আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সব ইভটিজারদের সুইডেন পাঠানো হোক!! জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জের বিচার চাই!!!



উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জের বিরম্নদ্ধে দুই সুইডিশ নারীর যৌন নিপীড়নের মামলার বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোচনার শীর্ষে। এ মামলার কারণেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিত কাঁপিয়ে দেয়া এ্যাসাঞ্জের বিরম্নদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় এবং তিনি গ্রেফতারও হন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। অনেকেই অভিযোগ করছেন, গোপন নথি প্রকাশের প্রতিশোধ নিতে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্রই এ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করিয়েছে। তবে সুইডেন বলছে, কারও চাপে নয়, নিজেদের আইনকে সমুন্নত রাখতেই এ্যাসাঞ্জের বিরম্নদ্ধে পরোয়ানা জারি করেছে তারা।

নারী অধিকারের জন্য সুপরিচিত দেশটিতে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নবিষয়ক আইন খুবই কড়াকড়ি। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে পান থেকে চুন খসলেই নিপীড়নের অভিযোগ করার অধিকার আছে সুইডিশ নারীদের। অভিযোগকারী দুই নারীর মামলার বিবরণে এ্যাসাঞ্জের বিরম্নদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র্রসহ পশ্চিমা বেশিরভাগ দেশেই তা অপরাধ বলে গণ্য হয় না। অভিযোগের বিবরণ : ঘটনা-১ ব্রাদারহুড মুভমেন্ট নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে 'যুদ্ধ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে গত বছরের আগস্টে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম যান এ্যাসাঞ্জ। এ সংগঠনের পক্ষে তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল 'সারাহ (কাল্পনিক নাম, সুইডেন অভিযোগকারী নারীর নাম প্রকাশ করে না) নামে এক নারীর।

তিনি দেশটিতে নারীবাদী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। সারাহ সরাসরি কখনও এ্যাসাঞ্জকে না দেখলেও ফোন ও ইন্টারনেটে আলাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সময় সারাহ স্টকহোমে অবস্থানের সময় তার ফ্ল্যাটে থাকার প্রসত্মাব দেন এ্যাসাঞ্জকে। এতে রাজি হয়ে ১১ আগস্ট সুইডেনে পেঁৗছেই সারাহর ফ্ল্যাটে ওঠেন উইকিলিকস সম্পাদক। ওইদিন রাতেই দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।

একপর্যায়ে এ্যাসাঞ্জের ব্যবহৃত কনডমটি ছিঁড়ে যায়(বাংলাদেশী মনে হয়) এবং তিনি কনডম ছাড়াই যৌনক্রিয়া শেষ করেন। ঘটনা-২ ॥ পরের দিন সকালে এ্যাসাঞ্জ যথারীতি সেমিনারে যোগ দেন। সেখানে 'জেসিকা' (কাল্পনিক নাম) নামে এক ভক্ত তার সঙ্গে দেখা করেন। এই নারী স্টকহোম থেকে ৪৫ মাইল দূরের এনকোপিং নামের মফস্বল শহরে থাকেন। জেসিকা পুলিশকে বলেছেন, 'টিভিতে দেখে ও পত্রপত্রিকায় পড়ে এ্যাসাঞ্জের ব্যক্তিত্বে মোহিত হয়ে যাই।

তার স্টকহোমে আসার খবর পেয়ে ওই সেমিনারে যোগ দেওয়ার লোভ সামলাতে পারিনি। ' সেমিনার শেষে এ্যাসাঞ্জের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জেসিকাকে দুপুরে একসঙ্গে খাওয়ার প্রসত্মাব দেন। পরে তারা দুজন একত্রে জাদুঘরে যান, সিনেমা দেখেন এবং পার্কে ঘুরতে যান। এ্যাসাঞ্জ ফের যোগাযোগের আশ্বাস দিয়ে জেসিকার কাছ থেকে বিদায় নেন। এ্যাসাঞ্জ ওই রাতে সারাহর ফ্ল্যাটেই থাকেন এবং পরের দিন সকালে আবার জেসিকার সঙ্গে দেখা করেন।

এ সময় জেসিকা তাকে এনকোপিংয়ের বাড়িতে রাত কাটানোর প্রসত্মাব দেন। জেসিকা বলেন, 'এ্যাসাঞ্জ সিআইএ'র ভয়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চাননি এবং তার কাছে নগদ টাকাও ছিল না। তাই আমিই ট্রেনের দুটি টিকেট কাটি। ' ওই রাতে জেসিকার সঙ্গে দুবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এ্যাসাঞ্জ। প্রথমবার তিনি কনডম ব্যবহার করেন, দ্বিতীয়বার করেননি(সাপ্লাই শেষ)।

জেসিকা অভিযোগ করেছেন, তিনি অনুরোধ করার পরও কনডম ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানান এ্যাসাঞ্জ। পরের দিন সকালে জেসিকার টাকায় কেনা টিকেটেই স্টকহোমে ফিরে যান এ্যাসাঞ্জ। জেসিকা পুলিশের কাছে বলেছেন, এ্যাসাঞ্জ ফিরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ভীত হয়ে পড়েন তিনি। এ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পেরে দুই দিন পর তিনি ব্রাদারহুড মুভমেন্ট কার্যালয়ে ফোন করেন। আর তখনই 'কাকতালীয়ভাবে' সারাহর সঙ্গে তার কথা হয় ( বাংলা ছবির আইডিয়া চুরি করছে)।

জেসিকার কথা শুনে সারাহ অবাক হয়ে যান এবং জানান, তার সঙ্গেও এ্যাসাঞ্জের অনিরাপদ সম্পর্ক হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য ২০ আগস্ট সারাহ ও জেসিকা একত্রে পুলিশের কাছে যান(দুই সতীন)। সুইডেনের একটি পত্রিকায় সারাহ বলেছেন, 'আমি আসলে নিজে অভিযোগ জানাতে যাইনি। একজন নারীনেত্রী হিসেবে আমি কেবল জেসিকাকে সহায়তা করতে চেয়েছিলাম। আর তার অভিযোগকে জোরালো করার জন্যই আমার ঘটনাও পুলিশকে জানাই।

' সারাহ বলেন, 'আমাদের দুজনের ক্ষেত্রেই সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক শুরম্ন হয়। কিন্তু পরে তা নিপীড়নের পর্যায়ে চলে যায়। ' লিংক Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.