দু'জন যাতে নিরাপদে জীবন নির্বাহ করতে পারেন সেই সাথে একটি সুন্দর ফুটফুটে ভবিষ্যৎ শিশুর জন্ম দিতে পারেন। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা গুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস এর জন্য রক্তের শর্করার পরিমাণ সেই সাথে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, হেপাটাইটিস রোগের মার্কার হিসেবে ঐএংঅম এবং অহঃর ঐপা পরীক্ষা ইত্যাদি। সেই সাথে হূদরোগের জন্য ইসিজি ও ফুসফুসের কোনো সমস্যা যেমন শ্বাসকষ্টজনিত কোনো রোগ আছে কিনা দেখা প্রয়োজন। প্রতিবছর একবার আমাদের শরীর পরীক্ষার সাথে বছরে দুইবার মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

মুখ ও দাঁতের পরীক্ষা দুই বার প্রয়োজন কেন? কারণ মুখের ভিতরে এমন কিছু রোগ আছে যা দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং সেই রোগের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি উদাহরণ দেয়া যাক, সাধারণত: মেয়েদের বিয়ের পর তারা গর্ভবর্তী হয় এবং এই অবস্থায় মুখের ভিতরে মাড়িতে প্রদাহ হয়, বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন, চৎবমহধহপু মরহমরারঃরং এই অবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, দাঁতের সাথে মাড়ির অবস্থান নষ্ট হয়ে যায় এবং তা গর্ভস্থ শিশুকে আক্রান্ত করে, পরবর্তীতে যে শিশুটি জন্ম লাভ করে তার ওজন কম হতে পারে ও নির্ধারিত সময়ের আগে বা দেরীতে জন্ম নিতে পারে, ফলে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিটি মায়ের প্রয়োজন বিয়ের আগেই মাড়ির এই ধরনের প্রদাহের চিকিৎসা করা, যেমন ডেন্টাল স্কেলিং ও প্রয়োজন বোধে শৈল্য চিকিৎসা। গর্ভাবস্তায় স্কেলিং এর জন্য পেনিসিলিন, এমস্কেসিলিন এবং ক্লিন্ডমাইসিলিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক দেয়া প্রয়োজন। তবে কখনোই টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না, কারণ তাতে ভবিষ্যৎ শিশুর দুধ দাঁত বা স্থায়ী দাঁতের রঙ স্বাভাবিক না হয়ে হলদেটে অথবা বিবর্ণ হতে পারে। আরও একটি বিষয় এখানে বলা প্রয়োজন, অনেকের মুখে দুগন্ধ হয়।

মুখের এই দুর্গন্ধ ছেলে অথবা মেয়ে উভয়ের জন্যই বিব্রতকর। সুতরাং বিয়ের আগেই যদি উভয়েরই ডেন্টিস্ট এর কাছ থেকে স্কেলিং এবং সেই সাথে অন্যান্য চিকিৎসা যেমন ডেন্টাল ক্যারিজ দাঁতের ফিলিং ইত্যাদি করিয়ে নিতে পারেন তবে হানিমুন যেমন সুখের হবে তেমনি তাদের দাম্পত্য জীবনও মধুময় হবে। সৌন্দর্য চ্চর্চা-একজন ছেলে মা মেয়ে তার বিয়ের আগে মুখ ও দাঁতের অন্যান্য অসুস্থ্যতার সাথে তার সৌন্দর্য চ্চর্চার ব্যাপারেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। যেমন দাঁতের ফাঁক বা উচু অবস্থান, দাঁতগুলো বিবর্ণ বা স্বাভাবিক রঙ না হয়ে হলদেটে ইত্যাদি। চিকিৎসা: দুধ দাঁত ফাঁক থাকলে (ডায়াবেটিস না থাকলে তা আজকাল অতি সুন্দর ফিলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক সুন্দর করা যায়) লাইট কিউর ফিলিং আবার একটি/দুটি বা অনেকগুলো উচু দাঁতকেও অর্থডন্টিক বা ক্রাউন ব্রিজ চিকিৎসায় স্বাভাবিক সুন্দর করা যায়।

আজকাল বিবর্ণ বা হলদেটে/কালো দাঁতকেও বিস্নচিং এর মাধ্যমে সুন্দর ঝকঝকে মুখের মতো করা যায়। অতএব সমস্ত বিষয় নিয়ে যদি কেউ বিয়ের আগে ভাবেন, অথবা এসব কারণে বিয়েতে সম্মতি না পান তবে অবশ্যই ডেন্টিস্ট দেখিয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর হাসি নিয়ে বিয়ের বিড়িতে বসা আজকাল কোনো সমস্যাই নয়। ্বঅধ্যাপক ডা: অরূপ রতন চৌধুরী সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি, বারডেম, ঢাকা। লিংক: Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।