আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দক্ষিণ কোরিয়া ছোট্ট একটা দেশ হওয়া সত্বেও সুবিশাল চীনের এন্টারটেইনমেন্ট সেক্টর তাদের দখলে

ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না পৃথিবীর নিয়ম বড়রা ছোটদের কন্ট্রোল করে, এটাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে. এই কন্ট্রোলের ধরনও হয় বিভিন্ন, এরই মধ্যে একটা হল বিনোদন জগত. যে জগতই হোক বৃহৎ গোষ্ঠী ক্ষুদ্রগোষ্ঠীর উপর ছড়ি ঘোরানোর কথা, কিন্তু এটাকে ভুল প্রমাণ করে অল্প জনসংখ্যার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া চৈনিকদের বিনোদন জগতে আধিপত্য দেখাচ্ছে. চৈনিকদের ফেভারিট মুভির তালিকায় কোরিয়ান মুভিগুলো, সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে তারা কোরিয়ান মুভি স্টার, সিঙ্গার, মডেলদের এক্টিভিটি ধুমাইয়া শেয়ার করে; চীনের ফুটপাতে কোরিয়ান এ্যালবামের সিডি বিক্রি হয়, দোকানপাট, ক্লাবে কোরিয়ান গান বাজানো হয়. আমার কয়েক চীনা ফ্রেন্ড চাইনিজ মুভির কথা না বলে কোরিয়ান মুভি দেখার জন্য রিকমেন্ড করে. কম্পিউটারে কোরিয়ান গেম খেলে, অনেক চীনাকেই দেখা যায় ক্যাফেতে পয়সা খরচ করে দিনভর কোরিয়ান গেমে বুদ হয়ে আছে. কোরিয়ান কোম্পানিগুলো চীনের বাজার মাথায় রেখেই গেমের অপশনে চীনা ভাষার ব্যবস্হা রাখে যাতে চাইনিজদের বুঝতে সুবিধা হয়, এমনকি অনেক চাইনিজ চরিত্র নিয়ে আসে ঠিক যেমনটি করা হয় পশ্চিমবঙ্গের মীরাক্কেল/ টিভি সিরিয়ালগুলোতে বাংলাদেশী চরিত্র রাখা হয়, এপারের দু একজনকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয়. সাংস্কৃতিক প্রভাব জিনিসটা অনেক বড় একটা অস্ত্র যার মাধ্যমে পয়সা কামানোর পাশাপাশি অন্যদের মধ্যে নিজেদের ভাব-ধারনা নীরবে নিভৃতে ট্রান্সফার করা যায়. চীনের ইয়াং জেনারেশনের হেয়ার স্টাইল কোরিয়ান মডেলদের মত, মেয়েরা এক ধরনের হেয়ার স্টাইল করে যেখানে শুধু সামনের দিকে কপালের উপরের চুলগুলো কাটে যা অনেকটা ট্রেনিংরত পুলিশদের বাটি ছাটনির মত...জাস্ট মাথার উপর একটা বাটি রেখে তারপর চুল ছাটো. চাইনিজ মেয়েদের এই হেয়ার স্টাইলটা কোরিয়ানদের কাছ থেকে ধার করা, পিছনে- কানের দুপাশে কাটবে না, শুধু কপালের অংশেরগুলো কাটবে. সাংস্কৃতিক প্রভাবে মানুষ কি না করে! ২০০২ সালে প্রাইভেট পড়তে গেছি ইংরেজী টিচারের বাসায়, স্যার বলতেছিলেন তার প্রাইমারী স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে বিদ্যালয়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের জন্য শাড়ি পড়বে কোটি কোটি যুবকের হৃদয়ে ভূজঙ্গ তীর নিক্ষেপকারিনী ঐশ্বরিয়া রায়ের মত নাভি বের করে, স্যারের বউ ঐ পিচ্চিকে নাভির নিচে কুচি দিয়ে আচলটা এক সাইডে সরিয়ে নিয়ে উহা বের করে শাড়ি পড়িয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটি কান্নাকাটি করে আর অনুষ্ঠানেই যায় নি. আমাদের দেশটা ছোট, বিশাল ভূখন্ডের ভারত আমাদের বিনোদন বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা করে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ কোরিয়া হতে পারে আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত.

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.