আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রম্যগল্পঃ ঈশ্বর-জাতীয় রসিকতা

ব্যাঘ্র যুগে শুধু মৃত হরিণীর মাংস পাওয়া যায়

বহুদিন পরে বড় ভগিনী-বাটীতে গিয়াছিলাম। অঙ্কন-কক্ষে ঢুকিয়া দেখি দুই ভগিনী-উদ্ভব ভাগিনেয় ঘ্যানঘ্যান করিতেছে। কাছে গিয়া আবিষ্কার করিলাম, হা হতোস্মি! উহারা অধ্যয়ন করিতেছে! আমি প্রশ্ন করিলাম, 'শাখা মৃগগণ, কি পড়িতেছ?' জ্যৈষ্ঠ শাখামৃগ কান খুঁচাইতে খুঁচাইতে বলিল, 'মাতুল, গণিত পড়িতেছি। ঘাত বড়ই দুষ্কর লাগে। এই বস্তু কোন মধ্যপদলোপী সমাস আবিষ্কার করিয়াছে? পাইলে উহাকে অপঘাতে মারিতাম।

' আমি থমকাইয়া গেলাম। বালক 'মধ্যপদলোপী সমাস' বিশেষণটি কি গালি দিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিল? অল্প বয়সেই পাকিয়া গেছে দেখা যায়। দ্রুত কণ্ঠতার পরিষ্কার করিয়া বলিলাম, খামোষ! বিয়াদ্দপ, অধ্যয়নে মনোযোগ দাওহ!' কনিষ্ঠ শাখামৃগ থামিয়া থামিয়া টানিয়া টানিয়া নাকিসুরে ইতিহাস পড়িতেছে, 'অ্যাঁ..অ্যাঁ...সম্রাট সাজাহান..রাগান্বিত হইয়া...অ্যাঁ...সৈন্যকে পোঁদাঘাত করিলেন...মাতুল, পোঁদাঘাত কি বস্তু?' আমি বলিলাম, স্বচক্ষে দেখিবে?' বালক বলিল, 'হাঁ'। আমি তাহার পোঁদ দেখাইয়া বলিলাম, 'ইহা পোঁদ, নহে?' বালক সম্মতি জানাইল। আমি তড়িৎবেগে আপন পদ উহার পোঁদে চালনা করিলাম।

অকস্মাৎ পোঁদাঘাতে মর্কট খাটিয়া হইতে উলটাইয়া পড়িল। 'আর ইহাই হইল পোঁদাঘাত,' আমি খোশমেজাজে আপন বিলুপ্তপ্রায় মোচে তা দিতে দিতে বালককে জানাইলাম। কিন্তু অকৃতজ্ঞ বালক কিঞ্চিৎমাত্র ধন্যবাদ জানাইল না, বরঞ্চ হস্তপদ ছুঁড়িয়া ছুঁড়িয়া সশব্দে অশ্রু নিঃসরণ করিতে লাগিল। ধারণা করি পাঠ্যের এইরূপ ব্যবহারিক রূপধারণ তাহার পসন্দ হয় নাই। যদিও আমার উক্ত কর্মে জ্যৈষ্ঠ শাখামৃগ অত্যন্ত উৎসাহিত হইল, সে একহাতে পেট ধরিয়া আরেক হাতে ভূপাতিত বালককে নির্দেশ করিয়া খিক খিক করিয়া হাসিতে লাগিল।

এইরূপ বিশ্রী গোলযোগে আহুত হইয়া ভগিনী তামিল চলচ্চিত্রের খলনায়কের মত হাতে বটি লইয়া কক্ষে ঢুকিল। তারপর চক্ষু ভীষণ করিয়া বলিল, 'এত ক্যাওম্যাও ক্যান? কি হইছে?' তাহার নাটকীয় প্রবেশে আশ্চর্যভাবে পট পরিবর্তন ঘটিল। জ্যৈষ্ঠ বালক হাস্য রোধ করিয়া পুনঃ পাঠে মনোনিবেশ করিল। কনিষ্ঠ বালক আপন পোঁদ ধরিয়া কাৎরাইতে কাৎরাইতে অভিযোগ করিল, 'মাতুল...পোঁদাঘাত..উহ!' ভগিনী আমার দিকে সাক্ষাৎ দেবী চামুণ্ডার ন্যায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেই আমি উদাসমনে উপরের কড়ি-বরগার দিকে তাকাইলাম। এই ইহ-মানবজীবন এবং ইহার বস্তুগত অসারতা সম্পর্কে অতি উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা আমার মস্তিষ্কে আসা যাওয়া করিতে লাগিল।

বাস্তবিকই, এই জীবনে ধনের মূল্য কি? এক মনিষী বলিয়াছেন, 'ধন মৃত্তিকা, মৃত্তিকা ধন'। ইহা অত্যন্ত গূঢ় তত্ত্ব বটে! আমার কাছ থেকে সাড়া না পাইয়া ভগিনী উহাকে হুমকি দিল, 'ভাব ধরিয়া শুইয়া ফাঁকি দেওয়া হইতেছে? এই মুহূর্তে উঠিয়া বস, নইলে সত্ত্বর পুঙ্গি বাজাইয়া তোমার পঙ্গুত্ব দূর করা হইবে। ' কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই বালক তড়াক করিয়া লাফাইয়া উঠিয়া বই নিয়া বসিল। আমি মনে মনে উহার কাণ্ডজ্ঞানের প্রশংসা করিলাম। সত্যই, পুঙ্গি অপেক্ষা পুস্তক শ্রেয়।

তারপর ভগিনী আমার দিকে তাকাইলো। চোখ ছোট ছোট করিয়া স্লেচ্ছভাষা প্রয়োগ করিয়া সে বলিল, 'তুই এইখানে কি করস?' আমি মার্জারসম বিনয় লইয়া বলিলাম, 'হে প্রিয়তম ভগিনী, তোমাকে আমি সর্বাপেক্ষা ভালবাসি। তোমার মুখমণ্ডল স্মরণে আমার আত্মা পরিশুদ্ধ হয়, হৃদয় পরিপূর্ণ হয়, ধর্মে-কর্মে উৎসাহ খুঁজিয়া পাই। তুমি শুধু আমার ভগিনী নহ, তুমি...' বাধা দিয়া হস্তস্থিত বটি আন্দোলিত করিয়া অসহিষ্ণু কণ্ঠে ভগিনী বলিল, 'ভাব বাদ দে। কি চাস তাড়াতাড়ি সেইটা বল।

' প্রশ্নের জবাব দিবার পূর্বেই অবাক হইয়া দেখিলাম, তীব্র উৎসাহে আমার দুই হস্ত পরস্পরকে মর্দন করিতে শুরু করিয়াছে। সেই অবস্থায় চীনা কার্টুনের মত চোখ টলোটলো করিয়া বলিলাম, 'ইয়ে মানে, গুটিকয় টঙ্কা দিতে আজ্ঞা হয়, প্রাণেশ্বরীকে লইয়া পার্কে ফুচকা খাইব। ' -'ট্যাকা নাই, ভাগ'! একেতে পুনঃ স্লেচ্ছভাষার অপব্যবহার, তাতে আবার এমন প্রত্যাখ্যান! আমার মর্মে মর্মে আঘাত লাগিল। আপন মাতৃগর্ভের ভগিনী যে এরূপ বিশ্বাসঘাতকতা করিবে তাহা কে জানিত! হা ঈশ্বর, কলিকাল, কলিকাল! ক্ষণিক চিন্তা ভাবনা করিয়া নিজেকে সামলাইয়া লইলাম। পরাজয়ে ডরে না বীর! এইবার পুনঃ নিরীহ ভঙ্গি লইয়া বলিলাম, 'তথাস্তু! তবে তাহাই হইবে।

কিন্তু যাবার পূর্বে আমি তোমার একটি মনোবাঞ্ছা পূরণ করিয়া দিয়া যাইব। বাজার-সদাই আছে কোন?' ভগিনী সন্দেহপূর্ণ সরু চোখে নিরিখ করিতে লাগিল, 'তুই বাজার কইরা দিবি?' -'হাঁ। ' 'ঠিক তো?' -'আমার প্রাণেশ্বরীর কসম। ' ভগিনীকে উৎফুল্ল দেখাইল। কবাট হইতে টঙ্কা বের করিয়া হাতে দিয়া বলিল, 'এই যে সাড়ে চারশ দিলাম।

দুই কেজি মাংস আনবি, বাকিটুক তোর। খুশি?' কোনমতে সম্মতি জানাইয়া নিরীহভাবে বাহির হইয়া আসিলাম। বাটির বাইরে আসিয়াই দুই ঠোঁট কর্ণমূল পর্যন্ত বিস্তার হইল, মনে মনে আপনার পিঠ চাপড়াইয়া দিলাম। আমিষ তফাৎ যাও, উক্ত সাড়ে চারশ এখন আমার ফুচকা মানি-তে পরিণত হইল! খুশিতে মোগাম্বোর মত অট্টহাসি পাইতে লাগিল। কোনমতে আনন্দ সংবরণ করিয়া রিকশা ডাকিলাম, 'ওহে ত্রিচক্রযানচালক, পার্কে যাইবে?' - 'না।

' 'পারিশ্রমিক বাড়াইয়া দিব, যাইবে?' -'না। ' 'আরে ভ্রাতা, যত চাহ তত টঙ্কা দিব, যাইবে?' -'না। ' ভেজালে পড়িয়া গেলাম। আশেপাশে কোন রিকশা দেখিতেছি না। কি করা যায়? সাতপাঁচ ভাবিতে ভাবিতে রাস্তার মোড়ে আসিয়া দাঁড়াইলাম।

হাঁ, পাইয়াছি, বাসে করিয়া যাইব। দূর দিগন্তে একটি বাসের চিহ্ন দেখিলাম, আসিতেছে। প্রস্তুত হইলাম। কিন্তু একি! বাস কাছাকাছি আসিতেই কোথা হইতে বঙ্গদেশের সমস্ত চাকুরে, ছাত্র-ছাত্রি এবং লম্বা পাঞ্জাবি পরিহিত শসা বিক্রয়কারী আসিয়া ভিড় করিতে লাগিল! কে বলিবে, একটু পূর্বেই এই স্থান জনশূন্য ছিল! তাও বেশ ভাল ছিল, কিন্তু বাস আসিতেই জনগণের গণতান্ত্রিক জিঘাংসার শিকার হইলাম। বাসের হ্যান্ডেল ধরিয়া কেবল চড়িব, এমন সময় এক ভদ্রলোক ভুঁড়ি দিয়া ঠোনা মারিয়া উঠিয়া পড়িলেন।

আমি ভুঁড়ি-হামলায় দুই হাত উড়িয়া গিয়া জনগণের মাঝে পড়িলাম। আর যায় কোথা! স্কুলবালিকার পানির বোতল, ভদ্রমহিলাদের কনুইয়ের গুঁতা এবং বাকিদের কেশযুক্ত বগলের ঘ্রাণ - ইত্যাদির সম্মিলিত আঘাতে আমি বিপর্যস্ত হইয়া গেলাম। প্রথম আঘাতে পরনের কুর্তার সিলাই খুলিয়া গেল, বোতামসমূহ পটাপট ছিঁড়িয়া গেল। এক মহিলার পদাঘাতে চটিজোড়া কোথায় পড়িয়া গেল। ধাক্কা খাইয়া চোয়াল ফুলাইয়া ফেলিলাম, আক্কেল দাঁতে বেদনা হইতে লাগিল।

অবশেষে যুদ্ধজয়ীদের লইয়া সোনার তরি চলিয়া গেল। আমি রাস্তার উপরে বিধ্বস্ত হইয়া বসিয়া রহিলাম। হঠাৎ পায়ের কাছে দেখি একখানা চেক চেক লুঙ্গি পড়িয়া আছে। আশ্চর্য, যুদ্ধক্ষেত্রে লুঙ্গি আসিল কিরূপে? কিছুক্ষণ মাথা খাটাইতেই বুঝিতে পারিলাম, ইহা সেই শসা বিক্রেতার লুঙ্গি! বাসে উঠিতে যাইয়া বেচারার লুঙ্গি খুলিয়া গিয়াছে, দীর্ঘ পাঞ্জাবি পড়ার দরুণ বুঝিতে পারে নাই; পরে ভিড়ের কারণে বাস থেকে নামিতেও পারে নাই! উহার বর্তমান দুরবস্থা কল্পনা করিয়া মন সামান্য ভাল হইয়া গেল, পশ্চাৎদেশ বেশ করিয়া মুছিয়া উঠিয়া দাঁড়াইলাম- আজিকে হাঁটিয়াই পার্কে যাইব। প্রায় দশ মিনিট ধরিয়া হাঁটিতেছি, হঠাৎ বলা নাই কওয়া নাই চারিদিকে আঁধার ঘনাইয়া আসিল, মুষলধারে বর্ষণ শুরু হইয়া গেল।

সাথে ছাতাও আনিতে ভুলিয়া গেছি। তখনি প্রাণেশ্বরী পকেটে বাজিয়া উঠিলেন, আঁতকাইয়া উঠিলাম। তাঁহাকে ভাইব্রেশন মোডে রাখিয়াছিলাম। তিনি বলিলেন, বৃষ্টির জলে তাঁহার কলা-বরবটি-পিঁয়াজ চর্চিত মুখমণ্ডলের বিবিধ ক্ষতি হইতে পারে, তাই তিনি বাড়িতে চলিয়া যাইতেছেন। আজিকে আর দেখা হইতেছে না।

আমি হু হু করিয়া উত্তর দিয়া রাখিয়া দিলাম। মন বিষণ্ণ হইয়া গেল। আজিকের দিনটি দেখা যাইতেছে আমার জন্য শুভ নহে। পদে পদে অশান্তি হইতেছে। ঠিক করিলাম- বৃষ্টিতে কাপড়চোপড় যেহেতু ভিজিয়াই গিয়াছে, এখনি বাড়ি যাইয়া কি আর হইবে।

পার্কে যাইয়া বৃক্ষতলে বসিয়া থাকি, ফেরার সময় আমিষ কিনিয়া ফিরিলেই চলিবে। এই ভাবিয়া যখন এক পা বাড়াইয়াছি, তখনি কেহ আমার প্যান্টের বেল্টে ধরিয়া পার্শ্বস্থ চিপাগলিতে টানিয়া নিল। ধাতস্থ হইতেই দেখি, গলিটি শুধু চিপাগলিই নয়- কানাগলিও বটে, এবং ব্যক্তিটি একটি ছোটখাটো দানববিশেষ। আমি ভীরু চোখে তাকাইতেই ভীষণ হুঙ্কার দিয়া বলিল, 'যা আছে তাড়াতাড়ি বের কর। ' শেষে ছিনতাইকারীর কবলে! আমি মনে মনে ভগবানের ঠিকুজি উদ্ধার করিলাম (দেখিলাম, বুড়ো বিধাতাটি বৃশ্চিক রাশি), এরচেয়ে ভাগ্য আর কত খারাপ হইতে পারে? কত, ঈশ্বর, আর কত আমাকে শাশ্বত সম্মান দিবে? টাকার থলে বের করিয়া লোকটিকে বলিলাম, 'মহাত্মন, এই আমার সর্বস্ব।

ইহা লউন, পরিবর্তে আমাকে ছাড়িয়া দিন। ' সে তাহাতেও সন্তুষ্ট হইল না, তবে কিঞ্চিৎ নরম সুরে বলিল, 'দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াও, চেক করি। ' আমি দাঁড়াইলাম, সে পুলিশের মত বডিচেক করিল, প্রচুর সময় লইয়া। তাঁহার হাতানোর ভঙ্গিতে আমার ভীষণ সন্দেহ হইতে লাগিল, তবুও চুপ করিয়া রহিলাম। তাঁহার তপ্ত নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ের ওপর পড়িতেই আমি ভয়ে সঙ্কুচিত হইয়া উঠিলাম।

'সোজা হও', এইবার তাঁহার কণ্ঠ আরও মধুর! আমি সাবধানে ঘুরিয়া সোজা হইলাম, এত মিষ্টি করিয়া বলিতেছে, ঘ্যাঁচ করিয়া পেটে ছুরিটুরি ঢুকাইবে নাকি! শহরে সাইকো মানবের তো অভাব নাই। কিন্তু আমার আশংকা ভুল প্রমাণিত করিয়া সে নরমভাবে একহাত ধরিল, বলিল, 'আমার নাম টুলু। ' আমি অবাক হইয়া কিছু বলিতে পারিলাম না, এ নিজের পরিচয় দিতেছে কেন? 'টুলু' হাত ধরিয়া কিছুক্ষণ প্রেমময় দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল, তারপর অবিকল পশ্চিমা র‍্যাপারদিগের ন্যায় গাহিয়া, শরীরের নিম্নার্ধ নাচাইয়া তাহার মনোবাঞ্ছা প্রকাশ করিল, তুমি আর আমি ডোন্ট প্লে আ ডামি তুমি আর টুলু কামন, লেটস গুলুগুলু। আমি কোনোমতে হাত ছাড়াইয়া ইজ্জত লইয়া দৌড় দিলাম। হা পিতঃ হা মাতঃ হা ভ্রাতঃ! ইহা কি শুনিলাম! এইমাত্র আমাকে কি একজন পুরুষ প্রস্তাব দিল? ঈশ্বর, ইহা কি?? ছিছিছিছিছি! পিছনে থপথপ শব্দ শুনিয়া শিহরিয়া ঘাড় ঘুরাইলাম।

আর কেহ নহে, টুলু! সে দুই হাত বাড়াইয়া প্রচণ্ড বেগে ধাইয়া আসিতেছে, তাঁহার চোখে 'আজি রজনীতে হয়েছে সময় এসেছি বাসবদত্তা' টাইপ দৃষ্টি। ভাবিলাম- একবার থামিয়া ইহাকে কি বুঝাইয়া বলিব, আমি গুলুগুলু করিব না; এমন গুলুগুলু অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়? কিন্তু এই কামুক ছিনতাইকারী যদি কথা না শুনে? হয়তো জোর করিয়াই গুলুগুলু করিয়া ফেলিবে! তখন? আমি পুনঃ শিহরিয়া উঠিয়া দৌড়াইতে লাগিলাম। আজিকে বের হইয়াছিলাম কি করিতে, আর এখন গুলুগুলু হইতে বাঁচিতে দৌড়াইতে হইতেছে। থপথপ শব্দ নিকটাবর্তী হইতেছে, আমি দৌড়ের গতি বাড়াইলাম। পূর্বের কথা সংশোধন করিতেছি, ইহার চাইতে ভাগ্য খারাপ হওয়া সম্ভবই না, আমি শতভাগ নিশ্চিত।

ঈশ্বর, রক্ষে কর! তখনি পিচ্ছিল রাস্তায় পড়িয়া থাকা গো-বর্জ্যে পা পিছলাইয়া গেল, ধড়াম করিয়া আছাড় খাইয়া পড়িলাম। শিট।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।