প্রথম আলো: প্রতিটি ব্যাংকের কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কাজ করে। সিটি ব্যাংক কী দর্শন নিয়ে কাজ করে থাকে?
কে মাহমুদ সাত্তার: সিটি ব্যাংক হলো আর্থিক পণ্যের একটি ‘সুপারমার্কেট’। শুধু একধরনের গ্রাহককে সেবা দেওয়ার জন্য নয়, সব শ্রেণীর গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকে সিটি ব্যাংক। পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যাংকেরও একই ধরনের দর্শনে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। করপোরেট, বাণিজ্যিক, মাঝারি ও ক্ষুদ্র—সব ধরনের উদ্যোক্তার সঙ্গে সিটি ব্যাংক কাজ করে থাকে।
প্রতিটি শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক ব্যাংকিং সেবা রয়েছে।
প্রথম আলো: প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিটি ব্যাংকের অর্জন কী?
মাহমুদ সাত্তার: সিটি ব্যাংক হলো বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক। প্রথম থেকেই ব্যাংকিং খাতে আমরা ইতিবাচক কিছু করার চেষ্টা করেছি। এখন ব্যাংকিং খাতের বিপুলসংখ্যক ব্যাংকার রয়েছেন, যাঁরা সিটি ব্যাংক থেকে চাকরিজীবন শুরু করেছিলেন। মধ্যম পর্যায়ে এসে তাঁরা অন্য ব্যাংকে চলে গেছেন।
দেশে দক্ষ ব্যাংকারের বড় অংশ জোগান দিয়েছে সিটি ব্যাংক। গ্রাহকদের মধ্যে একধরনের আস্থা তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে সিটি ব্যাংক। এখন যেকোনো ব্যাংকিং সেবা নিতে গেলে গ্রাহকেরা প্রথমে সিটি ব্যাংকের কথা চিন্তা করেন।
প্রথম আলো: সিটি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো কীভাবে দেখে?
মাহমুদ সাত্তার: আমি সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে মনে করি জাকাতের মতো। সিটি ব্যাংক সিএসআরের মাধ্যমে এমন ধরনের কর্মসূচি নেয়, যাতে কিছুদিন পর সেই কর্মসূচি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে চলতে পারে।
এখন সিটি ব্যাংক অটিস্টিক শিশু, পাচার হওয়া নারী ও সেবিকাদের নিয়ে কাজ করছে। অটিস্টিক শিশুকে কারিগরি শিক্ষা দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করছে। আর যশোরের বম্বে কলোনিতে পাচার হওয়া উদ্ধারকৃত নারীদের কারুশিক্ষা দিয়ে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া নার্সিং শিক্ষা দিয়ে নারীদের সেবার ব্রত তৈরি করছে। ভবিষ্যতে কোনো একটি নির্দিষ্ট খাত বেছে নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিএসআর করব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।