আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানার আছে অনেক কিছুঃশুটকি মাছের ঘিলু গোল্ড ফিশের থেকেও কম!!!!!

আমার কথা সিরিয়াসলি নিয়া বাঁশ খাইলে নিজ দায়িত্বে বাঁশ খাইয়েন অনেক ছোটবেলা একবার আব্বু সাথে আব্বুর এক বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেই বাসায় গিয়ে তো আমি তাজ্জব। অবাক হয়ে দেখলাম,তাদের একটা পানি ভরা কাচের বাক্স আছে। তাতে রং-বেরঙ্গের মাছ সাতার কাটছে। আব্বুর কাছ থেকে জানলাম,ওটার নাম নাকি এক্যুইরিয়াম।

আমার মনে হল,যাদের অনেক টাকা থাকে তাদের বাসায় বুঝি এক্যুইরিয়াম থাকে। আমাদের এক্যুইরিয়াম নাই,কারণ আমাদের টাকা নাই। আব্বুকে তাই সবার সামনেই আব্বুর ইজ্জতের তেরোটা বাজিয়ে বললাম, “আব্বু,তুমি যখন অনেক টাকা কামাই করবা তখন প্লিজ আমাকে একটা মাছের বাক্স কিনে দিবা। ” সেই থেকে অনেকদিন পর্যন্ত আমার একটা এক্যুইরিয়ামের শখ ছিল। এক জন্মদিনে আব্বু ভাইয়াকে আদেশ দিল একটা এক্যুইরিয়াম কিনে আনতে।

কিন্তু ততদিনে আমার ঐ শখ চলে গিয়েছে। তবে গোল্ড ফিশটা আমার সবসময়ই ভাল লাগে। কোনো জায়গায় গোল্ড ফিশ দেখলে এখনও হা করে তাকিয়ে দেখতে থাকি। গোল্ড ফিশ দেখতে দেখতেই মনে হয় আমার মেমরীটা গোল্ড ফিশের মত হয়ে গিয়েছে। কিছুই মনে রাখতে পারছি না।

সেদিন এক দোস্ত খুব কষ্ট নিয়ে বলল,সে যে মেয়েকে পছন্দ করে সে নাকি তাকে রিজেক্ট করেছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “তুমি আবার কারে পছন্দ করতা ?” সে আমার চেয়েও অবাক হয়ে বলল, “ওমা,তোমার মনে নাই?” আমি বললাম, “নাহ। আমারে মনে হয় তুমি বলই নাই”। দোস্ত বলল, “চুপ কর। আমি এই কথা দুনিয়াতে একমাত্র তোমারেই বলছিলাম।

আর তুমি কিনা বেমালুম ভুইলা গেছো”। আমি অনেকক্ষন চেষ্টা করলাম মনে করার। কিন্তু কিছুই মনে করতে পারলাম না। আমার দোস্ত আমার উপর গোস্বা করে চলে গেল। ঐ ঘটনা আমি আর কোনো ভাবেই মনে করতে পারলাম না।

আমার সমস্যার এখানেই শেষ নয়। সেদিন নীলক্ষেত গিয়েছিলাম বই কিনতে। এত গরম লাগছিল। শেষ মাথার একটা দোকানে গিয়ে দেখি দোকানদার একটা প্লাস্টিকের পাখা দিয়ে বাতাস খাচ্ছে। আমি দোকানীর হাত থেকে পাখাটা নিয়ে বাতাস খেতে শুরু করলাম।

এরপর ঐ দোকান থেকে বের হয়ে আরো অনেক দোকানে ঘুরলাম। কিন্তু আমি যে সেই পাখা হাতে নিয়েই চলে এসেছি তা আমার আর খেয়াল নেই। আমি পুরোটা সময় পাখা নিয়ে নীলক্ষেত চষে বেড়ালাম। যখন বাসায় ফেরার জন্য গাড়িতে উঠব তখন খেয়াল করলাম যে আমার হাতে ঐ হাত পাখাটা আমার হাতে। আমি পরে গেলাম বিপদে।

নীল ক্ষেতের কোন চিপার দোকান থেকে ওই পাখা নিয়েছিলাম তাও তো খেয়াল নাই। যাই হোক,আবার নীলক্ষেতের ভিতর ঢুকলাম। অনেক খোজাখুজির পর সেই দোকানে গেলাম। দোকানী আমাকে দেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল, “কি আপা,বইটা দিমু?” আমি তাকে ঝাড়ি মেরে বললাম, “রাখেন আপনার বই। আমি যে আপনার পাখা নিয়া চইলা গেছি তা দেখেন নাই?আমি যদি আপনার পাখা নিয়াই বাসাই চইলা যাইতাম?” দোকানী হেসে বলল, “আপা,এই ভাঙ্গা পাখা নিয়া গেলেও কিছু হইত না”।

আমি আর কোনো কথা না বলে গটগট করে সেই যায়গা ছেড়ে চলে আসলাম। তার কিছুদিন পরেই প্রায় একই রকম আর একটা কাণ্ড করলাম। আমি বাইরে বের হলেই একটা-দুইটা চকলেট খাই। খুব দামি চকলেট না। এক টাকা দামের চকলেট।

সেদিন একটা রাস্তার পাশের দোকান থেকে কয়েকটা চক্লেট কিনতে গেলাম। দোকানী মামা আমাকে বললামি যেনো নিজেই বাটা খুলে চকলেট নিয়ে নেই। আমি চক্লেটের বাটা খুলে চকলেট তো নিলামই,সেই সাথে চকলেটের বাটার মুখটাও হাতে নিয়ে চলে গেলাম। বাসায় আসার পর খেয়াল করলাম যে বাটার মুখ আমার হাতে। সাথে সাথে আবার সেই দোকানে গিয়ে মুখটা ফেরত দিয়ে আসলাম।

ভাগ্য ভাল যে দোকানটা তেমন দূরে ছিল না। দোকানদার মামা আমাকে দেখে হাসতে শুরু করল। এমন আরো অনেক ঘটনা আছে। আমি একদিন বাথরুমের জুতা পরে বেড়াতে যেতে গিয়েছিলাম। যদিও মামার বাসায় গিয়েছি বলে সেটা নিয়ে তেমন কথা হয়নি।

ছোটোখাটো এমন কাণ্ড সবসময়ই করছি। বাসার সবাই আমার এহেনো আচারণে বিরক্ত। আমি কি করব বলেন। আমিও তো মানুষ। মানুষ মাত্রই তো ভুল।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।