আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বরাষ্ট্র পোর্ট্রেট

দ্য ওয়ে আই ফিল ইট...

সন্ধ্যায় শরীর কাতর ক’রে বসেছি আমরা। শব্দ-শব্দ খেলার ফাঁকে দু’একজন আসে যায়। হাতব্যাগ থেকে কলকাতা বেরিয়ে এসে বিজয়নগরে ছড়িয়ে পড়ে। হাসিকান্না গোলযোগ শুনি। দুপুর চা’য়ের গল্প ভুলে হাত থেকে হঠাৎ কী-বোর্ড পড়ে যায় গভীর অ্যামাজনে।

অনেকগুলো শব্দ-বাক্য মাটিতে গড়িয়ে ধুলো-ঝড় খেলে। ধর্মতলার তীর্থ ছুঁয়ে এসেছিল যে আঙুল, সেখানে ফেটে যায়, রক্ত ঝরে। চা’য়ের তৃষ্ণা পকেটে নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি। স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নে দেখি।

ধর্মতলার জন্য জার্মান ফার্মাসিউক্যালসের ব্যবসা বাড়াই। ভাঙতি কথা সেরে যেখানে স্মৃতিচারণে বসি, সেখানে ‘ক্লোজড’ সাইনে অন্ধকার ঘর, কমদামি খদ্দের। পোড়া তেলের সাথে ফোটোশপ, গিবসন জাম্বো গিটারের আওয়াজ, চা’য়ের ঘ্রাণ ঠাণ্ডা হয়। মনে পড়ে ইনজেস্টে জমা পড়েছে বাই-ইলেকশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। পোস্ট-রেজাল্ট স্টোরিতে দূরের ঠাণ্ডা ওয়েদারের গল্পটল্প মনে পড়লে আটটার দিকে ভীষণ কাবু হই আমরা নিজে নিজে।

ভাবি, ছেঁড়া চেয়ারে বসে পরকিয়া ঝালফ্রাই, বিজনেস খুঁটিনাটি লোকদের ছুটি দেয়া যাবে। চলে যায় ওরা রিংটোন বাজলেই। রক্ত জমা পড়ে জার্মান রিবনে। হাতব্যাগ, সিল্ক পাঞ্জাবি আর আগামীর সকালকে নিভে যেতে দেখি একসময়। যে বাকি থাকে, তাকে আমরা কবিতায় ও গদ্যে অনেক উপনাম বরাদ্দ করেছিলাম আতসবাজির রাতে।

তোতলামি কয়েকফোঁটা উপনামকে ঘিরে ধরে। ভুল গল্প শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমা থেকে। এরপর জোড়াখুনের স্পট ঘুরে ক্ষোভ-কষ্ট পুড়তে থাকে সাভারের আগুনে। সিগারেটের তৃষ্ণা চাপা থাকে থাক। একটা জিনিস শুধু ভাবো- লোকটার কনুই থেকে ভেনিসের বদগন্ধ শুকায়নি তখনও।

অথচ রক্তের মাফলার জড়িয়ে ঘুমিয়ে গেলো। স্ত্রী হয়তো ঠিকানা জানতো না বেইলি রোডের, অ্যারোবিক চর্চার। কিন্তু কি-ই বা আসে যায়? ভেনিসের পোড়োবাড়িতে মোবাইল রিংটোনটা ছিল শিশুর কান্নাহাসি মিক্সড। সেটাতেই খবর রটে গেলো। দু’তিনজন থাকলেই সিদ্ধান্ত সহজ আজকাল।

কবিরের ডে-অফ ক্যানসেল। ও কাল মন্ত্রণালয় কাভার করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.