আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এর জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা

আমি সত্য জানতে চাই (আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৪৭ সালের ৩রা মার্চ স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় জন্মগ্রহন করেন। টেলিফোনের অন্যতম আবিষ্কারক হিসেবে তিনি সবচেয়ে পরিচিত। তাঁর পিতা আলেকজান্ডার মেলভিল বেল এবং মাতা এলিজা গ্রেইস সাইমন্ড্‌স বেল। মূলত বেল টেলিফোন যন্ত্রের প্রথম পেটেন্ট করেছিলেন বটে কিন্তু তিনি প্রথম আবিষ্কারক নন। এই দাবি করতে পারেন অ্যান্তেনিও মিউচি।

তিনি ১৮৫৭ সালে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক টেলিফোন আবিষ্কারের গবেষণায় সফলতা লাভ করেন। ১৮৬৫ সালে ইটালিয়ান আবিষ্কারক ইনোচেনযো মেনজাডি একটি স্পিকিং টেলিফোন আবিষ্কার করেন। হাঙ্গেরিয়ান আবিষ্কারক থিবেদার পুশকাস সুইচবোর্ড ও পার্টি লাইন আবিষ্কার করে টেলিফোনকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলেন। তবে এরা বেল এর প্রধান প্রতিযোগী নন। (এলিশা গ্রে) বেল এর প্রধান প্রতিযোগী হলেন আমেরিকান উদ্ভাবক এলিশা গ্রে।

ভাগ্য কখনো কখনো খুব নির্দয় হয় যেমন হয়েছে এলিশা গ্রের ক্ষেত্রে। সৌভাগ্য কিংবা দূভাগ্য, করুন অথবা মজার ব্যাপার হল এলিশা গ্রে এবং বেল একই দিন অর্থাৎ (১৮৭৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি) পেটেন্ট অফিসে যান টেলিফোন যন্ত্রের নিবন্ধন করার জন্য। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে গ্রে এর আইনজীবী বেল এর চেয়ে কয়েকঘন্টা পরে যাওয়ায় ১৮৭৬ সালে তাঁকে টেলিফোনের প্রথম মার্কিন পেটেন্টের সম্মানে ভূষিত করা হয় এবং শেষপর্যন্ত বেলই টেলিফোন আবিষ্কারের কৃর্তত্ব লাভ করেন। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন যে টেলিফোন, সেটিকেই তিনি এক উটকো ঝামেলা মনে করতেন। এজন্যেই তিনি নিজের গবেষণা ও অধ্যয়ন কক্ষে কোন টেলিফোন রাখতেন না।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল'এর মা এলিজা গ্রেইস সাইমন্ড্‌স বেল ও স্ত্রী ম্যাবেল হুবার্ড উভয়েই ছিলেন বোবা। এ কারেনেই তিনি বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক গবেষণা করেছেন। তাঁকে বোবাদের পিতা তথা দ্য ফাদার অফ দ্য ডিফ নামেও ডাকা হতো। টেলিফোন উদ্ভাবনের আগে থেকেই তিনি শ্রবণ ও কথন সংশ্লিষ্ট গবেষণা নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তী জীবনে বেল আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেন যার মধ্যে রয়েছে উড়ো নৌকা এবং বিমানচালনবিদ্যা।

১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বেল। গ্রাহাম বেলের আসল গার্লফ্রেন্ডের নাম ছিলো মাবেল গার্ডিনার হুবার্ড - গার্লফ্রেন্ডও ঠিক না, বাগদত্তা। আলেক্সান্ডার তাঁর টেলিফোন প্যাটেন্ট করেন ১৮৭৬ সালে। পরের বছর ১৮৭৭-তে মাবেল-কে বিয়ে করেন তিনি। মাবেল ছিলেন শ্রবণশক্তিরহীতা।

কাজেই টেলিফোনে কোনো শব্দই শোনার কথা না তাঁর পক্ষে। মাবেলের পিতা ধনী আইনজ্ঞ ছিলেন। তিনিই আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল-কে গবেষণা চালিয়ে যাবার খরচ পাতি যুগিয়েছিলেন। যতদূর মনে পড়ে, হবু শ্বশুর চেয়েছিলেন হিয়ারিং এইড জাতীয় ডিভাইস আবিষ্কার করতে - যাতে তাঁর কণ্যা শ্রবণশক্তি ফিরে পান। টেলিফোন আবিষ্কার শ্বশুরের উদ্দেশ্য ছিলো না।

roll গ্রাহাম বেল, মাবেল এবং পরিবার: মার্গারেট হেলো নামে কোনো মহিলার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। Hello শব্দটি মধ্যযুগ থেকেই ইংরেজী ভাষায় প্রচলিত। এখানে শব্দটির বিবর্তন সম্পর্কে ডিটেলস আছে। আপডেট: আরো মজার তথ্য পেলাম গুগল করে - আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল "হেলো" শব্দটি ব্যবহার করেন নি। তিনি নাবিকদের বহুল ব্যবহৃত "আহয়" (Ahoy) সম্ভাষণটি ওরিজিনাল টেলিফোনে ব্যবহার করেছিলেন।

"হেলো" স্টাইলের প্রচলন করেন এডিসন। তিনিও কানে কম শুনতেন। অপর প্রান্তের বক্তা তৎকালীন প্রচলিত "Hullo" বলেছিলো, তিনি ভুল করে শুনেছিলেন Hello। সারাজীবন ভুল উচ্চারণটাই করে গিয়েছিলেন। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৯২২ সালের ২ আগষ্ট আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে বাইন ব্রেঘ, নোভা স্কটিয়া, কানাডায় পার্নিসিয়াস অ্যানিমিয়া রোগে মৃত্যুবরন করেন।

বেল মারা যাওয়ার পর আমেরিকার সকল টেলিফোনে এক মিনিটের জন্য অবিরাম রিং বাজানো হয়। মার্কিন প্রশাসনের ভাষ্য মতে যে মহান ব্যক্তি মানুষে-মানুষে যোগাযোগের এ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তাকে উপযুক্ত সম্মান দেখানোর জন্যই এমনটি করা হয়েছে। আজ এই মহান আবিস্কাকরকে জন্ম দিন। জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালাবাসায়। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।