আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তানে ব্লাসফেমির পক্ষে মোশাররফ!

আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ের একটি আলোচিত বিষয় ব্লাসফেমি। আর এই ব্লাসফেমির পক্ষে এবার কথা বলেছেন দেশটির সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। শনিবার পাঞ্জাবের গভর্নর হত্যাকান্ড বিষয়ে মোশাররফ বলেন, তাসিরের হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে একটি বড় ভুল। তার হত্যাকারীর শাস্তি হওয়া উচিত। তবে ব্লাসফেমি আইনের প্রতি মুসলিমরা অত্যধিক আবেগপ্রবণ, তাই বিতর্কিত হলেও এ আইন অবশ্যই থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সূত্র : দ্য হিন্দু, ওয়ান ইন্ডিয়া, সিফি নিউজ নবগঠিত রাজনৈতিক দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগের লন্ডন শাখার এক সম্মেলনে শনিবার মোশাররফ বলেন, পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। গুপ্তঘাতক মমতাজ কাদরিকে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন আপিল করারও সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে, বহুল আলোচিত ব্লাসফেমি আইনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এরআগে ইসলাম ধর্মের নবী হযরত মুহাম্মদকে (সঃ) অপমান করার অভিযোগে গত বছর এক খৃস্টান মহিলাকে মৃত্যুদন্ডদেশ দেয় পাকিস্তানের আদালত। সালমান তাসির এ রায়ের বিরোধিতা করেন।

সেই সাথে প্রচলিত ব্লাসফেমি আইন পরিবর্তনের জন্য সোচ্চার হলে তিনি কট্টরপন্থীদের কোপানলে পড়েন। পরে গত ৪ জানুয়ারি ইসলামাবাদে দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন সালমান তাসির। সম্মেলনে মোশাররফ আরো বলেন, যেহেতু ব্লাসফেমি আইনের প্রতি মুসলিমরা অত্যধিক আবেগপ্রবণ সেহেতু বিতর্কিত হলেও এ আইন অবশ্যই থাকবে। অবশ্য ইসলামের ইজতিহাদ (নিজস্ব স্বাধীন বিচার-বুদ্ধি) ও ইজমার (ঐকমত্য) ধারণা কাজে লাগিয়ে আদালতের এমন বিতর্কিত রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখা যায়। ক্ষমতায় থাকাকালে কেন তিনি এ আইনের সংস্কার আনলেন না এ প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ জানান, তিনি এর কিছু প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন এনেছিলেন।

তবে, এর জন্য কোন বাদী পক্ষের প্রয়োজন ছিল। যা তখন পাওয়া যায় নি। অন্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। দেশ এখন অতি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে। অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে তিনি দাবি করেন, তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দি নেওয়াজ শরীফের সাথে তালেবানের সম্পর্ক রয়েছে। আর এজন্যই তিনি প্রকাশ্যে কখনো জঙ্গিদের সমালোচনা করেন না। উল্লেখ্য পাকিস্তানের সাবেক এ সেনা শাসক ২০০৮ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে তিনি বৃটেনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.