আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুবিশাল জামাত এই পৃথিবীতে



মিসরের স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর এখনও দেশটির রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি। মোবারক পরবর্তী মিসরে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে না তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা নিরসনে প্রধান বিরোধীদল মুসলিম ব্রাদারহুড দেশের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত শুক্রবার মোবারক ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এ পরিষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার পারিবারিক আত্মীয় ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মাদ হোসেইন তানতাভি।

এছাড়া এ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট জেনারেল ওমর সুলায়মান এবং প্রধানমন্ত্রী আহমাদ শফিক। এ দু’জনই সামরিক বাহিনীর লোক এবং মোবারকের খুবই ঘনিষ্ঠ। এ কারণে মিসরের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদ যদি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে তাহলে মোবারকের পতনের পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার অর্থই হচ্ছে মিসর এখনও সেনাবাহিনীর হাতে শাসিত হবে। এর বিপরীতে মিসরের জনগণ ১৮ দিন টানা যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তার মূল দাবি ছিল দেশে সেনা শাসনের অবসান।

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এক ধরনের উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে কায়রো থেকে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন। তবে জনগণ বলছেন, এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যেহেতু শুধুমাত্র মোবারকের পতন হয়নি বরং গণবিপ্লব হয়ে গেছে সে কারণে এখন অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় খুব দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। মোবারক আমলের সরকার ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। জনগণের পছন্দমতো শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মিসরের চলমান আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা আলবারাদি বলেছেন, এখন জনগণের স্বপ্ন পূরণ হবে।

তিনি সেনাবাহিনী, বিরোধী দলগুলোর নেতা এবং অন্যান্য গ্রুপ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও আল-গাদ দলের নেতা আয়মান নূর বলেছেন, সবাই একমত হলে তিনি আবার মিসরের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করবেন। আরব লীগ প্রধান আমর মুসাও কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে হোসনি মোবারক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন নাকি সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার বিবৃতি দেয়া হচ্ছে, তারা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবেন। গত শুক্রবারকে মিসওে মোবারকের ‘বিদায় সংবর্ধনার দিন’ ঘোষণা করা হয়েছিল। হোসনি মোবারকের বিদায়ের পর রাজধানী কায়রোর তাহরির চত্বরসহ সারাদেশে এখন সাধারণ মানুষ আনন্দ-উল্লাস করছেন উৎস :: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।