আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি চড়ুই এবং সাজঘরে কিছু রঙ্গিন মুখোশ

CONNECTION FAILED
আঁধার যামিনীর অপ্সরী তোমাকে তুমি আমার রক্ত মাংসের পরী, কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথিতে রুপালী চাঁদের আভাস। তুমিই বুক পাঁজরে জমাট নির্জল গদ্যে এনেছিলে অমৃতাক্ষর ছন্দ, ঘাসেদের অন্ধকারে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে ছড়িয়েছিল বাতাবী লেবুর সুঘ্রান। অথচ, আজ বাতাসকে উষ্মস্বেদে সম্পৃক্ত করে স্টিম ইঞ্জিন ছুটে চলে বাষ্পশক্তিকে পুজি করে। সুর্যগন্ধী মেঘে আজ প্রলয়ের নিষাদ, ঈশান আরশে বেঁধেছে বাসা অতলস্পর্শী বিষাদ। প্রস্থানকালে গোধুলী লালের রক্তহীন আভা পাড়ি দিয়ে সাতটি তারার তিমিরে ছুটে চলেছে জেমস ওয়াটের ইঞ্জিন।

বাষ্পস্নানে হারিয়ে গেছে পাস্তুরিত বিকেল। অতপর নীল রঙের অনুভূতিগুলো বিলীন হয় বিস্তীর্ন আকাশের বিশালতায়। গোধুলীর লালে নামে সন্ধ্যার পর্দা। সাঁঝের মায়ায় শঙ্খচিলের ডানায় আঁধার জড়িয়ে পড়ে, ড্যান্ডিলায়নের প্রান্তপুষ্পিকা গুলো আয়ুক্ষয় শেষে, অন্ধকারে হারানো জোনাকীর মত ঘুমিয়ে পড়ে, নেমে আসে শ্বাশত অন্ধকার। অবসন্ন ড্যাফোডিলের নিষ্প্রভ দ্যুতি বুকে ধারন করে, বিষাদী চোখের কোনে দর্শন-স্নায়ু গুলো আজ অভিমানী বরফ শীতল।

উষ্ণ মরুর বুকে আজ গভীর দীর্ঘশ্বাস। নিকষ আঁধারের নিরবে নৈঃশব্দে গ্রাস করেছে সুবাতাস। অমোঘ বিষন্নতায় আক্রান্ত সুধাংশু ডুবে আছে বিষে, পাপে । হৃদপিন্ডের রসায়নে রাজঅম্লের বিসর্প ঘর্ষণে কফিনবদ্ধ কৃষ্ণতম সন্ধ্যাগুলো যেন আরও গভীর হয়ে নেমে আসে। নিশি-যামিনী পেঁচাদের চোখের কোঠরে বাসা বাঁধে বিষাদ জোছনা।

কিচিরমিচিরকারী ম্যাগপাই গুলো লাশ হয়ে পড়ে থাকে অসীম শূন্যতার একাকিত্বে, পাঁজরভাঙা দীর্ঘশ্বাসে। জোছনার আলো নিভে গেছে, ক্লান্ত সময়ে ডুবে আছি বিষের কাল জলের নিচে, তবুও বিষাদ গুলো সব আমার হোক, তুমি আজীবন থেকো ভাল ।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.