আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরাবর: প্রধানমন্ত্র।।

কবঠ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার ক্ষেমা দিন। অনেক হয়েছে। বিডিআর হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে হেফাজত পর্যন্ত সাম্ভাব্য প্রতিটি উপায় অবলম্বন করে করে জামাতবিএনপি আজ ক্লান্ত। বেগম জিয়ার পবিত্র মুখাবয়ব এখন আর জাতীর সন্মুখে উন্মোচন করা বড়ই লজ্জার বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশ ও দশের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে বিরোধী দলের যুক্তিসংগত দাবিগুলি মেনে নিয়ে আলোচনায় বসুন।

বিএনপির দুগ্ধপোষ্য শিশু দুদু, শিশুর মতোই বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন। তারা আলোচনায় আসতে চায়। কিন্তু সরকারকেও পরিস্কার করে বলতে হবে আলোচনার বিষয়বস্তু সমুহ কি? কি? আপনি বিরোধী দলে থাকলে এই একই কথা বলতেন। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি ও আ্‌ওয়ামী লীগের মধ্যে গুনগত অনেক পর্থক্য বিদ্যমান। বিএনপি যতটা না রাজনৈতিক তার চাইতে অনেক বেশী নিষ্ঠুর ও ধান্দাবাজ।

রাজনীতি থেকে ফন্দিফিকিরের দিকেই তাদের আগ্রহ বেশী। কারন বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দুটোই সামরিক বাহিনীর পকেট থেকে জন্ম নেয়া, তাদের আচরন একটু রুঢ় তো হবেই। যে নেত্রী একদিন বলেছিলেন তত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা শিশুর ও পাগলের কন্সেপশান। আজ তিনিই মরিয়া হয়ে উঠছেন তত্ববধায়কের জন্য। আপনি যেমন বেগম জিয়াকে বিশ্বাস করেন না ঠিক তেমনি বেগম জিয়াও আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না।

এখানে সংকট বিশ্বাসের। এই সংকট থেকে উত্তরনের একটিই মাত্র পথ র্নিদলিও নিরপেক্ষ একটি সরকার ব্যাবস্থা সেটাই আপনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও চালিয়ে দেশের যতটুকু উন্নতি হয়েছিল সেটুকুও ধ্বংশ করে ফেলবে। যার প্রমান অতিসম্প্রতি ৫মের হেফাজতের নামে জামাতবিএনপির নষ্টামি আমরা প্রত্যক্ষ করলাম। ২০০৮ থেকে আজ পর্যন্ত জামাতবিএনপির জনসর্মথন শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

তারা যে রাজাকারের রক্ষক পাকিস্তানের দালাল এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিস্কার। আওয়ামী লীগে আসার মতো মুখ যাদের নেই তারাই এখন জামাতবিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত। তারা মনে প্রানে আওয়ামী লীগকে ঘৃনা করে তাদের সংখ্যাও খুব বেশী নয়। মুসলিম লীগ, জামাতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, ভাসানীন্যাপ ও কিছু চীনপন্থির সাথে সংস্লিষ্ট পরিবারগুলিই এই দুষ্টচক্রের সাথে সম্পৃক্ত। এরা জাতীর জনককে কখনো বঙ্গবন্ধু বলবে না খুব সর্তকতার সাথে মরহুম শেখ মুজিবর রহমান পর্যন্ত বলবে।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে বর্তমানে তারা বেশ চাপের মধ্যে আছে। এখন বিরোধী দল যা যা করছে আপনি বিরোধীদলে থাকলে ঠিক তাই তাই করতেন। বেগম জিয়া যেমন বার বার আলোচনার আহবান জানাতো আপনিও ঠিক তাই করছেন। দুটির মধ্যে গুনগত কোন পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আপনি এমন কিছু করুন যাতে গুনগত পার্থক্যটা সুষ্পষ্ট হয়ে উঠে।

আপনি বেগম জিয়ার বাসায় চাএর দাওয়াত রক্ষা করতে গেলেই তো আলোচনার পথটি উন্মুক্ত হয়ে যায়। আপনিই বা এটা করছেন না কেন? এটা করতে পারলে আখেরে আপনার ভালই হবে। আপনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে আমি সম্মান করি। আপনার কৌশলের কাছে জামাতবিএনপি যেভাবে প্যাকপানিতে পড়ে নাস্তানাবুদ হল তা তারা জীবনে ভুলবে না। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।