আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি দুর্ঘটনা এবং মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের আপডেট

যে জানেনা এবং জানে যে সে জানেনা সে সরল, তাকে শেখাও। যে জানেনা এবং জানেনা যে সে জানে না, সে বোকা-তাকে পরিত্যাগ কর।
আমি দুঃখিত যে প্রথমেই আমাকে একটি দুর্ঘটনার সংবাদ দিয়ে লেখাটি শুরু করতে হচ্ছে- মোঃ দেলোয়ার হোসেন মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন গতকাল লক্ষ্মীপুর শহর থেকে ক্লাশ শেষে মজু চৌধুরী হাট ফেরার পথে সিএনজি'র সাথে বালুবাহী পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকায় শমরিতা নার্সিং হোমে চিকিৎসাধীন আছেন। উক্ত দুর্ঘটনায় একজন মারা গিয়েছে এবং ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ৩ তলায় ১৩ নং ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেনের চিকিৎসা চলছে।

চোখে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে উক্ত শিক্ষক বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর মুখোমুখি। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। চিকিৎসকরা আগামী শনিবার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছেন। আমি সার্বক্ষণিক ফোনে যোগাযোগ রাখছি তাঁর অভিভাবকদের সাথে। ----------------------------------------------------------------------------- ধীবর বিদ্যানিকেতন সংবাদ গত ২৯ জানুয়ারী ২০১১ তারিখ শনিবার মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনে আমাদের শিক্ষার্থীদের দেখার জন্য লক্ষ্মীপুর গিয়েছিলাম।

সাথে ইএফএলবিডির প্রজেক্ট ডেভেলপার জনাব আবু সাঈদ মিয়া। স্কুলের সর্বশেষ সংস্কার কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। লক্ষ্মীপুর যাওয়ার জন্য চিরাচরিত পথ ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর বাসে যাতায়াতের পরিবর্তে এবার ভিন্ন রুট বেছে নিয়েছিলাম। সকাল আটটায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হতে লঞ্চ ছাড়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে। সাড়ে এগারটায় চাঁদপুর পৌঁছি।

লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিল এ রুটে গেলে ভ্রমণের ক্লান্তি থাকবে না। আর চাঁদপুর থেকে সিএনজি করে সরাসরি মজু চৌধুরী হাট। সিএনজি ভাড়া নাকি মাত্র ২০০/২৫০ টাকা। চাঁদপুর পৌঁছা পর্যন্ত আসলেই কোন ক্লান্তি লাগেনি। লঞ্চ ঘাট নেমে রিকশা করে চাঁদপুর শহরে পৌঁছে মোটামুটি মানের এক হোটেলে দুপুরের লাঞ্চ সেরে নিলাম।

তারপর সিএনজির খোঁজ। দুই আড়াইশ টাকায় কোন সিএনজি পাওয়া যায় না। শেষ পর্যন্ত ৪০০ টাকায় এক সিএনজি রিজার্ভ করলাম সরাসরি মজু চৌধুরী হাট। স্কুল শুরু হয় দুপুর ২ টায়। আমরা সোয়া দুটোয় মজু চৌধুরী হাট পৌঁছি।

তারপর সরাসরি স্কুলে চলে যাই। ততক্ষণে ক্লাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতি ক্লাশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করি। সবাই নতুন বই পেয়ে খুব খুশী। বিস্তারিত দেখুন ছবিতে- নার্সারির বই হাতে মেঘনাপাড় স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ক্লাশ ওয়ান- বই হাতে শিক্ষার্থীরা উৎফুল্ল। ক্লাশ টু- শিক্ষার্থীদের বই হাতে হাসিমাখা মুখগুলো। ক্লাশ নিচ্ছেন ধর্ম শিক্ষক। ক্লাশ নিচ্ছেন নতুন ম্যাডাম জান্নাতুল ফেরদাউস। ম্যাডাম মর্জিনা আক্তার সাথী ক্লাশ নিচ্ছেন।

মেঘনাপাড় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সব শিক্ষকবৃন্দ। মেঘনাপাড় স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমাকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরে তাদের নানান আবদার জানাচ্ছে। তাদের স্কুল ড্রেস প্রয়োজন, স্কুল ঘরটাকে আরও উন্নত করা প্রয়োজন, বসার বেঞ্চ প্রয়োজন...আমি বলেছি একদিন তোমাদের সব হবে। তোমরা শুধু খুব ভালভাবে পড়াশুনা চালিয়ে যাও। আমার সীমিত সামর্থ্য দিয়ে আমি শুরু করে দিয়েছি।

কেউ না কেউ একদিন তোমাদের পাশে এসে দাঁড়াবেই...এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি কি তাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছি??
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.