আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজার কাদের ; বাংলাদেশের নাকি বার্মার (মিয়ানমার)



শিরোনাম দেখে অনেকে হযত অবাক হবেন যে, আমি এসব কি বলছি পাগলের মত। কক্সবাজার যে বাংলাদেশের সেটা একটা বাচ্চাও জানে। হ্যা, আমিও একমত। তবে এটা বলার আমার কিছু কারণ আছে। কারণ শুনে অনেকে হয়ত আমার মত প্রশ্ন করবেন আহত মন নিয়ে যে, জাতি হিসেবে আমরা কতটা অসচেতন।

আমি কিছুদিন আগে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। সেখানে সমুদ্রের পাড়ে যতগুলো দোকান দেখলাম প্রায় ৯৫% দোকান বার্মিজ পণ্যে ঠাসা। আবার এসব মার্কেটের নামও বার্মিজ মার্কেট। মনে হয় যেন বাংলাদেশে নয়, বার্মার কোন সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছি। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত আমাদের গর্ব ।

যদি কোন বিদেশী পর্যটক কোন দেশে বেড়াতে যায তারা সেদেশের ঐতিহ্য দেখে এবং সেদেশের পণ্য স্মৃতি হিসাবে নিয়ে যায়। কিন্তু যদি কোন বিদেশী পর্যটক কক্সবাজার যায় তাহলে সেই পর্যটক আমাদের বাংলাদেশের কি প্রোডাক্ট কিনবে একমাত্র শুটকি মাছ ছাড়া। কক্সবাজারে এত বার্মিজ মার্কেটের দরকারটা কি? সেই দোকানগুলিতে বার্মিজ পণ্য না বিক্রী করে বাংলাদেশের কুটির শিল্প, হস্তশিল্প এবং আরো সব বাংলাদেশী পণ্য বিক্রি করতে সমস্যা কোথায়? আমাদের কুটির শিল্প যেখানে বিশ্বব্যাপি সুনামের সাথে বিক্রি হচ্ছে সেখানে কক্সবাজারের মত মূল্যবান জায়গা বিদেশী পন্যের বাজারে পরিনত হল। এটাকি আমাদের সকলের সচেতনতার অভাব নয়? আসুন আমরা সবাই সচেতন হই এবং কক্সবাজার, কুয়াকাটার মত পর্যটন এলাকাগুলোতে যেন বাংলাদেশের পণ্য বিক্রী হয় এবং বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশে বেড়াতে এসে যেন বাংলাদেশকেই খুজে পায় সেই চেষ্টাই করি। শিরোনাম দেখে অনেকে হযত অবাক হবেন যে, আমি এসব কি বলছি পাগলের মত।

কক্সবাজার যে বাংলাদেশের সেটা একটা বাচ্চাও জানে। হ্যা, আমিও একমত। তবে এটা বলার আমার কিছু কারণ আছে। কারণ শুনে অনেকে হয়ত আমার মত প্রশ্ন করবেন আহত মন নিয়ে যে, জাতি হিসেবে আমরা কতটা অসচেতন। আমি কিছুদিন আগে কক্সবাজার গিয়েছিলাম।

সেখানে সমুদ্রের পাড়ে যতগুলো দোকান দেখলাম প্রায় ৯৫% দোকান বার্মিজ পণ্যে ঠাসা। আবার এসব মার্কেটের নামও বার্মিজ মার্কেট। মনে হয় যেন বাংলাদেশে নয়, বার্মার কোন সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছি। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত আমাদের গর্ব । যদি কোন বিদেশী পর্যটক কোন দেশে বেড়াতে যায তারা সেদেশের ঐতিহ্য দেখে এবং সেদেশের পণ্য স্মৃতি হিসাবে নিয়ে যায়।

কিন্তু যদি কোন বিদেশী পর্যটক কক্সবাজার যায় তাহলে সেই পর্যটক আমাদের বাংলাদেশের কি প্রোডাক্ট কিনবে একমাত্র শুটকি মাছ ছাড়া। কক্সবাজারে এত বার্মিজ মার্কেটের দরকারটা কি? সেই দোকানগুলিতে বার্মিজ পণ্য না বিক্রী করে বাংলাদেশের কুটির শিল্প, হস্তশিল্প এবং আরো সব বাংলাদেশী পণ্য বিক্রি করতে সমস্যা কোথায়? আমাদের কুটির শিল্প যেখানে বিশ্বব্যাপি সুনামের সাথে বিক্রি হচ্ছে সেখানে কক্সবাজারের মত মূল্যবান জায়গা বিদেশী পন্যের বাজারে পরিনত হল। এটাকি আমাদের সকলের সচেতনতার অভাব নয়? আসুন আমরা সবাই সচেতন হই এবং কক্সবাজার, কুয়াকাটার মত পর্যটন এলাকাগুলোতে যেন বাংলাদেশের পণ্য বিক্রী হয় এবং বিদেশী পর্যটকরা বাংলাদেশে বেড়াতে এসে যেন বাংলাদেশকেই খুজে পায় সেই চেষ্টাই করি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।