আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুঁজি বাজার এবং এম.এল.এম



সর্বক্ষেত্রে গাফলতি বর্তমান সরকারের অথচ প্রতিশ্রুতি ছিল দিন বদলের। জনসাধারণের মতে দিন বদলের স্বপ্ন বাস্তবেরূপ নিচ্ছে কি এভাবেই? বিশেষ করে পুঁজিবাজার এবং কিছু এম.এল.এম কোম্পানির দুঃসাহস। পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা এবং মাল্টি লেবেল মার্কেটিং কোম্পানি দুঃসাহসের প্রশংসাও করতে হয়। মানুষকে বোকা বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে!!! সরকার প্রধান নীরব ভূমিকা পালন করছে!! মনে হচ্ছে দেশে কোন জবাব দিহির ব্যবস্থা নেই যে, ব্যবসা কি বৈধ না অবৈধ? যার যে রকম ইচ্ছা সে সেরকম নীতি নির্ধারণ করছে। কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই এমন আচরণ যে, সরকারও এর সাথে সম্পৃক্ত মনে হচ্ছে!!! বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একই রকম ছিল পুঁজি বাজার।

১৯৯৬ সালের দিকে পুঁজি বাজারের চিত্র আর বর্তামন পুঁজিবাজারের চিত্র একই। এটা সরকারের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। জনসাধারণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কেবল ধাপে ধাপে প্রকাশিত হচ্ছে। যেমন সি.সি.সি ও পৌরসভা নির্বাচন সরকারের জন্য অশনি সংকেত। এখনি সরকার সর্তক হওয়ার প্রয়োজন মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীলতায় নিয়ে আসতে সরকারের সদইচ্ছায় যথেষ্ট মনে করেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর এম.এল.এম কে অথবা এ জাতীয় কোম্পানিগুলোকে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে একতৃতীয়াংশ জামানত রেখে কঠিন শর্ত দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া উচিত এবং অধিক লিখিত আকারে জমা দেওয়ারও প্রয়োজনবোধ করছি আমরা। দেখা যাচ্ছে এমন কিছু শেয়ারও বাজারে আছে অথচ এসব কোম্পানি বিলুপ্ত হয়ে গেছে অনেক আগে তার পরও তারা বাজারে!!! (ডি.এস.ই এবং সি.এস.ই) ওনারা তীব্র শীতের কারণে নাকঢেকে ঘুমাচ্ছে নাকি? ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী যদি ছিটকে পড়ে তা হলে দেশের বেকারত্বের অবস্থা কোন পর্যায় যাবে তা দেশের আমলামন্ত্রীরা ভেবে দেখেছেন কি? বিগত সরকারের আমলে একটাই বক্তব্য ছিল সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলছিল। এখনতো আর তারা ক্ষমতায় নেই তারপরও কেন এ বেপরোয়া ঊর্ধ্বগতি? যাই হোক রাজনীতি, বিশেজ্ঞরা, দেশের নীতিনির্ধারকেরা এবং সরকার প্রধান ও বিরোধী দলের সহযোগিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অগ্রগতি কোনকালেই সম্ভব নয়। প্রতিটি সেক্টরকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে সরকারের সদইচ্ছাই যথেষ্ট মনে করছি আমরা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.